রাশেদ দেখলো কোলকাতার ঠাকুরবাড়ীর লোকটা যিনি নোবেল পেয়ে বিরক্তিতে নাকমুখ কুঁচকে নিয়েছিলেন বেশ করে, যিনি দু দেশেকে জাতীয় সঙ্গীতময় করেছিলেন কলমের একআধটু খোঁচায়, সেই তিনি- ধর্ষিত হচ্ছেন।
তাঁর শুভ্র কেশ লাল হয়ে পড়ছে। তাঁর শুভ্র বসনে লাল গড়িয়ে যাচ্ছে। তাঁকে বেদম ধর্ষাণো হচ্ছে। মাঠে ঘাটে পথে প্রান্তরে উঁচুতলা কি নিচু তলা কিংবা তলাহীনতায় তাঁকে ওয়ান টু এর মধ্যেই ধর্ষিয়ে দেওয়া হচ্ছে অনেক করে।
কয়েকদিন আগে নাট্যকর্মীদের একটা রবীন্দ্রমন্থন আড্ডা গড়াতে গড়াতে এসে পড়ে গান্ধারীর আবেদন- কর্ণ-কুন্তী সংবাদ আর বিদায় অভিশাপ; তিনটি কাব্যনাটিকায়। তিনটাই রবীন্দ্রনাথের মহাভারত পুনর্লেখন কিংবা পুনর্পাঠ। আমি ভাবার চেষ্টা করি রবীন্দ্রনাথ কি এই তিনটা কাহিনীর বাইরে মহাভারতের আর কোনো কাহিনী পুনর্লেখন করেছেন?
প্রায় দশ বছর পর কুষ্টিয়া গেলাম। শুকনা গড়াই নদী হেঁটে পার হয়ে নসিমনে চড়ে প্রথমেই শিলাইদহ ঠাকুরবাড়ি। ঠাকুরবাড়িতে কেন যেন যেতে যত ভাল্লাগে যাবার পরে আর তত ভাল্লাগে না। উঠানে ঢোকার পর তাও যতটুকু ভালোলাগার রেশ থাকে; বাড়ির ভেতরে ঢুকলেই তা একেবারে শূন্যের কোঠায় এসে ঠেকে। বহুবারই তো গেলাম। কিন্তু সেই একই অনুভূতি; অন্ধকার ঘরে রবীন্দ্রনাথের কয়েকটা ছবি আর ঘুণে ধরা ঠাকুরবাড়ির পুরোনো কিছু ফার্নিচার...
বীরভূম জেলার রায়পুরের সিংহপরিবারের সঙ্গে দেবেন্দ্রনাথের বিশেষ বন্ধুতা ছিল। সেখানে একবার নিমন্ত্রণ রক্ষায় গেলেন। যেতে যেতে ভুবনডাঙার মাঠে রাত হয়ে গেল। আকাশে অদ্ভুত জ্যোৎস্না উঠেছে। একটি ছাতিমগাছ মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে। তাকে ঘিরে আছে আনৈসর্গিক শূন্যতা। এই শূন্যতা তার প্রাণ ছুঁয়ে গেল। সেখানে মাঝে মাঝে তাবু ফেলে মাঝে মাঝে দিন কাটাতেন। ১৮৬৩ ...
জোড়া সাঁকোর ঠাকুর বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা নীলমণি ঠাকুর ছিলেন ব্যবসায়ী। তার পুত্র রামলোচন ঠাকুর বিরাহিমপুর পরগনা (যার সদর কাছারি ছিল শিলাইদহে) জমিদারী কিনেছিলেন। তিনি ছিলেন প্রখর বিষয়বুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তি। জমিদারী কিনে পীরালী ঠাকুরদের মধ্যে তিনি কিছুটা আভিজাত্য অর্জন করেছিলেন।
রামলোচন ঠাকুর মৃত্যুর আগে তার দত্তকপুত্র ...
জোড়া সাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে খুব ধুমধাম করে জগদ্ধাত্রী ও সরস্বতী পূজা হত। ঠাকুর পরিবারটি ছিল বৈষ্ণবভক্ত। রবীন্দ্রনাথের ঠাকুর্দা দ্বারকানাথ ঠাকুর পূর্বপৃরৃষের এই দেবদ্বিজে ভক্তিতে অটুট ছিলেন। তিনি নিজে প্রতিদিন পূজা করতেন এবং হোম দিতেন।দুজন ব্রাহ্মণ ছিল বটে—তবে তারা শুধুমাত্র পূজার ভোগ দিতেন আর আরতি দিতেন।
ইংরেজদের স ...
লালচে পাড়ের সফেদ শাড়ি,
রাস্তা জুড়ে ঘোড়ার গাড়ি,
ফুটপাথে বই, মন্ডা, মেঠাই,
চরকি, বাঁশি, আখ-
পাঞ্জাবিতে নবীন সাজে,
ভোরের আলোয় প্রবীন সাঁঝে,
নতুন দিনের বার্তা আনে
পহেলা বৈশাখ।
খুশীর পরশ সবার মনে,
বাংলা বছর বদল-ক্ষণে,
সবার মুখেই হাসির আভায়
দুঃখ আড়াল খোঁজে-
সবাই জানে সুখের মানে,
তাই মাতে বেশ প্রাণের গানে,
অন্তবিহীন আনন্দে মন
আশার বাণী বোঝে।
মন ছুটে যায় বটমূলে,
প্রাণ মাতানো গানের কূল...
"আমরা বলতুম কত্তাবাবা। কত্তাবাবারা অনেক ভাই ছিলেন, তার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন সবার ছোট। বড়-কত্তাবাবাদের সঙ্গে বিশেষ আমাদের যোগাযোগ ছিল না; দেখেছি তাঁদের অল্পই, কাকে কি বলে ডাকতে হবে তাও কেউ আমাদের শিখিয়ে দেননি। একমাত্র রবীন্দ্রনাথকে আমরা ছেলেবেলায় প্রায়ই জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে পেতুম - তাই তিনিই ছিলেন আমাদের কত্তাবাবা।
কত্তাবাবা জোড়াসাঁকো-বাড়িতে সব সময় থাকতেন না। তিনি থাক...
তবে তো রবীন্দ্রনাথ আশা আছে,তুমি আছ কলকাতা থেকে দূরে গ্রামে
যেখানে সমস্যা আর সমাধান পাশাপাশি শুয়ে থাকে প্রকৃতি রয়েছে।
ব্যর্থকাম চিমনির গ্লানি রোজ আকাশের রাঙা গালে কালিমা লেপন
সেখানে করেনা; তুমি শিখেছ কেমন ভাবে কথা বলে বিবাহিতা নদী।
এত জল নিয়ে ও সে অতি অকপটে চায় কার্তিকের কিছুটা শিশির
তুমি সেইখানে থাক নদীর ভিতরে, তীরে কাশবনে হাত বোলাতেই
দেখা গেল তুমি এক বিরাট পুরুষ আহা হাজার ম...
মাত্র দু’বার ঢাকায় এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। প্রথমবার ১৮৯৮ সালে, বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলনে। দ্বিতীয়বার ১৯২৬ সালে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে। আরো একবার ১৯৩৬-এ তাঁর আসার কথা ছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত ডি লিট সম্মাননা গ্রহণের জন্য। রবীন্দ্রনাথ তখন আসতে পারেননি অসুস্থ থাকায়।
দ্বিতীয়বার রবীন্দ্রনাথ যখন ঢাকায় আসেন তখন তিনি বিশ্ব কবি। নো...