অসাবধানে যেই না ছুঁলো আমায় তোমার আংগুলে,
কে যে আমায় খাইয়ে দিলো চরম নেশার ভাং গুলে।
প্রেম জগতের আংগিনাতে ছিলাম বড়ো নিঃস্ব রে,
কোন পূণ্যে তোমায় দিলেন মিলিয়ে আমায় ঈশ্বরে।
হৃদয় আমার একটি কথা বলছে প্রতি নিঃশ্বাসে,
এই জীবনের, এই শরীরের, এই আত্মার হিস্যা সে।
বাতাস যখন জমায় খেলা তোমার কালো কুন্তলে,
আমার সকল হৃদয় জুড়ে প্রেম রাগিণীর ধুন তোলে।
তোমার ঠোঁটের কূল ভাংগলে আনন্দে কি উচ্ছ্বাসে
"ঘর ছেড়ে যে বাইরে গেছে তার থাকে না ঘর বাড়ি
শহীদ কাদরী"
সব ফেলে
কতবারই তো নেমেছি রাস্তায়
শেষ ট্রেন ফেল করার তাড়াহুড়োয় চেপে বসেছি
আন্তঃনগর হৃদয়ে-
জলের ঝাপসায় চোখ পাথর হয়ে গেলে
বিরতিহীন বাসও বিরতি নেয়-বাইপাস
পথেও ব্যারিকেড থাকে-ঘুর পথে ঘুরতে ঘুরতে
ভুলে যেতে হয় স্নেহের ঠিকানা-
তবুও তো কতবার
বদ্ধ পাগলের মত সব উড়িয়ে গুড়িয়ে
পরিচিত কড়া দুটি নাড়তে গিয়েও
ভেতরের ক ...
'আমার' বলে কিছু
আছে নাকী!
মাঝে মাঝে নিজেকে চিনতে পারি না
আর তুমি!
কতোইবা? বড়জোর ছ', বেশি হলে দশ
ধরলামই না হয়
শূন্য থেকে পরস্পরকে আমরা চিনি-
(তাই কী!)
তারপরও চকিত চোখে এখনও যখন তাকাও
কেঁপে উঠি--স্রষ্টার সামনে যেমন
লুপ্ত হয় লৌকিক জীবনজীবিকা...
বা হাতের মসৃণ মুঠোয়
হৃদয়টিকে খোসা ছাড়িয়ে
স্ট্রবেরির মতো স্ট্রেটকাট নিজের করে
চেপে রাখলেই
কী একান্ত হয়ে গেলাম!
হাসানতো বলে গেছে
মানুষ তার ...
দেখো চোখ ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়
কতো চিত্রনাট্য, কুশীলব আর
মঞ্চস্থ সংলাপ-
তোমাকে রেখেই তুমি
দেখো চলে যাও
হেসে, গেয়ে, নেচে- যেভাবে নদীর
জ্বলন্ত জল ভাঙ্গে পাড়...
তুমিও তেমন সর্বশ্রান্ত হও
পাউরুটির খয়েরি কোনার মতো
এঁটো থালাটির মাখন মাখানো
চামচের নিচে চাপা পড়ে থাকো-
কেউকি তোমাকে দেখে?
দেখো সন্ধ্যা হয়েছে বলে
মাছিরা অন্ধ আজ (তোমার পাশেই ওড়ে তোমাকে ছোঁয় না), রক্তের দিক ভুলে
চেনা বাদুড়ও গেছ ...
কারে যেন খুজে ফেরে
উদাসী চোখের নদী।
জানি, সে তুমি।
পৌনঃপুনিক ফিরে আসে বিশ্বাসঘাতক রাত্রির মায়া-
আলেয়ার পিদিম জেলে ডাক দিয়ে যায়
সেইসব রাত্রির কোলাহল!
শুধু তুমি আসনা!
তুমি ডাকনা!
অথচ তোমার তরে কী নিদারুন আর্তি আমার
চোখে,হৃদয়ে,মনে ও মননে;
মস্তিস্কের প্রতি নিউরনে।
১৯/১১/০৯ইং
##আকাশলীনা##