[justify]পটভূমিঃ
পহেলা বৈশাখের (১৪২২) দুইদিন আগের ঘটনা। আমরা বান্ধবীরা মিলে ফোনে কথা বলে ঠিক করলাম অনেকদিন যেহেতু দেখা হয়না, তাই এবার পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে দেখা করব। এও ঠিক করলাম সবাই শাড়ি পড়ব- অনেক উজ্জ্বল রঙের শাড়ি- লাল, কমলা, নীল। এই প্রথম বন্ধু-বান্ধবীর সাথে টিএসসি ও চারুকলায় ঘুরতে যাওয়া পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে। এজন্য জল্পনা-কল্পনারও কমতি ছিলনা। এর আগে অবশ্য যাওয়া হয়েছে, কিন্তু পরিবারের সাথে।
চৈতির মনে আজ দারুন আনন্দ। জীবনে প্রথমবারের মত স্বাধীনতার স্বাধ পেতে যাচ্ছে। ছোট বেলা থেকে হয় বাবা নয় বড়ভাই এই দুইজনের শাসনে কিছুই করতে পারে নি। স্কুলে পিকনিক হচ্ছে সবাই যাচ্ছে, শুধু চৈতি যাচ্ছে না। কারন বাবা বলেছে যাওয়ার দরকার নেই, নিরাপত্তা ভালো না। বড় হও তখন যেও। তারপর চৈতি বড় হল, কলেজে ভর্তি হল কিন্ত কোন কিছু পরিবর্তন হল না। প্রতিদিন কলেজে যাওয়ার সময় বাবা নামিয়ে দিত আর বিকেলে কলেজ শেষে ভাইয়া বা
সবাইকে পহেলা বৈশাখে ১৪২২ নববর্ষের শুভেচ্ছা। আরও একবার বৈশাখ আমাদেরকে বাঙালির সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন সামাজিক অনুষ্ঠানে একত্রিত হওয়ার সু্যোগ দিয়েছে। এই শুভ ক্ষণেও মৌলবাদীদের একদল পহেলা বৈশাখকে অমুসলিম বা হিন্দুদের বা বিধর্মীদের উৎসব সুতরাং ‘নাজায়েজ’ বলে বন্ধ করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। যার প্রমাণ আমরা বোমা হামলা থেকে শুরু করে আরো অনেক লেখালেখি বা অনলাইন প্রচারণায় প্রতিনিয়ত দেখছি। মৌলবাদীদের অ
গত কয়েকটি দিন ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইলিশের ফেরিওয়ালারা পাঁচ মিনিট পরপর হাঁক দিয়ে গেছে । বাতাসে ইলিশের গন্ধ, রাস্তার মোড়ে মোড়ে গলি-ঘুপচিতেও রুপালি ইলিশের হাতছানি। ফেরিওয়ালাকে দাম জিজ্ঞাসা করার সাহস হয় না। তবু মাঝে মাঝে দলবদ্ধ মানুষের উৎসাহে সামিল হয়ে মুখ ফস্কে বেরিয়ে যায় - কত করে কেজি?
তানভীর ভাইয়ের বাসায় আবারো পটলাক পার্টি। মূলতঃ ভাবীর উদ্যোগেই এই আয়োজন। উপলক্ষ-- পহেলা বৈশাখ ১৪১৭। এখানে বাংলাদেশী কমিউনিটির উদ্যোগে ঘটা করে নববর্ষ উদযাপন হবে, তবে সেটা অনেক পরে; পরীক্ষা-টরীক্ষা শেষ হলে। ততদিন তো আর বসে থাকা যায়না, তাই আজ সন্ধ্যায় আমাদের নিজেদের এই আয়োজন।
মেন্যু (ছবির ক্রমানুসারে নয়)
১। দুই ধরনের আলু ভর্তা
২। টমেটো ভর্তা
৩। ব্রকলি...
মুক্ত বিহঙ্গ
ছবিঃ পহেলা বৈশাখ [উৎসঃ ইন্টারনেট]
[justify] রিফাতের ঘুম ভাঙে তার পোষা বিড়াল টেমু-র ডাকে। নির্দিষ্ট বিরতিতে সে ডেকেই যাচ্ছে- “মিঁয়াও…. মিঁয়াও…. মিঁয়াও….” যার অর্থ হলো, “এতক্ষণ ঘুমাও কেন? আমার ক্ষিধে পায়নি বুঝি?” দেয়াল ঘড়িতে দেখে রিফাত, সাতটা বাজে। সাধারণতঃ সকাল ছয়টার মধ্যেই বাসার সবাই উঠে পড়ে প্রতিদিন। কিন্তু আজ পহেলা বৈশাখ; ছুটির দিন। তাই সবাই ঘুমাচ্ছে। এটা তো আ...
আগের মতোই আর একটি নববর্ষ চলে গেলো। তবে বছরের শেষ বা প্রথম ঝড়ে ভিজেছি। বৃষ্টিতে তো সবাই ভিজি, ঝড়ে ভেজার মজা কিন্তু একেবারেই অন্য রকম! সকালে সাজ গোজের কমতি নয় বরং আগের থেকে বারতি করেই কলা ভবনে বন্ধুদের সাথে দেখা করতে চলে গেলাম। কৃষ...