যুক্তরাজ্যের এবারের জাতীয় নির্বাচন অনেক দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। এই নির্বাচন যুক্তরাজ্যের রাজনীতির ধারাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে। যদিও ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করেই প্রাক-নির্বাচন প্রচার এবং মেরুকরন আবর্তিত হয়েছিল, নির্বাচনের ফলাফল থেকে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন দেশটির ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে আমি নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনীতির কিছু ব্যাখ্যা এবং বিশ
পটভূমি
ব্রেক্সিট সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? এক লেখায় সম্পূণর্ চিত্রটা পেয়ে যাবেন যদি ধৈর্য্য ধরে পড়েন। লেখাটা বড়, কিন্তু পড়লে হতাশ হবেন না আশা করি। যারা স্কুল, কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিতর্ক করেন নিয়মিত, তাদের অবশ্যই পড়া উচিত। এছাড়াও যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তারাও পড়লে উপকৃত হবেন। একটানা ছয় ঘণ্টা ব্যয় করে লেখা। পড়ে মতামত জানালে খুশি হবো।
BRExit বা ব্রেক্সিট শব্দটা এসেছে Britain Exit অথবা British Exit থেকে (দুটোই সঠিক)। অর্থাৎ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্রেক্সিট বলা হচ্ছে [১]। বৃটেন, ইউনাইটেড কিংডম, ইউকে অথবা যুক্তরাজ্য — যে নামেই ডাকা হোক না কেন, মূলত বোঝানো হয় একই দেশকে। এদেশটা ইউরোপের পশ্চিম পাশে মূল ভূখণ্ড থেকে খানিক দূরে অবস্থিত গ্রেট বৃটেন দ্বীপের সম্পূর্ণটা এবং আয়ারল্যান্ড দ্বীপের এক পঞ্চমাংশ নিয়ে গঠিত এবং চারটা গঠণমূলক রাজ্য তথা ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নর্দানর্ আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েলসের সমন্বয়ে গঠিত যেখান থেকে মূলত ইউনাইটেড কিংডম নামটা এসেছে।