আজ থেকে প্রায় অর্ধ শতাব্দী আগে, হোর্হে লুইস বোর্হেস একবার চোখ বুজতেই ক্ষণিকের জন্য কিছু পাখি দেখতে পেলেন। যদিও সেই কল্পদৃশ্যটির স্থায়ীত্ব ছিলো মাত্র এক পলক, কিন্তু সেটা তার চিন্তাকে নিয়ে যায় ঈশ্বরের অস্তিত্ব সংক্রান্ত এক অবশ্যম্ভাবী উপসংহারের দিকে। বাকিটা আমরা তার মুখেই শুনি, [1]
---
এ পর্যায়ে এসে বিচক্ষণ পাঠককে বিশেষভাবে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, দর্শন-তাত্ত্বিক জ্ঞানচর্চার অংশ হিসেবে বক্ষ্যমান লেখাটিকে কেউ যেন ব্যক্তিগত বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ছকে ফেলে নিজের মানস-চেতনাকে অহেতুক উৎপীড়িত না করেন এবং উদারনৈতিক যুক্তিশীল অবস্থান থেকেই বিভিন্ন দার্শনিক-মতের নিজ নিজ যুক্তি-তর্কের উপস্থাপন হিসেবে উপভোগ করেন।
---
ঈশ্বর তুমি মানুষ চেন নি, চিনেছ ধর্ম, রাষ্ট্র?
ঈশ্বর তুমি ক্ষমতার দাস, ঈশ্বর তুমি শ্রেষ্ঠ?
ঈশ্বর তুমি মসজিদে বাঁচ, বাঁচ মন্দিরে, গির্জায়?
ঈশ্বর তুমি বুলেটের সাথে, তলোয়ারে আর ক্ষমতায়?
ঈশ্বর তুমি নেমে এসে দেখ, কাঁদছে মানুষ রামুতে,
ঈশ্বর আছ? নাকি আজও তুমি সামিল সংখ্যাগুরুতে?
ঈশ্বর তুমি মনে করে দেখ, চারিদিকে সব লড়াইয়ে,
জিতেছে রাষ্ট্র, ধর্ম বা জাতি, হেরেছে মানুষ -
যখন বাবরী মসজিদ ধংসের পর উপমহাদেশে সংখ্যালঘুদের বিনাশ-নিশ্চিহ্ন করা হয়- ভাবি, ঈশ্বর কি করছেন?
যখন ইরাক বিধ্বস্ত হয়- মনে হয়, ঈশ্বর এখন কোথায়?
যখন দেশে-দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-অত্যাচার অথবা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়- চিন্তা করি, ঈশ্বর আসলে কেন?
যখন রামুতে সব ধংস হয়- মনে জাগে, ঈশ্বর কি করেন?
যখন সংখ্যাগুরু রাখাইনরা রোহিঙ্গাদের নির্মূল করে- প্রশ্ন জাগে, ঈশ্বর কী ভাবেন?
*
তুমি বাড়ীর পথে ছিলে, যখন তুমি মারা যাও।
গাড়ীতে ছিলে, ভেঙ্গেচূড়ে পড়েছিলো তোমাকে নিয়ে। তোমার স্ত্রী আর দুই সন্তান রয়ে গেলো। মারা গেলে। সাদা এপ্রনের ওরা সব করেছিলো, যা কিছু করা যায়- কিন্তু। খুব করে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিলে তুমি, যেমন তোমার গাড়ীর সব কাঁচ, কিংবা সব স্বপ্ন তোমার। বিশ্বাস করো তোমার চলে যাওয়াই ভালো ছিলো সব থেকে।
তারপর, আমাকে দেখলে তুমি। আমি, তুমি।
*ঈশ্বর ও ধর্মকে যারা যুক্তি দিয়ে বিচার করতে চায় এই লেখাটি শুধুমাত্র তাদের জন্য,যারা ইশ্বর ও ঔশ্বরিক ধর্মকে যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চায় তাদের জন্য নয়।এই পোস্টটি খুব তাড়াহুড়া করে লেখা,কিন্তু একজন সচল বন্ধু কোন পথ খুজে পান না,তাই ধর্মের পথে হাটঁছেন জেনে চুপ করে থাকতে পারলাম না।
১।কোন কিছুর অস্তিত্ব প্রমান সাপেক্ষ,অস্তিত্বহীনতা নয়।তাই ঈশ্বরে বিশ্বাস করার জন্য ঈশ্বরের অ...
প্যাচপ্যাচে অন্ধগলি
অন্ধগলি বললেও ভুল হয়-
কেমন গুমট গন্ধ চারিদিকে
সিগারেটের ফিল্টার, পলিথিন ব্যাগ
ছেঁড়া কাগজ, কনডমের ছেঁড়া প্যাকেট ছড়ানো-ছিটানো
মাঝে মাঝে খিস্তি-খেউড় ভেসে আসছে কানে
দু' একটা অস্রাব গালিতে ঈশ্বর বেচারার কান লাল হয়ে যাচ্ছে
কিন্তু কি আর করা- তাকে চলতেই হবে
সামনে যে যিশুর মাতা
মরিয়ম, মা মেরী।
মনে হয় না এবার ঈশ্বর সফল হবেন
মরিয়মও নিঃস্তেজ
সে বুঝতে পারছে বড় কঠিন তা...
ছেলেটা এখনো অনেক ছোট। তারও ছোট আরেকটা ছেলে। ভাই। মা নেই। বাবাও না। ছেলেটার বড্ড কষ্ট। কঠিন রোগ হয়েছে তার ছোট ভাইয়ের। তারও। তার মা-বাবা, সবার একই রোগ। কঠিন রোগ, গরিব রোগ। দুঃখ রোগ। বোনেরও। উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়ে আসা এ সমাজেরই রোগ- এই গরিব রোগ।
ঈশ্বর তাদের পাঠিয়েছেন এই রোগ দিয়ে, আবার নিয়ে যাবেন এই রোগ সহকারেই। তিনি মানুষকে নিয়ে খেলতে ভালোবাসেন। বৈষম্য নিয়ে খেলা করাই ঈশ্বরের উদার...
শুয়ে আছি। টেবিলল্যাম্পটা শুধু জ্বলছে। পাশে স্লাইডিং ব্যালকনি ডোর। পর্দা নেই কোন। সকালে ঘুম ভাঙলে নীল আকাশ দেখতে পাই। যেমনটা ঢাকায় দেখতে পেতাম।
এখন র...
চলে যাও সুখে থাকো আমার ঈশ্বর
==================
অনেকখানি ছন্দপতন দৃষ্টিপাতে
ভুলের মায়ায় জড়িয়ে যাচ্ছে রাতবিরেতের স্বপ্নদাগ আর অচেনা মুখ
নরম আলোর আলতো গালে
...