এ পৃথিবীতে কিছু কাজ কেন পবিত্র আর কিছু কাজ কেনই বা অপবিত্র?
আমরা কি নিজের চোখে
নিজের মুখটা দেখেছি কখনও?
দেখিনি। আমরা আমাদের দেখি আয়নায়।
চোখ মেললে তুমি দেখবে আমাকে; আমি তোমাকে।
তাহলে; আমি আমাকে কীভাবে দেখবো?
তুমি তোমাকে?
তিনি বললেন।।
পূর্বকথা
এই লেখার মূল উদ্দেশ্য 'ঈশ্বর' নামক ধারণাটির ইতিহাস বর্ণনা। ঈশ্বর বাস্তবে থাকুক বা না-ই থাকুক মানুষের ধারণায় আছে—এই ধারণার ইতিহাসই বলব। বাস্তবে ঈশ্বর আছেন কি-না সেই আলোচনাও ধারণার ইতিহাসের মধ্যেই প্রোথিত, কারণ ঈশ্বর এসে কাউকে বলে যাননি যে তিনি আছেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বেশেষে সবাই নিজেদের স্মৃতি, যুক্তি বা কল্পনা দিয়ে ঈশ্বর আছেন কি-না তা বুঝার চেষ্টা করেছে। অবতীর্ণ বাণীও আক্ষরিক অর্থে অবতীর্ণ নয়, বরং উৎসারিত। স্মৃতি, যুক্তি, ও কল্পনার মধ্যে প্রথমে যুক্তি নিয়ে কথা বলব। বিজ্ঞান যুক্তির (রিজন) অন্তর্ভুক্ত, আর দর্শন মানবিক বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। দার্শনিকরা কিভাবে যুগে যুগে ঈশ্বরের ধারণাটি সূত্রায়িত ও পুনঃসূত্রায়িত করেছেন তা-ই প্রথমে আলোচনা করব। ফোকাস থাকবে মূলত পাশ্চাত্য দর্শনের উপর, তবে ভবিষ্যতে ভারতীয়, চৈনিক, ও ইসলামি বিশ্বে দর্শনের কিছু জিনিসও যুক্ত হবে।