আপু চলে গেল। এক এক করে চারিদিকের সব আলো নিভিয়ে দিয়ে। ঘর আলো করা ওর সেই উজ্বল হাসি, ক্যান্সারের প্রবল আঘাতেও যেটা এতটুকুও ম্লান হলো না তাকে সঙ্গে করে নিয়ে চলে গেল চিরতরে। অসুস্থ অবস্থায়ও সবার প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে পাশে থাকা মানুষটা আমাদেরকে অতল শূন্যতায় ডুবিয়ে নিমিষেই নেই হয়ে গেল। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মাত্র ২৮ বছর বয়সে ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ে আপুর। তারপরে সার্জারি-কেমোথেরাপি। কিছুদিন ভালো থাকা
আমার এক বন্ধু গত ১৭ এপ্রিল তার ক্যান্সার মুক্তির ২ বছর পূর্তি উদযাপন করলো। আনন্দে ঝলমল হয়ে যখন আমাকে জানালো তখন আমার মনে হল- আমি তো আরেকটি এমন দারুণ সত্যি ঘটনা জানি! একটি পরিবারের মৃত্যুকে ফিরিয়ে দেয়ার গল্প, হাল ছেড়ে না দেয়ার গল্প। পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের জন্য অনুপ্রেরণার গল্প। শুনুন।
১.
‘লোকটার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখেছিস? কেমন একটা ঘোর লাগা ভাব! মনে হয় এই পৃথিবীতে না, অন্য কোন জগতে অবস্থান করছেন। কেমন পীর পীর লাগে দেখতে!’- যূথী খেতে খেতে বলছিল সুজানাকে। দিনব্যাপী প্রোগ্রামের এখন মধ্যাহ্ন বিরতি চলছে। কয়েক ঘণ্টা একটানা প্রোগ্রাম করে খিদেও পেয়েছিল খুব। তাই বেশ আয়েশ করে মধ্যাহ্ন ভোজন সারছিল ওরা।
১.
এমন পরিবার কমই আছে যেখানে কারো না কারো ক্যান্সার হয়নি। সাম্প্রতিক কালে এই রোগের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও মনে হয়। আগে তেমন শোনা যেত না এর নাম। আজকাল সাধারণ বা বিখ্যাত প্রায় মানুষের এই রোগ হচ্ছে এমন শোনা যায়। মাত্র দেড় মাস আগে পপ সম্রাট আজম খান মারা গেলেন এই ক্যান্সারে ভুগেই। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট শ্যাভেজ যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন তার কথাও কিন্তু তাবৎ দুনিয়ার লোক জেনে গেছেন। প্রশ্ন হলো কেন
যারা ইতিমধ্যে কষ্ট করে আগের দুই কিস্তি ( ভালবাসার ক্যান্সার - ১ ও ভালবাসার ক্যান্সার - ২ ) পড়েছেন তাঁদের প্রতি আমার বিনম্র কৃতজ্ঞতা । যদি না পড়ে থাকেন, তাতেও শেষ কিস্তি পড়তে কোন অসুবিধা নেই । যারা পরিসংখ্যানের কচকচানি সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের দ্বিতীয় কিস্তি না পড়াই ভাল ।
আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী....
ক্যান্সারের কাছে স্বজন হারানো মানুষ জানে নিজের দেশে বিশ্বমানের আধুনি...
যারা ইতিমধ্যে কষ্ট করে ভালবাসার ক্যান্সার - ১ পড়েছেন তাঁদের প্রতি আমার বিনম্র কৃতজ্ঞতা । যদি না পড়ে থাকেন, তাতেও ভালবাসার ক্যান্সার - ২ পড়তে কোন সমস্যা হবে না ।
ক্যান্সারের কড়া গণ্ডা শতকিয়া
তিরিশ বছরে বাংলাদেশে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা কত বেড়েছে তার কোন সঠিক হিসেব আমার জানা নেই । তবে জনসংখ্যার বিপুল বিস্ফোরণ, শিল্পায়ন, নগরায়ন, পরিবেশ দূষণ, ইত্যাকার হাজারো কারণে এই রোগের বিস্...
হাঁটছি বত্রিশ বছর আগের করিডোরে....
জানুয়ারীর ২৩ তারিখ । ঠিক দু’দিন পরে দু’মাসের ছুটি শেষে ফিরে যাব অটোয়ায় । নিজের আবাসে নাকি প্রবাসে ? ঠিক জানি না । যে দেশে আজ এগারোটা বছর কাটিয়ে দিলাম, তাকে আর কতকাল প্রবাস বলব ঠিক জানি না, তবে এখনো নিজের দেশ (পশ্চিমারা যাকে “হোম” বলে) বলতে ভেতরে কোথায় যেন ভীষণ টান লাগে । সে যাক, আমরা দু’বোন হাঁটছি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করিডোর ধরে । আউটডোরের গ...
“আমার নামটার উচ্চারণটা আদতে কঠিনই একটু। খটমটই ছিল, কিন্তু আমি এতই মুখে মুখে ফিরি আমার জন্মের পর থেকেই, যে খুব সহজ আর মাউথেবল-ই হয়ে গ্যাছে এই ‘ক্যান্সার’ শব্দটা এতদিনে! বিজ্ঞানী আর চিকিৎসকরা আমাকে এই রেজিস্টারি নামেই ডাকেন যদিও, এই অঞ্চলে জ্ঞান-বইয়ের বাইরের আলোচনায় সমঝদার-রসিক-অনুরাগী মানুষেরা অন্য একটা নরম ডাকনামও দিয়েছেন আমার- ‘কর্কট’! আমি বাবা কর্কট-মকর বুঝি না, বুঝি না আ...