Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

পানিসম্পদ

জাতীয় পানি নিরাপত্তা সূচক ও বাংলাদেশ: পর্ব -১

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০৬/২০১৩ - ১১:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]এবছরের এপ্রিলে এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের অর্থায়নে এশীয় পানি উন্নয়ন দৃষ্টিভঙ্গি (Asian Water Development Outlook) প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রকাশনায় বাংলাদেশ সহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পানিসম্পদ উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ কিছু চিত্র উঠে এসেছে। পানিসম্পদ উন্নয়নের জাতীয় পর্যায়ের এই রূপ আসলে জাতীয় পানি নিরাপত্তা সূচক বা National Water Sequirity Index (NWSI) এর মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়েছে। পুরো রিপোর্টটি এই লিঙ্ক থেকে পড়া যাবে। আমি এই লেখায় চেষ্টা করেছি এই রিপোর্টের আলোকে বাংলাদেশের জাতীয় পানি নিরাপত্তার একটি রূপ তুলে ধরতে। লেখাটি দুটি পর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্বে জাতীয় পানি নিরাপত্তা সূচকের মৌলিক তথ্য ও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা নির্ণয়ের সার্বিক ব্যবচ্ছেদ থাকবে। দ্বিতীয় পর্বে কি কি পদক্ষেপ নিলে বাংলাদেশ তার জাতীয় পানি নিরাপত্তা সূচকের উন্নয়ন ঘটাতে পারবে তা বিশ্লেষণের চেষ্টা থাকবে।


সময়ের দাবীঃ পানিসম্পদ বিষয়ক উন্মুক্ত তথ্য ও উপাত্ত

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৩/২০১৩ - ১০:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

সম্প্রতি ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সফর করছেন। তার সফরে আবারো উঠে এসেছে তিস্তা চুক্তির প্রসংগ। শুধু তিস্তা নয়, গঙ্গা, বারাক, ব্রহ্মপুত্র, সারি, ফেনী সহ সব অভিন্ন নদ-নদীর ক্ষেত্রে উজানের দেশের যেকোন উন্নয়ন অবকাঠামোর পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন। কিন্তু প্রয়শঃই এই গবেষণায় মূল প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে উপাত্ত। এমনকি আলোচিত টিপাইমুখ প্রকল্প বা ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করতে যেয়ে একমাত্র উপাত্তের অভাবেই তা বিসর্জন দিতে হয়েছে। অথচ আমাদের যুক্ত নদী কমিশন বাংলাদেশ ভারত অভিন্ন নদীগুলোর উপাত্তের একটি ভান্ডার হতে পারে। কিন্তু উপাত্ত যুক্ত নদী কমিশনের কাছে থাকলেই কি সেটা সবার কাছে উন্মুক্ত হবে? এই প্রসংগে নিজের কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে এই লেখা। দেশের এই মূহুর্তে এই নিবন্ধ হাস্যকর মনে হতে পারে কারো কারো কাছে কিন্তু সিংহভাগ পাঠক লেখাটির গুরুত্ত্ব অনুধাবন করবেন আশা করি।


পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক সহযোগীতা

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: বুধ, ০৬/০২/২০১৩ - ১০:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১)

এবছর (২০১৩) জানুয়ারী মাসের শেষ সপ্তাহে গিয়েছিলাম উইনিপেগে, পানিসম্পদ নিয়ে একটি দুই দিনের কর্মশালাতে যোগ দান করতে। উইনিপেগ কানাডার ম্যানিটোবা প্রদেশের রাজধানী। কানাডার আলবার্টা, সাস্কাচোয়ান আর ম্যানিটোবা এই তিন প্রদেশকে একসাথে বলা হয়ে থাকে ‘প্রেইরী প্রভিন্স’।‘প্রেইরী’ শব্দটির আক্ষরিক অনুবাদ করা দুষ্কর, তবে এটি জলবায়ু ও ভূপ্রাকৃতিকগত দিক দিয়ে একধরনের সমতল অঞ্চল যেখানে গাছপালা তূলনামূলক ভাবে কম, মূলত তৃণভূমি, এবং জলবায়ু বেশ শুষ্ক। এই তিন প্রেইরী প্রভিন্সের সরকারী ক্ষেত্রে কর্মরত পানিবিজ্ঞাণী ও পানিপ্রকৌশলীদের নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করেছে প্রেইরী প্রভিন্স ওয়াটার বোর্ড নামে কানাডার কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সংস্থা। কানাডায় একেকটি প্রদেশের পানিসম্পদ তার নিজের, কিন্তু এই অঞ্চলের আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন চুক্তির নিরূপন, বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণের জন্য প্রেইরী প্রভিন্স ওয়াটার বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল পানিসম্পদ বিষয়ক সাধারন সমস্যা নিয়ে প্রাদেশিক সরকারগুলোর পানিবিশেষজ্ঞদের মধ্যে সহযোগীতা বৃদ্ধি, সেই সাথে পানিসম্পদ ক্ষেত্রে এক প্রদেশের অর্জন অন্য প্রদেশের পানিবিশেষজ্ঞদের সাথে শেয়ার করা। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে আলবার্টা প্রদেশে কর্মরত, কিন্তু কর্মশালাটিতে যোগ দিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই তিন প্রদেশের পানিসম্পদগত বিভিন্ন সমস্যা, সমাধানের উপায় ইত্যাদি সম্পর্কে বেশ ভাল একটি ধারনা পেলাম।


পর্যালোচনাঃ বাংলাদেশ পানি আইন ২০১২

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: শনি, ১৯/০৫/২০১২ - ১:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

বাংলাদেশ পানি আইন ২০১২

সরকার সম্প্রতি প্রস্তাবিত বাংলাদেশ পানি আইন ২০১২ প্রকাশ করেছে[১]। ইতিপূর্বে ২০০৯ সালে এই আইনের ইংরেজি খসড়া [২] ও ২০১০ সালে বাংলা খসড়া [৩] প্রকাশ করা হয়েছিল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এই আইন প্রণয়নের জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। মূলত দেশের পানিসম্পদের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন, দক্ষ ও কারিগরি ব্যবহার, সুরক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য জাতীয় পানি নীতি ১৯৯৯ [৪] এর আলোকে বাংলাদেশ পানি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনটি নয়টি অধ্যায়ে বিভক্ত এবং এতে মোট ৩৯ টি ধারা রয়েছে। এর মধ্যে প্রস্তাবিত প্রথম অধ্যায়টিতে এই আইনে উল্লেখিত বিভিন্ন বিষয়ের সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে এবং বাকী আটটি অধ্যায়ে আইনের মূল বিষয়বস্তু আলোচনা করা হয়েছে। এই নিবন্ধে প্রস্তাবিত পানি আইন ২০১২ এর দ্বিতীয় থেকে নবম এই আটটি অধ্যায়ের আলোকে সার্বিক পর্যালোচনা থাকবে।


বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নদী খনন -২

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৭/০৪/২০১২ - ১০:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পর্ব-১ এ নদী খনন কি এবং কেন প্রয়োজন এ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ পর্বে থাকছে বাংলাদেশের নদী খননের বিবেচ্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা।

আলোচনায় যাওয়ার আগে নদী খননের প্রকারভেদ একটু জেনে নেই। নদী খনন মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে।

প্রারম্ভিক এবং প্রধান খনন (ক্যাপিটাল ড্রেজিং)
রক্ষণাবেক্ষন খনন (মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং)


বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নদী খনন -১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ৩১/০৩/২০১২ - ১০:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নদী খনন বা ড্রেজিং হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে প্রবাহের কারনে নদীর তলদেশে যে পলি জমা হয় তার অপসারন।বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্হান আর নদী অববাহিকার বৈশিষ্ট্যগত কারনে নদী খনন একটি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ বিষয়।সেই সাথে নদী খননের সাথে অর্থনৈতিক বিষয়টিও ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। এই ধারাবাহিকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নদী খননের প্রয়োজনীয়তা, কয়েকটি চলমান নদী খনন প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনা এবং সেই সাথে


বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল নৌপথঃ পর্ব-২

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: শনি, ০৪/০৬/২০১১ - ১২:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
প্রথম পর্বে বাংলাদেশ ও ভারতের আভ্যন্তরীণ নৌপথ এবং বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল নৌপথ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়েছে। আজ দ্বিতীয় পর্বে প্রটোকল নৌপথের ব্যবহারের সাম্প্রতিক উপাত্ত নিয়ে পরিসংখ্যানগত কিছু আলোচনা এবং সেই সাথে বাংলাদেশের নাব্যতা সমস্যা ও বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল নৌপথের আলোকে তার সমস্যা সমাধানের সম্ভাব্যতা নিয়ে একটি ব্যবচ্ছেদ থাকবে। প্রথম পর্বেই বলা হয়েছে, এটি প্রারম্ভিক আলোচনা। সুতরাং এই পোষ্টে সবার আলোচনা, সমালোচনা প্রত্যাশা করছি তবে তা অবশ্যই যুক্তি এবং উপাত্তভিত্তিক হতে হবে। ভারত-বাংলাদেশে সম্পর্কের অন্যান্য দিকগুলো নিয়ে আলোচনা কিংবা একতরফা ভারত প্রীতি বা একতরফা ভারতবিদ্বেষী বক্তব্য এক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।


বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল নৌপথঃ পর্ব-১

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: বুধ, ০১/০৬/২০১১ - ১১:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

ভূমিকাঃ

সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়া হয়েছে [৫]। এই চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যেতে পারে, তর্ক-বিতর্ক হতে পারে। শুরুতেই পরিষ্কার করে নেয়া ভাল, এই চুক্তির যৌক্তিকতা নিয়ে আলোচনা এই পোষ্টের উদ্দেশ্য নয়। এই পোষ্টের আলোচনা মূলত চুক্তিটির একটি অনুচ্ছেদ নিয়ে (ধারা ২২) যেখানে বাংলাদেশ-ভারত এই মর্মে একমত হয়েছে যে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ ও ভারতের শীলঘাট নতুন ‘পোর্ট অফ কল’ স্বীকৃতি পাবে। এই চুক্তির সাথে সামঞ্জস্য রেখে সম্প্রতি বাংলাদেশ ভারত ‘Inland Water and Transit and Trade (IWTT)’ নবায়ন করা হয়েছে। এই পোষ্টে খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হবে যে বাংলাদেশ ভারত বর্তমান প্রটোকল নৌপথ সংরক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের নদীসমূহের নাব্যতা সংরক্ষণ করা যায় কিনা। একই সাথে বলে রাখা ভাল যে এটি অবশ্যই প্রারম্ভিক আলোচনা, বিশদ বিশ্লেষণ এক্ষেত্রে আবশ্যক এবং তা অবশ্যই কারিগরী ভাবে করতে হবে।


গঙ্গার পানিবন্টনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: শুক্র, ২১/০১/২০১১ - ১১:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify] হুগলী নদীর তীর ঘেঁষে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর নির্মান করা ব্রিটিশ ভারতের সবচেয়ে পূরাতন ও প্রধান বন্দর কলকাতা। ষাটের দশকে নদী থেকে বয়ে আসা বিপুল পলি বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধা সৃষ্টি করায় তার প্রতিকারে ভারত সরকার একটি প্রকল্প হাতে নেয় ১৯৫১ সালে, যাতে গঙ্গা নদীতে ব্যারেজ নির্মান করে একটি বিকল্প খাল দিয়ে গঙ্গার পানিকে হুগলী নদীতে প্রবাহিত করে বন্দরের সঞ্চিত পলিকে স্থানচ্যুত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। সেই পরিকল্পনা পরিশেষে বাস্তবায়িত হয় ১৯৭৪-৭৫ সালে ‘ফারাক্কা ব্যারেজ’ নামে। ১৯৫১ সালে ফারাক্কা ব্যারেজের পরিকল্পনা প্রকাশের পর থেকে শুরু হওয়া বিতর্ক, আলোচনা ও সংঘাতের অবসান ঘটে ১৯৯৬ সালে গ


আড়িয়াল বিলে বিমানবন্দর নির্মান জাতীয় পানি নীতি বিরোধী

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: বুধ, ২৯/১২/২০১০ - ৪:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশ সরকার একটি নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মানের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ের প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেয়েছে। নতুন এই বিমানবন্দরের নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’ এবং এটির সংলগ্ন ‘বঙ্গবন্ধু নগরী’ গড়ে তোলা হবে। বেশ কিছু প্রাথমিক স্থান পর্যালোচনা করে সরকার নীতিগত ভাবে ...