[justify]রাত এগারোটায় হাসপাতাল থেকে ফোন আসলো, আপনি মি. তুলি? হ্যাঁ বলতেই বল্লো, মাত্র ফোন পেলাম। আপনার স্ত্রীকে পোস্ট অপারেটিভ থেকে নিয়ে আসবে ১৫ মিনিটের মাঝে। আসতে চাইলে আসুন। বল্লাম, আধা ঘন্টা লাগবে কমপক্ষে। উত্তরে হ্যাঁ সূচক জবাব পেলাম। আবার আব্দার করলাম, ছেলেকে নিয়ে আসবো... তাতেও হ্যাঁ।
প্রশ্ন কমে যাচ্ছে এখন। আগে যেমন প্রতিটা ঘটনায় হাজারটা প্রশ্ন শুনতে হতো এখন সেরকম না। একটা দুটা প্রশ্ন, তার সাথে মানানসই উত্তরেই কাজ হয়ে যায়। বলছিলাম আমার ছেলের কথা। বড় হচ্ছে, সেটা বুঝতে পারি। নিজেই উত্তর খোঁজতে শিখে যাচ্ছে।
[justify]বাবা ডাক শোনার জন্য আমার মনে হয় একটা ব্যপক আকুলি-বিকুলি ছিলো সেই গেদাকাল থেকে। অথবা আমার মাঝে বাবাভাব প্রবল! খালি বাপ হইতে মঞ্চায়। নিজের পোলা, ভাইয়ের পোলা মিলে ৩ টা শিশু সারাদিন আমারে বাবা-বাবা-বাবা বলে অস্থির করে ফেলে তবু আমার বাপ ডাক শুননের শখ মিটে না!!! এর বাইরে আরও কয়েকহালি বাবা ডাকনেওয়ালা আমি ফিটিং দিয়ে রেখেছি। এরা আমারে বাবা ডাকে, আমি মুগ্ধ হয়ে সেই ডাক হজম করি...
সূর্যটা কমলা রং এর হতে না হতেই তুমি প্রস্তুত।
একবার বাবাকে, একবার মা'কে আরেকবার দাদাকে
তারপর দাদু। সবার কাছে একটাই প্রশ্ন, দেরি হলো?
তোমার কোমল শরীরটা দাঁড়াতে চায় না। তোমার পিচুটি
জড়ানো চোখে জলের ঝাপটা দিতে দিতে, ফোকলা দাঁতে
ব্রাশ ঘষতে ঘষতে, তুমি জিজ্ঞেস করো, আজও কি লেইট?
তুমি চলতি পথে বার বার প্রশ্ন করো, আজও কি শুনতে হবে
লেইট মর্নিং? নাকি আজ গুড মর্নিং এখনও রয়েছে? লাল দালানে
ঢোক...
এ্যাই, খোলা চিঠি সুন্দরের কাছে পাচ্ছিনা, তুমি দেখেছো ? না, কই না কই রাখো তুমি- ছেলে ,ভাতিজা আছে সেটা তোমার খেয়াল থাকে না। বকবক করছি আর খুঁজছি। পাওয়া গেল একসময় ছেলের বইয়ের মাঝখানে । আনিসুল হক এর কবিতা ওর খুব পছন্দ। -তুই কি আমার দুঃখ হ’বি ? / এই আমি এক উড়নচন্ডী আউলা বাউল / রুক্ষ চুলে পথের ধুলো / চোখের নিচে কালো ছায়া / সেইখানে তুই রাত-বিরেতে স্পর্শ দিবি / তুই কি আমার দুঃখ হ’বি ? অথবা আমার কবিতার...
মা, টা টা-মুখে বলছে ঠিকই কিন্তু ভেতরটা যে তার ফেটে যাচ্ছে তা তো কেবল বুঝছি আমি। চোখ ঠোট কুচকায়ে একটু সময় কেবল দাড়ালো -তারপর দাদা ,ভাই সবাইকে রেখেই একাই করু...
রাত সাড়ে এগারো। অপু গভীর ঘুমে । নাক ডাকছে। আমরা মা-ছেলে শুয়ে বসে গল্প করছি ...এক দেশে ছিল এক মিউজিয়াম, প্রতি রাত বারোটার পরেই মিউজিয়ামের সব জিনিস জীবন্ত হয়...
জুন মাসের ১ তারিখে বাবাই স্কুলে গেল। সেদিন আমি যাইনি তার সাথে। দু'দিন আগে ভর্তির ব্যাপারে আলাপ করতে গিয়েছিলাম। গাড়িতে ঠাসাঠাসি করে ঘরের প্রায় সবাই। মা...
১.
বাচ্চাদের সাইকোলজী বোঝা ভার ! কখন যে তারা কি করবে ভাবাও যায় না।
আমার তিন বছরের ছেলের খুব শখ মেহেদী পরার। তো একদিন মেহেদী হাতে দিয়ে গেল তার চাচীর রুমে, বিছানায় উঠবে এমন সময় তার চাচী বললেন যাও বাবা হাত ধুয়ে আসো,না হয় বিছানায় দাগ ল...