গত ২ নভেম্বর ২০২২ এ “একাত্তর জার্নাল” এর ফেইসবুক পেইজে একটি ভিডিও [১] দেখে আজকের এই লেখার অবতারণা। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একাত্তর টিভির সঞ্চালক মিথিলা ফারজানা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন এর সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। সাক্ষাৎকারের বিষয় হচ্ছে বেগুন নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধ। যতটুকু বোঝা গেল, এই প্রকাশিত প্রবন্ধটির উপর ভিত্তি করে বেগুনে ক্যান্সারের উপাদান পাওয়া গেছে শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। মিথিলা ফারজানা সেটার সত্যতা যাচাই করার জন্য সেই গবেষণা প্রবন্ধের লেখকদের মধ্য থেকে অধ্যাপক হোসেন কে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেই সাক্ষাৎকারে উপস্থিত রয়েছেন আরও দুজন সাংবাদিক: মাসুদা ভাট্টি এবং উদিসা ইসলাম। ব্যক্তিগত ভাবে মাসুদা ভাট্টিকে আমি চিনি বাংলা ব্লগ সচলায়তনে লেখালেখির মাধ্যমে। সেই ২০১০ সালে উনি উনার সম্পাদিত মাসিক “একপক্ষ” এর জন্য আমার কাছ থেকে “ভারত বাংলাদেশ পানিসম্পদ” নিয়ে একটি লেখা নিয়েছিলেন। লিঙ্কডিন [২, ৩] থেকে জানলাম দুজনেই ঢাকা ট্রিবিউনের সাথে সংযুক্ত আছেন। ভিডিওটি দেখে আমি আঁতকে উঠেছি, একজন বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ ও গবেষক হিসেবে নিজেকে অতি নগণ্য মনে হয়েছে। তার থেকেও বড় কথা, বাংলাদেশের সাংবাদিকদের নৈতিকতা ও আদর্শ নিয়ে বিশাল এক প্রশ্ন জেগেছে। আমার বন্ধুদের অনেকেই আজ প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক। তাদের প্রতি শতভাগ শ্রদ্ধা নিয়েই বলছি আমার কাছে এটাকে হলুদ সাংবাদিকতা মনে হয়েছে। সেই সাথে বাংলাদেশের স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে ড. হোসেনের বিজ্ঞান যোগাযোগের দক্ষতা দেখে বেশ হতাশ হয়েছি। এই বিষয়গুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করার চেষ্টা থাকবে এই নিবন্ধে।