মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে যেসব দেশের পথচলা শুরু, সেসব দেশের মানুষের কাছে স্বাধীনতা এবং বিজয় দিবস ভিন্ন অনুরণন নিয়ে আসে, প্রতিবছর। এটাও হয়ত সত্য যে সবাই সেসব উদযাপন করেন না, বা করলেও ভিন্নভাবে করেন, বা উদযাপন না করার পেছনে ব্যক্তিগত (ইমার্জেন্সি) কারণ থাকে। কিন্তু নিজে(রা) উদযাপন না করলেও বাকিদের উদযাপনে বাধা হয়ে দাঁড়ান বলে মনে হয় না। আমাদের দেশে জেনে না-জেনে আমরা সেটাই করি, খুব সুক্ষ্মভাবে।
[ আমি দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারও দানে পাওয়া নয়। দাম অবশ্য আমি দিইনি, বাকিতেই পেয়েছি পূর্বপুরুষের বদান্যতায়। সেই বাকির খাতা কখনও শুধতে পারব না, জানি। কিন্তু, বাকির খাতায় যে নাম তোলা আছে সেটুকু অন্তত যেন আমরা ভুলে না যাই। যাঁদের রক্তের ওপর গড়া এই দেশে (প্রায়) নির্বিবাদে বেঁচে আছি, তাঁদের রক্তপাত শুরু হয়েছিল এই দিনেই। জানা কিংবা অজানা সেই সকল অসীম সাহসীদের জন্য নিরন্তর শ্রদ্ধা। ]
পঁচিশে মার্চ রাত ১১.৪৫ মিনিটে শুরু হল আমাদের অপারেশন। মুখর প্রত্যয়ে সারারাত জেগে থাকার প্রাণবন্ত আয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ-স্মৃতি বেদিতে সেই কালরাত স্মরণে আমরা শ’দুয়েক তরুণ-যুবা-প্রৌঢ় জড়ো হয়েছিলাম। আমাদের প্রত্যয় ও উদ্যমের সাথে একাত্ম হতে এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক, এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক প্রফেসর রফিকউল্লাহ খান, প্রফ
প্রথমেই সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। বেশ অনেক দিনপর লিখছি। প্রায় দের বছর তো হবেই। গ্যাপটা আসলেই একটু বেশি হয়ে গেলো। বিয়ের পর নতুন জীবন শুরু করতে অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পরি, এখন নিজেকে কিছুটা অপরিচিত লাগছে লেখায়।
আমার মাতৃভূমি….. আমার বাংলাদেশ.……….
“মুক্ত বিহঙ্গ”
সকালে ঘুম থেকে উঠেই ইউনিভার্সিটি যাবার তাড়া । খুব দ্রুত নাস্তা সেরে দুপুরের লাঞ্চটা ব্যাগ-এ নিয়ে এক-ছুটে বাস ধরবার জন্য দৌড় দেই । এই বাস ধরতে না পারলে পনেরো মিনিট এই মাইনাস বিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস-এ দাঁড়িয়ে থাকতে হবে বাস স্টপে পরের বাসটার জন্য । কানাডার এই এডমন্টন শহরে গত দেড় বছর বসবাস করবার কারণে মাইনাস বিশ ডিগ্রি সেলসিয়া...
… দেশের সংবাদের জন্যে এতো যে আগ্রহ, অধীরতা আমার, অনেকটা হয়তো নেশাগ্রস্তের মতো, কিন্তু কী দেখবো বলে আশা করি প্রতিদিন? স্পষ্ট কোনো উত্তর জানা নেই। ঘটনা-দুর্ঘটনা, হানাহানি, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিপুল বিস্তার আর হতাশার খবর...
‘আস-সালামু আলাইকুম।’
‘ওয়া আলাইকুম আস-সালাম।’
‘জনাব, আপনার লগে পাঁচ মিনিটের জন্য একটু একা কথা বলতে চাইতেছিলাম, জরুরি।’
‘আপনি আবার পত্রিকার লোক না তো, চাচামিয়া?’
‘জ্বী-না জনাব। আগে স্কুলে পড়াইতাম। এখন মুদির দোকান চালাই।’
‘আচ্ছা এই দিকে আসেন।’
‘বলেন এইবার। কি ব্যাপার?’
‘জনাব আপনারে আমি একাত্তরের একটা গল্প শুনামু। না... না! আপনি উত্তেজিত হইবেন না। পাঁচ মি...