তার নাম রফিক। পাশের যে জন তারও নাম রফিক। একই বাসায় তাদের বাস। তারা ঘরবন্ধু।
তবে তাদের ভেতর বেজায় মালিন্য। তাদের চলে নিত্য নৈমত্তিক বিরতিহীন বচসা। হাতাহাতি। তবুও কোন এক কারণে তারা ভাগাভাগি করে থাকে। বাড়ি বদলায় না। এই একটা জায়গায় তাদের অকথিত বোঝাপড়া।
রোজকারের মতো সেদিনও চলছে তাদের নিরন্তর বাহাস।
এক রফিকঃ শালা কুত্তা কোথাকার! মাত্র তেরো বছরের মেয়ে! তেরো!! কিভাবে পারলি??
অন্য রফিকঃ চুপ শালা! চুপ! একদম চুপ! তাতে তোর কি রে! আমি তোর খাই না পরি?
এক রফিকঃ তুই মানুষ না। তুই জানোয়ার।
অন্য রফিকঃ হ্যাঁ, আমি জানোয়ার।
এক রফিকঃ তুই ইতরেরও নীচের ইতর। মরে যাস না কেন?
Before the line
ভালো আছো?
বৃষ্টি হচ্ছে কোথাও।
Between the lines
কী ভাবছো?
কই কিছু না তো...
After the line
পালাচ্ছো, কোথা থেকে?
সকালে ঘুম থেকে উঠে ইশতিয়াক দেখল তার এক জোড়া পাখা গজিয়েছে। কুচকুচে কালো রেশম নরম পালক। নিজের পালকে হাত বুলাতে বুলাতে ইশতিয়াকের মনে হল স্নেহা'র দীর্ঘ কালো চুলগুলো বোধহয় এমনই তুলতুলে হবে।
নিজের পাখায় হাত বুলাতে বুলাতে ইশতিয়াক দাঁত ব্রাশ করল। মুখ ধুলো। নাস্তা করল। চা খেয়ে একটা বেনসন ধরাল। তার সদ্য গজানো পাখা সম্পর্কে মেসের কেউ একটা প্রশ্নও করল না। যেন মানুষের পাখা গজানো তেমন একটা ব্যাপার না। এমনটি অহরহই হচ্ছে।
চৈত্রের ভয়াবহ গরমে দাঁড়িয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের মত কুলকুল করে ঘামছিল মাহতাবুদ্দিন। কোথাও বাতাসের একফোঁটা গন্ধ নেই। তার বদলে মানুষের ঘাম, পচে যাওয়া ডাবের চোকলা, নর্দমার নোংরা, পেটের গভীর থেকে তুলে আনা কোন কুকুরের উগরানো বমি, বুক চিরে দেয়া গাড়ির বিকট হর্ণ, রিক্সার টুনটুন, হাত-পা কাটা ভিখারির চিৎকার, আর রাস্তায় থ্যাতলে পরে থাকা কাঁঠালের উপর অসভ্য মাছির ভন ভন শব্দে গুলিস্তান পরিণত হয়েছে ছোট্ট এক টুকরা হাবিয়া দোযখে। বাসের দেখা নেই।
১.
আসি।
২
ভাল? চুপ। তুমি?
৩.
চলো, সময়টাকে নিজের মতো করে সাজাই।
৪
১) দেউল্লা রাজাকার ও এক জল্লাদ
এই গল্পটা যেহেতু একদম ফালতু, তাই এটাকে বেশি লম্বা করব না।
২০১৬ খ্রীষ্টাব্দ । ব্রিটিশ মিউজিয়াম।
‘এইটা কী বাবা?’ পাথরের মূর্তিটাকে দেখাল বিলি।
‘মিশরের পুতুল বাবা,’ বিলির বাবা হাসলেন, ‘কত রকমের খেয়াল ছিল ওদের। যা খুশি লিখে রেখেছে দেখ পুতুলের গায়ে।’
‘কী লিখেছে বাবা?’
‘কী আর লিখবে? কেবল সভ্য হয়েছে লোকগুলো! লিখতে শিখেছে এটাই তো বেশি! চল এখানে সময় নষ্ট করে আর লাভ নেই।’
৩০১৯ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দ। মিশর।
জন্মনীড় ছেড়ে, চেনা মাঠ বন নদী পাহাড় ঝর্ণা সব কিছু ছেড়ে উড়াল দিয়েছিলাম, অচিন দেশের দিকে, জ্যোৎস্নাপালকের পাখিরা সেদিকে থাকে। জন্মজলের বিন্দুগুলো ঝরে পড়ে যাচ্ছিলো ডানা থেকে।