Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

অণুগল্প।

ছয় শব্দের গল্প-৩।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৮/০৩/২০১১ - ৩:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চেষ্টা-চরিত্র করে আরো কয়েকটা লিখলাম।

২৫। “ব্যথা লাগছে?’ “নাহ”। “তাহলে চলুক।“ “আচ্ছা।“
২৬। নিস্ফলা জমিতে চাষ। দোষ হয় কপালের।
২৭। সারাক্ষণ টিভি কমপিউটরে থাকি। রাইটার্স ব্লক।
২৮। এক শব্দে গল্প? তাও হয়। “না”।
২৯। মেয়েটিকে দেখে কিশোরটি যুবক হয়ে ওঠে।
৩০। পূর্নিমা দেখবো। আলো নেভাও। মুখটা তোল।
৩১। খিদে লেগেছে। হালাল-হারাম কাল দেখবো।
৩২। রিকশাতে চড়ে ভিক্ষুকটি ভাবে, আমিই নবাব।


ছয় শব্দের গল্প-২।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১২/০৩/২০১১ - ১০:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আবারো জোর করে লিখলাম কয়েকটা। এর কয়টা গল্প হলো আর কয়টা শ্লোগান, কে জানে?

১৩। ভাঙ্গা দালান। পূর্ণিমা । অশরীরিরা আমাদের দেখছে।
১৪। ঘুমে যাকে ছুঁই, জাগরণে তাকে পাইনা।
১৫। সাগরে মুক্তো থাকে। মুক্তোতে অশ্রুর সাগর।
১৬। আকাশের ঝড় ঘর ভাঙ্গে, ঘরের ঝড় ----?
১৭। টাকার র‍্যাপিংএ ভালবাসার খুঁত ঢাকা পড়ে।
১৮। গরুটা ভালবাসা চেয়েছিল। স্টেইকটাকে যত্নে চিবুই।
১৯। বন্ধুটি বলেছিল, ‘কাল আসিস’। মাথা খারাপ!


অণুগল্প-৯। দাদুর গল্প।

জাহিদ হোসেন এর ছবি
লিখেছেন জাহিদ হোসেন (তারিখ: রবি, ১১/০১/২০০৯ - ৪:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘দাদু, ওই গল্পটা আবার বলো।’
‘কোন গল্পটা?’
‘ওই যে ওই পূর্ণিমা রাতের গল্পটা।’

দাদু সে কথায় হাসেন। সে হাসির কোন শব্দ নেই, তবু বুঝতে পারি যে দাদু হাসছেন।

সরসর শব্দে কিছু শুকনো পাতা উড়ে যায়। গ্রামে এই এক মজা। কত রকম শব্দ শোনা যায়। কত রকম পাখির ডাক, কত রকম মানুষের গলার আওয়াজ, কত রকম জলের শব্দ। মাঝেমাঝে পুকুরের কালো জলে ঘাই দেয় কাতলা মাছ, তার শব্দ। যখনই গ্রামে আসি, প্রতিবারই বুকের মাঝে নত...


অণুগল্প-৮। কোকিল।

জাহিদ হোসেন এর ছবি
লিখেছেন জাহিদ হোসেন (তারিখ: শনি, ১০/০১/২০০৯ - ১১:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই নিয়ে তৃতীয় বারের মতো সুবিমল বাবুর চোখে জল এলো।

বয়েস বেশী হয়ে যাওয়ার অনেক ফ্যাঁকড়া। তার মধ্যে একটা হচ্ছে যে শরীর আজকাল আর কথা শুনতে চায়না। ডানে বললে বাঁয়ে যায়, দাঁড়াতে বললে আছাড় খায়। মনেও থাকছেনা অনেক কিছু। এইতো সেদিন ঘরে বসে কিছুতেই মনে করতে পারলেন না যে কাকের বাসায় কোকিল ডিম পেড়ে যায়, নাকি কোকিলের বাসায় কাক।

রিটায়ার করার পর থেকেই কথায় কথায় চোখে জল আসাটাও শুরু হয়েছে। অথচ এই ...


অণুগল্প-৭। ঘোল।

জাহিদ হোসেন এর ছবি
লিখেছেন জাহিদ হোসেন (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/০৫/২০০৮ - ৫:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলায় একটা কথা প্রচলিত আছে। "দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানো"। ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই, এর অর্থ আমাদের সকলেরই জানা।
আমাদের বন্ধু কিসলুর থিওরী ছিল উলটো। সে বলতো,"ঘোলেই যদি স্বাদ মেটানো যায়, তাহলে এক্স্ট্রা পয়সা খরচ করে দুধ কেনার দরকারটা ক...


অণুগল্প-৬। দেয়ালঘড়ি।

জাহিদ হোসেন এর ছবি
লিখেছেন জাহিদ হোসেন (তারিখ: বুধ, ৩০/০৪/২০০৮ - ১:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ বৃহস্পতিবার। আগামীকাল শুক্রবারও হতে পারে, আবার সোমবারও হতে পারে। তেরোশো সাতাশ সালও হতে পারে, আবার তিনহাজার দুই সালও হতে পারে।

আজ চয়নের অফিস ছিল। সবটুকু কাজই শেষ করে আসতে হয়েছে। আগামীকালের জন্যে কোনকিছু রেখে আসা যাবেনা। আগ...


অণুগল্প-৫। ওরা কয়েকজন।

জাহিদ হোসেন এর ছবি
লিখেছেন জাহিদ হোসেন (তারিখ: মঙ্গল, ২৯/০৪/২০০৮ - ২:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাইরে প্রচন্ড গরম, কিন্তু বারান্দায় বসলে একটু আরাম লাগে।

সকালে গোসল করাটা তার চিরকালের অভ্যাস, আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তিনি বারান্দায় চেয়ারে বসে শান্তভাবে অপেক্ষা করছেন।

একটু পরেই কাজের মেয়েটিকে দেখা গেল বারান্দায়। মহিলা...


অণুগল্প-৪। ওরা দুজন।

জাহিদ হোসেন এর ছবি
লিখেছেন জাহিদ হোসেন (তারিখ: রবি, ২৭/০৪/২০০৮ - ৭:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাইরে প্রচন্ড গরম, কিন্তু তারপরও গাড়ীর কাঁচ তোলা। ভিতরে বসে থাকা মহিলাটি একটু বিরক্ত। গরমের জন্য না, গাড়ীর ভিতরে ফুলস্পীডে এয়ারকন্ডিশনার চলছে। মহিলাটি বিরক্ত কেননা ড্রাইভারটি এখনো আসছেনা তাই। সামান্য ক'টা জিনিস কিনতে এতক্ষণ ...


অণুগল্প-৩। আয়ে না বালাম।

জাহিদ হোসেন এর ছবি
লিখেছেন জাহিদ হোসেন (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৭/০৪/২০০৮ - ১০:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিকেল চারটে কুড়ি। আর দশ মিনিট বাকী।

গলিটার শেষে জুম্মনের চা-বাখরখানির দোকান। বাপ কোহিনূর কারিগরের হাতে গড়া দোকান। এই দোকানের বাখরখানির খ্যাতি বহু পুরানো। আছে কুখ্যাতিও। দোকানটির ঠিক উলটোদিকেই শহরের বেশ্যাপল্লীটি। লোকেরা ব...


অণুগল্প-১। হিসেব-কিতেব।

জাহিদ হোসেন এর ছবি
লিখেছেন জাহিদ হোসেন (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৪/২০০৮ - ৫:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"একাশি, বিরাশি, তেরাশি।"
এই নিয়ে ছয় বার গোণা হোল। প্রতিবারেই তিরাশি। তার মানে গোণার ভুল হয়নি।

টাকাটা পকেটে ভাল করে গুঁজে রাখেন নীলরতন সেনশর্মা। লোকে ডাকে নীলু মাস্টার। সাত বছর আগে রিটায়ার করলেও নামটি এখনো তার পিছু ছাড়েনি।

সন্...