৬ দিনের ভারত ভ্রমণ শেষে ২৫ ডিসেম্বর অপরাহ্নে বাংলাদেশে পা দিয়েই চা-বিক্রেতার মাধ্যমে নির্বাচনী হালচালের প্রথম যে তথ্য কানে এলো তা হলো, নির্বাচনের আগের ৩ দিন সারাদেশে গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকবে এ নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। ঢাকায় এসেও অটো-চালকের কাছে এই কথাই শুনলাম কিছুটা দ্বিধান্বিত কণ্ঠে। যুক্তি, অভিজ্ঞতা, বিশ^াস সবগুলোতেই খটকা লেগে গেল, এমনটি তো কখনও দেখিনি এবং তা অবিশ^াস্যও বটে। প্রাথমিক প্রতিবাদ জানিয়ে
অনেকদিন আগে ‘যখন পুলিশ এলো’ শিরোনামে কয়েক পর্বে আমি লিখেছিলাম পুলিশ সম্পর্কে একেবারে প্রত্যক্ষ কয়েকটি অভিজ্ঞতার কথা।এগুলো এতটাই বাস্তব যে অনেকের অনেক অভিজ্ঞতার সাথে হুবহু মিলে যেতে পারে। অনেকদিন পর আবার পুলিশ প্রসঙ্গে লিখতে হল। বাবুল মাতবর বা তার আগে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা বা সিটি কর্পোারেশন কর্মকর্তা বিকাশ কিংবা তারও আগে বিশ্বাবিদ্যালয় ছাত্র খলিল (সম্ভবত) এমন আরও অনেকের ক্ষেত্রে পুলিশ যে পোশা
প্রথম পর্বে বলেছিলাম, বন্ধুর ফেসবুক স্ট্যাটাসের কথা -
ছোটবেলায় দেখতাম বড়দের কাছে একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিলো জীবনের লক্ষ্য বা এইম ইন লাইফ। অচেনা বা কম চেনা লোকজন চিন পরিচিত হতে হতেই ফস করে জিজ্ঞেস করতো - কি হে খোকা, বড় হয়ে কী হবা?
মানুষ দেখতে বড় ভালো লাগে আমার। ভিড় অপছন্দ, তবু ভিড়ের মুখগুলোতে বৈচিত্র্য খুঁজতে ভালো লাগে। বিজয় দিবসের বিকেলে শাহবাগ, জাদুঘর, পাবলিক লাইব্রেরি, ছবিরহাট, টিএসসি, বাংলা একাডেমি ঘুরলাম। ঢাকার সব মানুষ যেন এই এলাকায় জড়ো হয়েছে! সেজেগুজে পুরো পরিবার নিয়ে ঘুরছে মানুষ। উৎসব-উৎসব আমেজ চারিদিকে! প্রায় সবার পরনে কিছুটা হলেও লাল-সবুজের ছোঁয়া। রিকশাওয়ালা, ফল বিক্রেতা, চুড়ি বিক্রেতা, পথশিশু এবং গার্মেন্টস শ্রমিকদের অনেকেও পোশাকে লাল-সবুজ ধারন করেছে। এতো সুন্দর লাগছিল! আমাদের বিজয় উৎসবের রং লাল-সবুজ। এই রং সর্বজনীন।
১.
রিমন ঘুম জড়ানো চোখে মোবাইল ফোনে সময় টা দেখে নিলো। ৭ টা ১৫ বাজে, আরো মিনিট পনেরো গড়িয়ে নেয়া যাবে। এই সুযোগে সে ফোন থেকেই ফেসবুকে ঢুকল। হোম পেজে এক গাদা নতুন পোষ্ট। সবগুলোর মূল বক্তব্য একই, সরকার কেন কোটি কোটি টাকা সরাসরি গরীব মানুষেকে না খাইয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মত ফালতু কাজে ব্যয় করতে হবে? প্রায় প্রতিটি পোষ্টের সাথেই গরীব মানুষের কষ্ট করে জীবন যাপনের ছবি। রিমন ফেসবুক থেকে বেড়িয়ে এল। চোখ কচলে বাথরুমের দিকে গেল ফ্রেশ হবার জন্য।
সিনেমাহলে সিনেমা দেখতে গেলে একটা বিষয় নিয়ে আমার মনটা বড়ই খচখচ করতে থাকে। সিনেমার শুরুতেই বাংলাদেশের পতাকা উড়তে থাকে এবং ক্যারক্যারে আওয়াজ করে তারস্বরে বেজে ওঠে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। যেরকম ভৌতিকভাবে আচমকা এই পর্বটা শুরু হয়, সেরকম ভৌতিকভাবেই শেষ হয়ে যায়। ধড়মড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া দর্শকরা হাঁফ ছেড়ে বেঁচে যাওয়ার ভঙ্গিতে আবার ধড়াম করে শরীরটা ছেড়ে দেন সিটের ওপর!
শিব ঠাকুরের শ্বশুরবাড়ি,
সাইবার আইন করল জারি।
কেউ যদি দেয় শেয়ার করে,
ফেসবুকেতে বা টুইটারে -
যেসব কথা বলতে মানা,
শাসকদলের কেচ্ছা নানা,
রানীর কাছে খবর ছোটে,
কমিশনার লাফিয়ে ওঠে।
রাত দুপুরে ঢোকায় জেলে,
ছেষট্টিবার কানটা মলে।
সেই দেশেরই অন্য পারে,
আরব সাগর পারাবারে,
বালের শোকে শহর কানা;
“এ আর এমন কি ঘটনা?”
এই কথা টা ফেসবুকেতে,
এক বালিকা যেই না লেখে -
আরেক বালক করল লাইক,
আচ্ছা প্রধানমন্ত্রী কি রাষ্ট্র ??