এইচআইভি নামের ভাইরাসটি এইডস রোগের জন্য দায়ী। এইডস হলে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দূর্বল হয়ে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে, আপাত নীরিহ রোগগুলোই ভয়াবহ হয়ে ওঠে। এইডস কথাটার লম্বা মানেও সেই কথাই বলে। সহজ বাংলায় বললে, এইডস অর্থ "রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার লক্ষণ"! রোগীর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে সেটা বোঝা যাচ্ছে, কারণ রোগী নানারকম সহজ-কঠিন রোগে আক্রান্ত! রোগ সারছে না! শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে বলেই সারছে না!
ডুয়েসবার্গ কী বোমা ফাটিয়েছেন সেটা আগের লেখাতেই বলেছি। তিনি বলতে চেয়েছেন, এইডস নিয়ে তোমরা অনর্থক লাফাচ্ছ! লাফালাফি বন্ধ করা দরকার! কারণ,
দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ। শুনলাম, মশায় কামড়ালে ডেঙ্গু হয়! ঠিক বুঝলাম না। বাঘে কামড়ালে ডেঙ্গু হয়না কেন?!
জানলাম, মশার কামড়ে রক্তে ভাইরাস ঢুকে পড়ে, তাই ডেঙ্গু হয়। সেও ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না! প্রোটিনে মোড়া গোটাকতক জিন (gene) রক্তে ঢুকলেই ডেঙ্গু হতে হবে? আরো কতকিছু যে রক্তে ঢুকছে, তাতে ডেঙ্গু হয়না কেন? সাপ-ব্যাঙ যা আমরা খাই সবই তো ভেঙেচুরে সেই রক্তে ঢুকে পড়ে। অথবা সেকেন্ডে সেকেন্ডে যে অক্সিজেন ঢুকছে, তারবেলা? সিগারেট খেলেই যে দুম করে গণ্ডা গণ্ডা বিশ্রী বিশ্রী রাসায়নিক দুম করে রক্তে ঢুকে যাচ্ছে তাতে ডেঙ্গু হতে পারেনা?
।।এক।।
ছোটবেলায় আমার সবচেয়ে প্রিয় খবরের কাগজ ছিল ইত্তেফাক। বড়দের রাজনৈতিক আলোচনায় হয়তো "ইত্তেফাক" আর "সংবাদ" রেফারেন্স হিসাবে পাশাপাশি থাকত ("ইনকিলাব" আর "সংগ্রাম" বাদ দিয়ে, ওইগুলান ভিন্ন লাইনের), কিন্তু অনেক কিছুর বিচারেই ইত্তেফাক ছিল এক নম্বরঃ বেকারদের জন্য অজস্র চাকরির বিজ্ঞাপন, বাড়ি ভাড়া, বিদেশযাত্রার সংবাদ, বিবাহের খবর, দেশি বাংলা সিনেমার বিজ্ঞাপন (সেই আমলের সামাজিক-রোমান্টিক ছবি), আরও কত কী! কিন্তু আমার শৈশবের ইত্তেফাক প্রিয় হওয়ার একমাত্র কারণ ছিল 'টারজান'! সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে টারজানের সেই তিনটা ব্লক পড়ার জন্য অধীর আগ্রহে পত্রিকাওয়ালার অপেক্ষায় বসে থাকতাম।
আমার একজন পরিচিত বড় ভাই, একসাথেই আড্ডা মারি, কিছুদিন আগে বিবিএ শেষ করেছেন। তো, একদিন উনি জীবনের প্রথম ইন্টারভিউ দিয়ে এসে আমাদের সামনে নতুন একটা আড্ডা মারার টপিক এনে দিলেন। কি কি প্রশ্ন করা হয়েছে, কিভাবে উত্তর দিতে হল এই সব হাবিজাবি কথায় সময়টা পার করে দেয়ার চেষ্টা। দশটার বেশি হয়ে গেলেতো সবাই উঠি উঠি করবেই, কয়েক জনের বাসা আবার উত্তরায় (ঢাকার বাইরে প্রায়)। বিরক্তির মূলে ছিলো একটা রিট...
মানুষের চাইতে ভাইরাস অনেক দিক দিয়ে এগিয়ে। দুইটা ব্যপার বলি, প্রথমত মানুষ গর্ভবতী হলে বাইরে থেকে দেখেও বোঝা যায়। ভাইরাসের ক্ষেত্রে যায়না। আর দ্বিতীয়ত, মানুষকে যথা সময়ে বাচ্চা দিতে হয়। সে ইচ্ছেমতো অপেক্ষা করতে পারেনা। ভাইরাস পারে। এই দুটি ক্ষমতার জন্য ভাইরাস যে কতো সুবিধা ভোগ করে সেটা বুঝতে পেরে প্রথমবার আমার চোয়াল ঝুলে পড়েছিলো। বস্তুত সেই প্রথম আমি বুঝতে পারি কিভাবে মানুষের ...
শুকরের জ্বর (সোয়াইন ফ্লু) থেকে রক্ষার উপায় সবাই জানে। আর এর ওষুধ ও বাজারে এসে গেছে মাশাল্লাহ। সুতরাং আসুন আমরা অযথা আতঙ্কিত না হয়ে শুকরের জ্বর বিষয়টি নিয়ে খোশগল্প জুড়ে দেই। মানে বোঝার চেষ্টা করি কিভাবে এই বেক্কল ভাইরাস বাতাসে উড়ে এসে, আমাদের ফুসফুস জুড়ে শুয়ে-বসে, নানান তামাশা দেখায়...
পুরান প্যাচাল বিষয়ক কিছু কথা:
অ-নে-ক আগে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক কয়েকটি লেখা ...
পুরাকালের এক পাপিষ্ঠ ছিল (এই মূহুর্তে নাম মনে করতে পারছিনা) যে বর পেয়েছিল যে তার মৃত্যু হবে না কোন মানুষ অথবা পশুর হাতে, দিনে অথবা রাতে, মাটিতে অথবা শুণ্যে, (আরো অনেক কিছু )। ভগবান বিষ্ণু সেই পাপীকে মারেন মানুষ ও সিংহের মিলিত রুপে, সন্ধ্যার সময়, নিজের কোলে নিয়ে। সেটি তাঁর নৃসিংহ অবতার।
ভাইরাসের কথা মাথায় আসলে আমার বারবার পুরাণের সেই পাপীর কথা মনে হয়। ভগবান সেবার পৃথিবী বাঁচিয়েছিল...
ভারতের ৯/১১
যখন এ লেখাটা লিখছি তখন মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় দেড়শ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে। প্রায় ৫০ জন ফিদাইন জঙ্গী সবমিলিয়ে তাজ হোটেল সহ মুম্বাইয়ের ৫ টা বিখ্যাত ল্যান্ডমার্ক আক্রমন করে আখচার গোলাগুলি করে নিমেষ মধ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ফেলল। ডেকান মুজাহিদিন নামের একটি অজানা সন্ত্রাসী গ্রুপ ঘটনার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছে, যদি...