১।
বাসায় নারী জাগরণের ভুতটা প্রথম আনলো মা।
প্রথম পর্ব পড়তে চাইলে এখানে চিপি দিন
নানা দেশের আকাশ পেরিয়ে প্লেন যখন ল্যান্ড করল তখন আমস্টারডামে বিকেল হয়ে গেছে। যেখান থেকে প্লেন টিকেট কেটেছিলাম তারা বলে দিয়েছিল আমস্টারডামে এক রাত থাকতে হবে। টিকেটের সাথেই হোটেল বুকিং দেয়া আছে।
প্রথমেই বলে নেই সে আমলের ছেলে পেলে হিসাবে আমরা বিশাল ভোদাই ছিলাম। অভদ্রসুলভ বাক্য ব্যবহার করতে হল বলে নিজ গুণে ক্ষমা করে দেবেন। ঐ আমলে আমাদের চিন্তার বিস্তৃতি কেমন ছিল তার বিবরণ দিতে গিয়ে "ভোদাই" এর থেকে ভাল কোন শব্দ পেলাম না। সেই প্রাগৈতিহাসিক আমলে ইন্টারনেটের তেমন চল ছিল না। বসুন্ধরা শপিং কমপ্লক্স কিংবা যমুনা ফিউচার পার্ক এর মতন অত্যাধুনিক মল ছিল না। ইস্টার্ন প্লাজায় তখন যে শপিং করত তখন তাকে আমরা ভাবতাম মালদার পার্টি। এখনকার ছেলেপেলেদের তুলনায় ঐ আমলে আমরা যার পর নাই বেয়াকুব ছিলাম।
চৈত্র মাসের এক ভয়াবহ গরম দুপুরে খালি গায়ে হাফ প্যান্ট পড়ে পত্রিকা পড়ছিলাম। আমার বাবা অফিসে যাবার জন্য রেডি হচ্ছেন। পাশ কাটিয়ে পাশের রুমে যাবার সময় আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টি হেনে আমার মা'কে যেয়ে বললেন,"ওরে বল ফালটা দুইটা ঢাইকা রাখতে"। টাংগাইলের ভাষায় ফালটা মানে হল লাঠি। সেই আমলে আমার খুব বডি বিল্ডারের মতন শরীর ছিল। বডি বিল্ডার মানে রবিউল কিংবা টেলি সামাদের মতন বডি আর কি। হাল আমলের ছেলে পেলেরা রবিউল কিংবা টেলি সামাদ সম্পর্কে অবগত কিনা জানি না, তবে আমি নিশ্চিত গুগল করলে উনাদের কিছু ছবি পাওয়া যেতে পারে।
সেদিন আনন্দ দিদির পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে মনে হলো, ঠিক আছে, সচলায়তনে পোস্ট দিয়েই রাখি, কেউ পড়লে পড়বে, না পড়লেও ক্ষতি নাই।
আপাতত আমি ধুমায়ে মার্ডার-মিস্ট্রি-খুন-জখম পড়ছি। নেরুদার মতো বিখ্যাত কারও, প্রেমের মতো জটিল বিষয়ের কবিতা আনাড়ি হাতে অনুবাদ করার ফলে সচলেরা আমাকে প্যাদানি দেয়ার আগেই আশাকরি কয়েকদিনের মাঝেই ফর্মে চলে আসবো একটা খুন-জখম অনুবাদ নিয়ে!
[justify]
নিম্নবুদ্ধিমত্তাজনিত কারণে পড়াশোনার গণ্ডি অতীব সীমিত বলে অনেককিছু নিয়েই আমি বেশ কমপ্লেক্সে ভুগি।
প্রিয় কিছু নিয়ে কেউ দু-চার লাইন লিখতে বললেও তাই কী বোর্ড তোতলায়, পারবো তো?
রবিঠাকুরের "মেঘের কোলে রোদ হেসেছে" গানটা শুনলেই আমার মধ্যে ছুটির আমেজ চলে আসে, জানিনা গানটার মধ্যে কি জাদু আছে! ছোটবেলায় পড়েছি, পরিশ্রম না করলে নাকি বিশ্রামের আনন্দ পাওয়া যায় না, মাঝে মাঝে অবশ্য এটাকে আমার মিথ্যা মনে হয় আবার মাঝে মাঝে মনে হয় চরম সত্যি। জানিনা কোনটা ঠিক!
স্কুলে থাকতে আমার সবচেয়ে প্রিয় দিন ছিল কোনটা বলতে পারবেন? হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, শুক্রবার। কোন স্কুল নেই, পড়ালেখা নে ...
শায়নের “এক হারিয়ে যাওয়া বন্ধু” গানটা যখন প্রথম শুনেছিলাম সেদিনই মনে হয়েছিল এ জীবনে আমারো অনেক বন্ধু হারিয়ে গেছে কালের স্রোতে। কখনো চিন্তাই করিনি যে ওদের সাথে যোগাযোগ থাকবে না কখনো। বন্ধুদিবসে আমার সেসব বন্ধুদের কথা খুব মনে পড়ছে।
ছোটবেলায় যে বাসায় থাকতাম তার পাশের ফ্ল্যাটেই আমার সমবয়সী একজন থাকতো। আমি বুঝতে শেখার পর হতেই ওর সাথে আমার বন্ধুত্ব। প্রতিদিনই আমরা একসাথে খেলতাম ...
কানাডায় আছি প্রায় দুই বছর ধরে। প্রথমদিন আসার যে অভিজ্ঞতা, সেটা আগেই একদিন বলে ফেলেছি। আসার একমাসের মধ্যেই আমার মনে হয়েছে এই দেশে আর যাই হোক বেশিদিন থাকা যাবে না, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখান থেকে ভাগতে হবে। কিন্তু পালানো যদি এতই সহজ হতো তাহলেতো আর মানুষ সারাক্ষন ভাগতে চাইতো না। যাইহোক একবারে ভাগতে না পারি কিছু সময়ের জন্যেতো সেটা করাই যায় কিন্তু সেটাও কারণে, অকার ...
[justify]ছোটবেলাতে সবার মনেই বড় হয়ে কি হবে সে স্বপ্ন থাকে হয়তো।আমারও ছিল। যখন “Aim in life” অথবা “আমার জীবনের লক্ষ্য” টাইপ রচনা লিখতাম তখন অনেক কিছুই চিন্তা করতাম- বড় হয়ে কি হবো? স্কুলে যখন স্যার ম্যাডামরা জিজ্ঞাসা করতো, বড় হয়ে কি হব? আমি সবসময় উত্তর দিতাম, “ইঞ্জিনিয়ার”। আমার মাথার মধ্যে এটা একেবারে গেঁথে গিয়েছিল। কলেজে যখন ভর্তি হলাম “নেচার স্টাডি ক্লাব” এর মেম্বার হলাম। সেখানে এক বড় ভাই ছি...