একটা জানালা প্রতিটি বিষন্ন দিনের আগে আমাকে বেঁচে থাকার মন্ত্র শিখিয়ে দেয়।
চুমু
---------------
গোলাপি ঠোঁট ঘুমুচ্ছে।
প্রজাপতি ছুঁয়ে যাচ্ছে ছায়া-শরীর;
আয়নায় সব প্রাপ্তি স্পর্শহীন।
জানালায় জোড়া চোখে আজ শুধুই
অভিমান থাকবে;
ছাদে নব্য শালিক জুটি এক হয়ে
শরীর মেলায় আড়ালে।
শৈল্পিক সংজ্ঞা নেহায়াৎই অনুপস্থিত।
শায়ের আমান,
একদিন শীতের শরীর
বিস্তৃত শেওলা ঘেরা
চেনা ঘরের
ভাঙ্গা দরজায়
পারাপারের বাহক দেখে
অসহায় তাকিয়ে থাকবে
জড় শরীর হাত বাড়িয়ে
জানালা খুলে দেয়ার প্রয়াসে
নির্লিপ্ত সময় ফিরে তাকাবে
ফেলে আসা দূর অতীত
চেনা মানুষ
প্রয়ানের নীলকন্ঠ
গীত গাইবে
কেও শুনবে না
কেও বুঝবে না
কেও দেখবে না
কারখানার বিশাল ফটকের ভিতরে শ্রমিকেরা ইতস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এর তার সঙ্গে একটু আধটু আলাপ, বিড়ি টানা। ম্যানেজারবাবুরা তখনো এসে পৌছননি। শ্রমিকেরা এই চৌহদ্দির মধ্যেই থাকে, তাদের দূর দুরান্ত থেকে কাজে আসতে হয় না। তাই ম্যানেজারবাবুদের জন্য অপেক্ষা। তারা এসে হুকুম দিলে সেইমত শুরু হবে খাটুনি।
বাবুদের বহন করে আনা গাড়িগুলো ফটকের বাইরে এসে দাড়াবার শব্দ পাওয়া যায়। ফটক এক্তু ...
এক।
পাহাড়ের গায়ে মেঘের রাবার ঘষে যাচ্ছে এক শিশু
সারিবাধা জানলায় অর্কিডের নিঃসঙ্গতা
দোল খায়, আর সেই এ্যাপার্টমেন্টের গ্রাউন্ড ফ্লোরে
ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে এক ভিক্ষুক
তার ব্যাগভর্তি 'হাঁতি'-কিসমিস-খর্জ্জুর আর গোটাকয়েক চকোলেট
মানিব্যাগের কোণায় জন্মনিরোধক
প্রহরী বাধা দেয়
তবু এক গুনগুন গানের জন্য অপেক্ষায় থাকে সে অর্কিডের নিচে
দুই।
অনেক দরজা
অনেক জানালা
বারান্দ...
পেয়ারা গাছের একটা সবুজ ডাল
জানালায় উঁকি মেরে আছে
দোল দোল বাতাসের খেলা জানালায়
একটা গোলাপী প্রজাপতি শুধু শুধু ওড়াউড়ি করে
উড়ে চলে যায় - ফিরে আসে ফের - উড়ে চলে যায় - ফের আসে ফিরে
আকাশে জমাট মেঘের আস্তর
শেষ বিকেলের আলো জানালায় আলো-ছায়া আলো-ছায়া খেলে
মাছরাঙার ধ্যান নিয়ে চেয়ে থাকি সময়ের আয়ূর সমান
অনেক আলোকবর্ষ দূরে কোন এক অভিমানী পাখি
গোধূলীর গান গেয়ে যায়
অভিমান ভাঙানোর কেউ যেন নেই ত...