আজ ক্লাস করবো না। এই বিষয়ে বাচ্চাদের বাহানার অন্ত নেই। এতোদিন পর ক্লাস শুরু হলো, আজ পড়বো না। কাল থেকে তো ছুটি শুরু, আজকে নাহয় পড়া থাক। কারেন্ট চলে গেছে, গরম খুব, পড়বো না এখন। কি সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে, এর মধ্যে কি পড়া যায়?
একটা খবর পড়ে ভালই লাগলো। সরকার সংসদে বলছে বাংলাদেশে এখন ৯৯’৪৭ শতাংশ বাচ্চা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। কিন্তু এটা কততুকু সত্য সেটা নিয়ে একটু সন্দেহ আছে। আশেপাশের অবস্থা দেখে তেমন টি মনে হয় না। তবুও আশাবাদি হতে ভাল লাগে, ১০০ শতাংশ হলে আর ভাল লাগত। এবারের সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল টা অবশ্য আশাপ্রদ......।
পথে যেতে যেতে মনে হল রাইট ব্রাদার্স রা নিশ্চয়ই প্রেমে পড়েছিল। না হলে উড়ার কায়দা আবিষ্কার করেছিল কিভাবে? আমি ও উড়ছিলাম। জিজ্ঞেস করলাম কোন ক্লাসে পড়? “নাইন”। সে ত হবেই। ক্লাস নাইনের চেয়ে জীবনে মধুর কিছু হতে পারে?
আমাদের হাইস্কুলের নামটা একটু অদ্ভুত। আ,ধ,বে,মে হাইস্কুল। পুরো নাম আলহাজ্ব ধনাই বেপারী মেমোরিয়াল হাইস্কুল। সবাই ছোট করে বলত ধনাই বেপারীর ছাত্র। আমি ছোট বেলায় অনেকগুলো ব্যাপারে হীনমন্যতায় ভুগেছি তার মধ্যে এই স্কুলের নাম একটা। ধনাই বেপারীর ছাত্র হওয়াটা আমার জন্য মোটেও খুব সুখের কিছু ছিলো না কারণ স্কুলের আসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার ছিলেন আমার চাচা। আমার আব্বা ছিলেন চরম প্রথাগত মানুষ, রবীন্দ্রনাথ নজরুল ছাড়
[justify]-আদর আলী-ই-ই-ই।
-ইয়েস স্যার।
-এদিকে আসো। দেখি তুমার জামাকাপড় ঠিক আছে কিনা। ইউনিফর্ম পইরা আইছো তো?
-জ্বি স্যার।
-জুতায় ময়লা ক্যান? হালচাষ করছো নাকি ক্লাসে আসনের আগে? প্যারেডে যাওয়া বাদ দিয়া?
-না, স্যার। প্যারেডে লেফট-রাইট করার সময় ধূলো উড়ে ময়লা হয়ে গেছে বোধহয়।
_ও, আচ্ছা। কিন্তু প্যারেডে পা না নাড়াইয়া লাত্থি দেওনের লাহান ঝাকাইলে তো ধূলা উড়বোই। অন্য কারও পায়ে তো তুমার লাহান ময়লা দেহি না। তা শরীল কীরম আছে? রাইতে ভালা ঘুম হইছে?
-জ্বি স্যার, হয়েছে।
-আর লেহাপড়া? নাকি জুতমতো ঘুমাইতে গিয়া ভুইলা গেছো?
-না, স্যার। পড়াশুনাও করেছি।
-হুম, তা দেহি কী পড়লা। যাও বই নিয়া আইসা শুরু করো কাইল যেইহানে শ্যাষ হইছিলো ঐহান থাইকা।
তোমার নাম কী?
তোমার বাবার নাম কী?
একটা ছড়া বলতো?
একটা গান গাও তো?
ছোট্টবেলায় আমাকে পেলেই সবাই এইসব প্রশ্ন করার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে যেত। আর আমিও একদম রেডি থাকতাম গান গেয়ে বা ছড়া আবৃত্তি করে সবার প্রশংসা পাবার জন্য। সব প্রশ্নের উত্তরই যে পারতাম তা নয়। মাঝে মাঝে বাবার নামটা ভুলে যেতাম। এভাবেই চলছিল আমার দিনগুলো।
- মাইনুল এইচ সিরাজী
আমাদের ৫ বছরের মেয়ে কুশিয়ারা। একটু বড় হওয়ার পর যখন সে খাতা-পেনসিলে আঁকিবুকি করতে শিখল, তখন থেকেই সে স্কুলের স্বপ্ন দেখতে থাকল। টিভিতে যখন সে স্কুল-ড্রেস পরা বাচ্চাদের দেখে, কিংবা যখন কোনো স্কুলের সামনে দিয়ে যায়- বলে, মা আমি কখন স্কুলে যাব? বলে, বাবা আমাকে স্কুল-ড্রেস কিনে দাও না কেন?
তার সঙ্গে আমরাও স্বপ্ন দেখি, চার-পাঁচ বছর হলেই তাকে স্কুলে দেবো। শাদা-মেরুন কিং ...
[বিষণ্ণ বাউন্ডুলে]
কাল রাতে ঘুমাতে দেরি হইছিলো,স্বভাবতই উঠতে দেরি হবার কথা।তা না,ঘুম ভেঙে গেলো এক্কেবারে ভোরবেলায়!আজব ব্যাপার!
যাই হোক,আর ঘুমালাম না।সকালের নাস্তা করে একটু বের হতেই দেখি,একটা পিচ্চি তার মা'য়ের সাথে স্কুলে যাচ্ছে।মা টা পিচ্চিটার একটা আঙ্গুল ধরে রাখছেন,আর উনি মহানন্দে তিরিং বিরিং করে এগুচ্ছেন!বাউন্সিং বলের মত!অসাধারন লাগছিলো দেখতে।
সেই থেকে দৃশ্যট ...
ছেলেবেলায় আমি চুড়ান্ত রকমের হাবা ছিলাম। প্রথম স্কুল যাত্রার বয়সে আমার চেয়ে বেশী হাবা নাকি শহরে খুব বেশী ছিল না।
সময়কাল ১৯৭৪ সাল। শহরে নতুন এসে প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হয়েছি প্রথম শ্রেনীতে। স্কুলে ভর্তির আগে আমি ঘরে বসেই বাবা মার কাছে পাঠ নিয়ে ক্লাস ওয়ান, ক্লাস টু দুটোর বইই পড়ে শেষ করে ফেলেছিলাম। তাই কথা ছিল আমাকে সরাসরি ক্লাস টু-তে ভর্তি করিয়ে দেয়া হবে যাতে একই ক্লাসে পাঠরত মাম...
নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার মাসখানেকের মধ্যে লক্ষ্য করা গেল, সেখানে নতুন কারও সাথে পরিচয় হওয়ার পর নাম এবং আরও কয়েকটি খুটিনাটি প্রশ্ন করার পর য...