ললনা বিষয়ক রোজনামচাঃ
বাইরে ভয়ানক বাতাস। ঝড়ো না, শান্ত কিন্তু প্রবল। আবহাওয়াটা বুঝা যাচ্ছে না। একদিন চান্দিফাঁটা রোদ তো তারপর দিন প্যানপ্যানে বৃষ্টি কিংবা মন খারাপ করা সূর্যহীন দিবস। এই যেমন এখন। মহিলা মানুষের মন যেমন কোনো পূর্বাভাস না মেনেই বদলে যায় হঠাৎ হঠাৎ তেমনি কালকের কাঠফাটা, চান্দিফাটা, ইয়েফাটা ইত্যকার ঝলমলে ফাটাফটি রৌদ্রময় একটা দিনের শেষে কিনা আজ ভ্যাপসা হয়ে আছে পু...
ধিকিধিকি আগুন জ্বলে...
নাহ, বুকে ছাই চাপা আগুনের কথা বলছি না। দাবাণলে কোনো বন উজার হওয়ার খবর নিয়েও আসি নাই। বরং বন-এ গরমের চোটে নানান কিছু দেখতে দেখতে অতিষ্ঠ হয়ে যাওয়া চোখের কথা বলছিলাম আরকি! শুষ্ক বাতাসে, প্রচণ্ড তাপদাহে দুম করে বিষণ্ণতা ভর করে বসে মনে। কোনো একটা গানে শুনেছিলাম, দুপুরের রোদগুলো নাকি নীল হয়! কে জানে গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ হয়তো তেমনি কোনো এক রোদেলা দুপুরে কোনো এ...
ধর্মান্তরঃ একটি ফ্যাশন!
ওর নাম ছিলো আন্দ্রে, আন্দ্রে অমুক (পারিবারিক নামটা মনে নেই)। লম্বা ট্যাং ট্যাঙে ঢ্যাঙা ধরণের একটা পোলিশ অরিজিন ছেলে। তার সাথে ভালো করে পরিচিতি বেড়েছিলো ২০০৬ এর 'বিশ্বযুবদিবসে'-র সময়টাতে। সেসময় আমার ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করার কথা থাকলেও পরে আর করা হয়নি। কিন্ত আন্দ্রে করেছিলো।
গলায় লাল রঙের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ঝুলিয়ে আন্দ্রে ঘুরে বেরায় কোলন-বনের ব ...
১.
সেদিন পোস্টস্ট্রাসে আর মুনস্টারস্ট্রাসের কোণা দিয়ে ফুচকি দিয়ে বের হয়ে মাত্র বিড়িটা ধরাইছি। একটা টান দিছি মোটে, অমনি পিছন থেকে সুমিষ্ট কণ্ঠের ডাক। "কুকিলা কণ্ঠে এই ভর দুপুরে আমারে ক্যাডা ডাকে রে!" ভেবে চোখে হাজার পাওয়ারের লাইটের জ্যোতি নিয়ে ফিরে খাড়ালাম। আমারেই ডাকে তো দেখি এই পরীয়সী ললনা। সৃষ্টিকর্তার এ আবার কোন তামশা! হঠাৎ করে আবার মনে 'ডর'ও ভর করলো। টাংকিবাজী তো কম করি নাই, ...
১.
বসন্ত আসতে এখন হপ্তা দুই বাকি। হাঁড় কাঁপানো শীত তারও আগে চেহারায় কমলা রঙের পট্টি লাগিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। মাঝে মাঝে ইতিউতি উকিঝুঁকি দিলেও তেমন কাউট্টাকামড় দেয়ার আর সুযোগ পাচ্ছে না বেচারা। সেদিন তো বেশ ঘটা করেই সূর্য্যিমামা গনগনে ভাব নিয়ে জানান দিয়ে গেলো "শীত মিয়া তোমার আর বেইল নাই!" [এর মধ্যে জনৈক মোটারাম মোঢিমু, সন্ন্যাসী দাদুর দেশীয় ললনাযোগে বরফের ফটুক কেমনে তোলে সেইটা তদন্ত...
১.
অনেকদিন পর সেদিন বাসে ভ্যালেন্তিনাকে দেখলাম। সেদিন মানে এইতো পরশুদিনের আগেরদিন, কিংবা তার আগেরদিন (অথবা ঠিক কবে মনে নাই)। সেই আগের মতোই ডাইরেক্ট আমার অক্ষিগোলকে দৃষ্টিনিক্ষেপ। আমার ভয়াবহ রকমের শান্ত, ক্লান্ত, প্রশ্নহীন চোখে বোধহয় সে খুবেকটা উৎসাহ পায়নি। বাস থেকে নেমে পড়ার আগে চোরা চোখের চাউনিতে আমাকে দেখে নেয়া আর শুরুর চাউনির মধ্যকার সময়ে সে ব্যস্ত ছিলো তার কানের বাদ্যঢি...
১.
এ বিচিত্র অনুভূতি এক। বিয়ের পর প্রথম বউ তার বাপের বাড়ি গেলে কেমন লাগে জানার খুব শখ হচ্ছে! অনেকদিন পর একাকীত্বের স্বাদ ফিরে পাওয়ার আনন্দে লাফিয়ে ওঠে মন। পুরনো (বাজে!) অভ্যাসগুলোর চর্বিত চর্বণের প্রত্যাশায় চকচক করে ওঠে চোখজোড়া। বউয়ের শাণিত শাসন, হুদাই হাউকাউ-কাউমাউ আর মুগুরের ভয়ে মারাত্মক রকমের নিয়মানুবর্তী হয়ে যাওয়া সৃষ্টিহীনতা থেকে বেরিয়ে পড়ার একটা উল্লাস কাজ করে। ঘড়ির কা...
১.
প্রথম যখন বরফ দেখার সুযোগ হলো, সেবার প্রায় বারো ঘন্টা টানা ড্রাইভ করে গিয়ে তিন-চার দিনের বাসী বরফ দেখে এসেছিলাম সিডনী থেকে বহুদূরের জিন্ডাবাইন এলাকার থ্রেডবো নামক গ্রামে। সারা রাত গাড়ি চালানোর ধকল নিমিষেই উবে গিয়েছিলো রাস্তার পাশের জমে থাকা সাদা সাদা তুষারের দর্শনে। সে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা, এক অন্যরকম রোমাঞ্চ, একেবারেই প্রথম প্রেমের মতো...! খুব ছোট্ট একটা ডোবার আংশিক জমে আইস ...
১.
ইদানিং খালি লিখতে ইচ্ছে করে। আবঝাব, নিজের দিনপঞ্জির মতো করে। যা-ই দেখি, যা-ই শুনি, যা-ই পড়ি, যা-ই পরি- সব নিয়েই। এই যেমন আজকে অনেকদিন পর রাইনের পাড় ধরে হাঁটলাম সন্ধ্যাবেলায়। শেষবার গিয়েছিলাম খুব সম্ভবতঃ হিমু-বদ্দা'র সফরের সময়। গাছে গাছে তখনো পাতা ছিলো। দুই ধারে সবুজ পাতার কিম্ভূতকিমাকার গাছের সারির মাঝবরাবর পায়ে চলার রাস্তা। নদীর তীর ধরেও আরেকটা বাঁধানো ট্র্যাক। কেউ কেউ ইনলাইন...
০.
সেদিন নিবিড়ের চরমপত্র পোস্টে বলেছিলাম অডিও ফাইলের কথা। খুঁজে দেখলাম আমার কাছে যেটা আছে তার দৈর্ঘ্য এক মিনিটেরও কম। সেটাই যোগ করে দিলাম এখানে।
Get this widget | Track details | eSnips Social DNA
১.
অবশেষে তার দেখা মিললো। অনেক অপেক্ষার পরেও যখন দেখা দিচ্ছিলো না। ভাবলাম, এ যাত্রা বুঝি দেখা না দিয়েই পার পেয়ে যাবে। দিন দিন অপেক্ষার প্রহর গুণি। এই বুঝি এলো! উঁহু, আসে না। বেলা বয়ে যায়, গাছের পাতা ঝরে যায়, অম...