শীতকাল আসি আসি করছে। দুপুরের দিকে এটা বেশ টের পাওয়া যায়। ছোট ছেলেটাকে খাইয়ে বিছানায় দিয়ে এসে পারুল রান্না ঘরের সাফসুতরো করতে করতে শাড়ির আঁচলটা একটু ভালো মতো জড়িয়ে নেয় পিঠের কাছটায়। ঠাণ্ডা বাতাসটা সবার আগে সে তার পিঠেই টের পায়। এই বাসাটার সমস্যা হলো কলঘরটা মূল বাড়ির বাইরে। এই একগাদা বাসন, হাড়ি পাতিল এখন সেখানে গিয়ে ধুতে হবে। এখন কি আর ইচ্ছে করে এগুলি ধুতে!
বাঙ্গালি বিদেশ যাওয়ার সুযোগ খুব বেশি পায় না। যারা পায় তাদের বৃহদাংশের (বাঙালি শ্রমিক গোষ্ঠী) মনের জমে থাকা কথাগুলো কেউ শোনে না, শুনতে চায় না, শুনতে ভালোও না। যাদের কথা/ অভিজ্ঞতা আমরা শুনি, তারা সমাজের সৌভাগ্যবান অংশটুকুর প্রতিনিধিত্ব করে। আরেকদলের মুখে বিদেশের ভাল ভাল কথা খুব শুনি, তারা হচ্ছে আদমবেপারি।
এদের দুইদলের কাছেই, বৈদেশ হলো স্বর্গ। সেখানে মানুষের পকেট চুইয়ে চুইয়ে টাকা পরে, রাস্তা দিয়ে দুধের (আর মদের) নহর বহে, আকাশ হতে স্বর্ণমুদ্রা ঝরে! এরা বিদেশের গুণগান গাইতে গাইতে মুখের ফেনা তুলে ফেলে।
তো বিদেশ আসলে কেমন? বেশিদিন হলো আমি আসিনি বাইরে, যা দেখেছি, তা দেখেই এ লেখার চেষ্টা। অবশ্যই বিদেশ ভালো, অনেক অনেক ভালো। কিন্তু বিদেশে কি ট্রেন-বাস লেট করে না, দুর্ঘটনা হয় না, মারামারি হয় না, রাস্তায় জ্যাম পরে না? সবকিছুই কি স্বপ্নের মত?
ভদ্র সমাজের সুশীলেরা বিদেশে আসে, বিদেশীদের কাছে দেশের বদনাম তো করেই, দেশে ফিরে যেয়েও বলতে থাকলাম, বিদেশে কি দেখে আসলাম! আর দেশে কি অবস্থা, ছ্যা ছ্যা ছ্যা ছ্যা! এই দেশে মানুষ থাকতে পারে?
বাংলাদেশের ভাল ছাত্ররা কি বিদেশে চলে যাচ্ছে? এই নিয়ে আমি আগে বেশ কিছু লেখা পড়েছি। সচলায়তনের চটজলদি প্রোফাইল দেখলে ঘটনাটা সত্যি বলে ধরে নেওয়া যায়। মোটামুটি বুয়েটিয়ান বলে যে ক'জনকে চিনি তারা সকলেই বিদেশে অবস্থানরত - হিমু জার্মানীতে, জাহিদ কানাডায় বা মুর্শেদ আমেরিকায়। দিনকয়েক আগে আমি নিজের লিঙ্কড-ইন প্রোফাইল আপডেট করার সময় দেখলাম লিঙ্কডইন সুন্দর পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় পিছু। লিঙ্কডইনে আমার বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত পরিসংখ্যান লিখে নিয়ে বুয়েট-সংক্রান্ত হিসাব শুরু করলাম। যা হিসাব পেলাম তা নিয়েই পোস্ট।
১.
উইকএন্ড হলেও ঠিক আছে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার তাড়া থাকে না, একটু আলসেমি করা যায়, চাই কি দুয়েকটা বুক ডন দিয়ে, হালকার উপ্রে স্ট্রেচিং করে একটু ফিটফাটও হওয়া যায়; কিন্তু উইক ডে তে অফিসের পরে যখন চোখে ঝাপসা দেখতে থাকি, তখন পানির বোতল আর ল্যাপটপের বোঝা কাঁধে ঝুলিয়ে ক্রিকেটের মাঠে যাওয়ার মোটিভেশনে অনেক সময়ই টানাপোড়েন শুরু হয়। তবে আমার মতো ক্রিকেট অ্যাডিক্টের জন্য আল্লার পা আল্লায় কোনোমত ...
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ
ভীষন দীঈঈ-ঈ-ঈ-ঈ-ঈ-ঈ-ঈ-- র্ঘ লেখা। নষ্ট করার মত প্রচুর সময় এবং অকারণে নিজেকে খেপাইয়া তোলার অভ্যেস থাকিলে পরে অগ্রসর হউন।পাঠ-পরবর্ত্তী যেকোন রকম শারীরিক ও মানসিক বিক্ষেপের জন্যে লেখক দায়ী থাকিবেন না।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
প্রবাসে অনেকের সাথে কথা বলে জেনেছি, বর্ণবাদ সম্পর্কে 'সঠিক' ধারণা তাদের দেশের বাইরে এসে হয়েছে। দেশের বাইরে আসার পর জেনেছেন একজন 'সেকেন্ড-ক্...