জহিরুল ইসলাম নাদিম
[প্রায়শঃই দেখি সচল,হা-চল সুযোগ পেলেই (না পেলেও!) স্মৃতিচারণ করেন। তখন অচল আমাদের বুক ফাইট্টা যায়। তো ভাবলাম একটু স্মৃতিকাতর আমরা অচলরাও হই। অনেক আগে এই ছড়া লেখা হইছিল। কিন্তু সচলায়তেন প্রকাশ পাওয়ার জন্যই বোধয় সেইটা লাপাত্তা হইয়া গেছিল -- এখন যখন খুঁইজা পাইলাম তো সেটা প্রকাশের চেষ্টা লওয়া যাক। কী কন আপ্নেরা?!]
তাক ধিনা ধিন ধিন
আমি মুড়ির টিন,
রাজধানীতে আলসেমি ...
দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরে যাতায়াত শুধু
সময় মিশে যায় মহাকাল স্রোতে
এভাবেই বদলে যায় দৃশ্যপট
রূপান্তরের পালে দোলা দিয়ে যায়
কিছু স্মৃতিভারাতুর দীর্ঘশ্বাস।
কেউ জানেনা কোথায় পথের শেষ.........
মনে পড়ে
লেবু-গন্ধী উদাস-অলস দুপুরগুলো
সৌরভে বিভোর রমণীয় প্রজাপতি মেলা
লাল ফড়িংয়েরা বাতাসের গায়ে ডানা মেলে দিলে
হাওয়ায়
হাওয়ায়
কেমন মদালসা সুরের কাঁপন বেজে যেতো
থোকা থোকা রুধির-পুষ্পিত কৃষ্ণ...
‘যেখানে দেখিবে ছাই/ উড়াইয়া দেখ তাই/ মিলিলে মিলিতে পারে/ অমূল্য রতন...।’ কে লিখেছিলেন ? রামনিধি গুপ্ত ? ঈশ্বর গুপ্ত ? না কি অন্য কেউ ? এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না। তবে এই চরণগুলো সেই শৈশব-কৈশোরে স্তোত্রের মতো ঠোটস্থ করেই কি ক্ষান্ত হয়েছিলাম ? মোটেই না। স্তোত্র বা শ্লোক কি আর মিথ্যে হতে পারে !
আজ থেকে ত্রিশোধিক বছর পূর্বে মফস্বল শহরগুলোতে এখনকার মতো তো আর প্রাকৃতিক জ্বালানী গ্যাসের কায়কারবা...
১.
চট্টগ্রাম যাই না আজ প্রায় দু’বছর। মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে যেতে। মাঝে মাঝে না, সবসময়ই ইচ্ছে করে। কিন্তু কোথায় যাবো? জীবনের সবচেয়ে সুন্দর বারটা বছর কাটানো শহরটাকে এখন আর চিনতে পারি না। নতুন স্টেশনে নেমে এখন তো আর বাবাকেও দাড়িয়ে ...