- ও ব্যাডা নিজের গতরের মাপে একখান হরিণের মনোহর ছাল নিয়া বাইরা তো দেখি…
বিলপারের জনস্থানে পৌঁছায়া রাবণ যায় তাড়কাপুত্র মারিচের ঘরে। রাজায় ক্যান হরিণের চামড়া খোঁজে সেইটা বুঝায়া বলতে হয় না তারে। পশুর চামড়া পইরা পশুর ডাক দিয়া পশু ডাইকা শিকার একেবারে সাধারণ কৌশল…
কোনো মাইয়া কাউরে বিবাহের প্রস্তাব দিলে তার নাক কান কাইটা দিবার উদাহরণ কি শাস্ত্র বেদ বা সংহিতায় আছে?
এক লগে দশখান শাস্ত্রে পণ্ডিত বইলা দশমাথা নামে মর্যাদাবান রাবণের অংক মিলে না সংখ্যাশাস্ত্রের বিদ্যায়; যোগশাস্ত্রের ধ্যানে আসে না শান্তি; ন্যায়শাস্ত্রে নাই এমন আকামের উপযুক্ত শাস্তি; মীমাংসা শাস্ত্রে মিলে না এর যুক্তি…
মন শান্ত করো হে দেবদেবতাগণ…
বিরাধের বগলচিপায় মরতে মরতে সীতার বুদ্ধিতে বাঁইচা গিয়া রাম বুঝে বনে বাহাদুরি সোজা কাম না। একলা এক বনুয়া দুই ভাইর সামনে থাইকা খালি সীতারেই থাবা দিয়া উঠায় নাই; দশরথের দুই বীরপুতেরেও লটকায়া হাঁটা দিছিল দূরে নিয়া কোপাইতে…
বিপদে সীতার মাথা খোলে আর রামের হয় বন্ধ। কথাটা স্বীকার করলেও স্বীকার না যাইয়া রাম কয়- বনটা কঠিন। আমাগো মনে লয় ঋষি শরভঙ্গের আশ্রমেও যাওয়া ভালো…