এমন সুপুষ্ট নারী যে পায়; নিশ্চিত হিংসায় তারে দানো-দেবতায়। আহা কী সৌন্দর্য…
- ও ব্যাডা নিজের গতরের মাপে একখান হরিণের মনোহর ছাল নিয়া বাইরা তো দেখি…
বিলপারের জনস্থানে পৌঁছায়া রাবণ যায় তাড়কাপুত্র মারিচের ঘরে। রাজায় ক্যান হরিণের চামড়া খোঁজে সেইটা বুঝায়া বলতে হয় না তারে। পশুর চামড়া পইরা পশুর ডাক দিয়া পশু ডাইকা শিকার একেবারে সাধারণ কৌশল…
বিরাধের বগলচিপায় মরতে মরতে সীতার বুদ্ধিতে বাঁইচা গিয়া রাম বুঝে বনে বাহাদুরি সোজা কাম না। একলা এক বনুয়া দুই ভাইর সামনে থাইকা খালি সীতারেই থাবা দিয়া উঠায় নাই; দশরথের দুই বীরপুতেরেও লটকায়া হাঁটা দিছিল দূরে নিয়া কোপাইতে…
বিপদে সীতার মাথা খোলে আর রামের হয় বন্ধ। কথাটা স্বীকার করলেও স্বীকার না যাইয়া রাম কয়- বনটা কঠিন। আমাগো মনে লয় ঋষি শরভঙ্গের আশ্রমেও যাওয়া ভালো…
বনের রাজা হইবার আশায় রাম দেখতে আছে বন; এর মাঝে তার সামনে থাইকা খপ কইরা তার বৌরে উঠায়া নিয়া বনের চকিদার কয়- দুই বেটায় বনবিলাস করতে আছে এক নারী নিয়া। যা বেটা ফুট। এই মাইয়ারে বিয়া করব আমি…
মদও খাইছে নারীও পাইছে; আয়েশে গড়ায়া ভরতের সৈন্যরা কয়- মোরা চিত্রকূটও যাব না; অযোধ্যাও ফিরব না। যে যেইখানে আছে সেইখানেই সুখে থাউক; রাম থাউক বনে; ভরত সিংহাসনে। আমরা এইখানেই থাকতে চাই বাকি জীবন…
কানতে কানতে মইরাই গেলেন রাজা দশরথ। রাম যাবার পর মাত্র চাইর দিন টিকলেন তিনি। সুমন্ত্র রামরে ফালাইয়া আসছে দুই দিনের পথ দূরে; ফিরতেও লাগছে দুইদিন। রাম ঘরছাড়ার কালে পথে পড়া রাজারে কুড়ায়া সেই যে বিছানায় শোয়ানো হইছিল; সেই বিছানা তিনি আর ছাড়তে পারেন নাই। থাইকা থাইকা কানছেন আর এরে তারে জিগাইছেন- সুমন্ত্র ফিরছেনি আমারে কও…
জাত যাবার ডরে খায় নাই ভাত; দুই দিনের খিদা নিয়া এখন পশুর পোড়া থ্যাতলা মাংস চাবায় জঙ্গলের ভিতর…