ট্রেনে শেষমেশ ঊঠতে পেরে মতিন মিয়া হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। কাঁধের দুটো ঝোলা আর হাতে ধরা শাড়ির প্যাকেটটা নিয়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে সে তাল সামালাতে পারছিল না ভীড়ের মধ্যে । ট্রেন যখন চলতে শুরু করল তখন মরিয়া হয়ে সে দরজার হাতল লক্ষ্য করে ঝাঁপ দিল। একমুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিল হাত ফসকে সে বুঝি পড়েই যাবে ট্রেনের চাকার নীচে। এমনকি মৃত্যুভয়ে কেঁপেও উঠেছিল সে। ভাগ্য ভাল যে কিছু হয়নি আর ঝোলাও অক্ষত আছে। এগুলো নষ্ট হলে ক
[justify]খালামনি, সকাল দশটায় কি কামরুলকে আবার নতুন করে বানিয়ে হাওড়ায় এনে দিবে ওরা। আমি কিছু না বলে যায়ানের দিকে ফিরে তাকালাম একবার। এই ছেলের হাজারটা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আমার দাঁত ভেঙ্গে যাচ্ছে প্রায়। জেরী ওকে কিভাবে সামলায় আল্লাহ মালুম। আমি কিছু বলবার আগেই পাশ থেকে জেরী বলে উঠলো বাবা, ওটা কাম্রুল না কামরূপ হবে। এরপর ও যায়ান কামরুলের নামে হাবিজাবি বকে যেতে লাগলো। সেদিকে ভ্রূক্ষেপ না করে চেয়ারে
[justify] বয়স বাড়াতে পারলে খুশী হয় এমন মানুষ বোধহয় খুব একটা মেলেনা। আর মেয়েদের বয়স নিয়ে তো কথা বলাই যাবেনা, তবে আমার হয়েছে এক্কেবারে উল্টা। আঙ্গুলের কড়ে দিন তারিখ গুনে গুনে বয়স কত হল বলে দিতে পারি সোজাসাপ্টা। দেখতে ছোট লাগলে ও আমি মানুষটা যে বিশাল বড়, সেটাই বুঝিয়ে দেয়া আর কি!। দেশের লোকজন অবশ্য এখন ও দেখলে স্কুলের খুকী বলে চালিয়ে দিতে চায়। তবে অফিসের লুকজন জব করি জানি বলেই
ঈদের তিনচার দিন আগ থেকেই চ্যানেলগুলোতে দিনরাত যে সংবাদটি প্রচার হতে থাকে তা হল বাস-ট্রেন-লঞ্চে উপচে পড়া মানুষের ভীড়। সবাই ঢাকা ছাড়ছে। যে যেভাবে পারছে। উদ্দেশ্য বাড়িতে প্রিয়জনের সাথে ঈদ উদযাপন। চ্যানেলগুলোতে সংবাদ পরিবেশনের অপরিপক্কতা আর দৈন্য ছাপিয়ে যে সত্য প্রতিফলিত হয় তা হল- সবাই চায় বাড়িতে ঈদ করতে। আমি এই সীমাহীন দুর্ভোগের পৌনপুনিক পরিবেশনে বিপন্ন বোধ করি। এভাবে ঘরে ফের ...
প্রতিদিন দুশ কিলোমিটারের জন্য যদি তিন ঘণ্টা আর মাঝে আট ঘণ্টা গবুষেনা, অন্যের পাকা ধানে মই দেয়া বা অন্যের গা থেকে চর্বি কমিয়ে মডেলদের মত লীন(lean) করতে গোলটেবিল আলুচনা বাবদ খরচের সাথে নিদ্রাদেবীর কাছে সাত ঘন্টা সময় দিয়ে দিনের বাকি চার ঘণ্টা চলে যায় দৈনন্দিন দৈহিক উইটিলিটি, কিচেন রুম, সুদূরে কারো অপেক্ষার অবসান ঘটনো, সারাদিনের কাজের হিসেব প্রাতিষ্ঠানিক ভাষায় লিখে রেখে একটু ...
কাল মুশফিকা মুমুর “ক্যার্নস ট্রিপ” লেখাটি পড়ে এবার নিজেকে নিয়ে একটু দুঃখ হচ্ছে । সচলের উপর একটু অভিমান দেখা দিচ্ছে যে লিখবো না ভেবেও বসে গেলাম আবার লিখতে। আমরা কি অতিথি লেখক বলে আমাদের প্রতি সচলের এত অনীহা ! মুমুর মত আমিও কিছুদিন আগে একটি ভ্রমণ অভিজ্ঞতা সচলে জমা দিয়েছিলাম কি কারণে জানিনা সেটি সচলে অচল হয়ে পড়ে থাকলো। পরবর্তীতে আরো কিছু লেখা দিয়েছি সেগুলোর কোনটাই যে সচলে আসেনি তা...