আদিতে নারী-পুরুষ ছিলনা, ছিল মানুষ। পরবর্তীতে সেই অখণ্ড মানবসত্তা নারী-পুরুষে বিভাজিত হয়।
একটি রূপকের মাধ্যমেই শুরু করি।
স্থান: বেহেশত।
একদা একজন রাজা বন্দী ছিলেন সুউচ্চ মিনার ওয়ালা এক বন্দীনিবাসে। সেই বন্দীনিবাসে নেই কোন দরজা নেই কোন প্রবেশপথ! শুধু একটি জানালা। বন্দীনিবাসে নেই কোন প্রহরী, নেই কোন লাঠিয়াল কি বরকন্দাজ!
১.
অন্তু এখন ঘুমাতে হবে, এসো, হেনা ডাক দেয়।
আরেকটু কার্টুন দেখি আম্মু, অন্তু সোফায় নড়েচড়ে আয়েস করে বসে। ওর চোখ টিভির পর্দায়। সেখানে ছোট্ট এক ইঁদুরের দাপটে তাগড়া গোফওয়ালা বিড়াল কুপোকাত।
আর না বাবা, এখন সোজা বিছানায়, চোখ বন্ধ করে ঘুম, হেনা রিমোট টিপে টিভি বন্ধ করে দেয়।
তুমি একটা পচা আম্মু! অন্তু বিরক্তি দেখিয়ে সোফায় সটান শুয়ে পড়ে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে রাখে।
এক সময় এক দেশে ছিল দুই বন্ধু। তারা ছিল খুবই দরিদ্র, তাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। তাদের দেশেও খুব একটা কাজ ছিল না। ফলে যদিও তারা বেশ পরিশ্রমী ছিল, কিন্তু তবুও তারা সবসময় কাজ পেত না। অল্প যে সময় তারা কাজ পেত, মন দিয়ে সে কাজ করত। তাতে করে তারা ভালো পারিশ্রমিকও পেত। কিন্তু যেহেতু সবসময় কাজ থাকতো না, তাই তাদের উপার্জন খুব তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যেত। আবার কায়ক্লেশে চলতো তাদের দিন। এভাবে বছরের
১।
দমবন্ধ করে তাকিয়ে আছেন গোলাম। সে এক অদ্ভুত দৃশ্য। ৫ লাখ মানুষ, শাহবাগে খোলা আকাশের নিচে পূর্নিমার চাঁদের দিকে চেয়ে চেঁচিয়ে উঠল- “কঃ”। ভয় পেয়ে ঘুমন্ত একঝাক দাঁড়কাক ডানা ঝাপটে ঊড়ে গেল নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে। মাঝপথে বাধা পেয়ে মিয়াঁও করে ছিটকে পড়ল প্রেমরত বেড়াল জুটি। যথারীতি পেছনের পা তুলে নির্বিকার ভঙ্গিতে জলবিয়োগ করে দিল একটা নেড়ি কুকুর, যেন কিছুই হয় নি। চারুকলায় ঝিমুতে থাকা জোড়ভাঙা বুড়ো লক্ষ্মীপেঁচাটা বিরক্ত হয়ে উড়ে গেল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আঁধারে। আর গোলামের কি হল? নিজের গায়ে চিমটি কেটে দেখলেন তিনি- “উহ, ব্যাথা লাগে তো!” পরক্ষনেই মনে পড়ল ব্যাথা তিনি আগেও পেতেন। “এখন কি মরে দেখব নাকি” বিড়বিড়িয়ে ভাবলেন তিনি।
১।
বিহবল ভাবটা তাড়াতাড়িই সামলে নেন গোলাম। আযমীর দিকে অলিভওয়েলের শিশিটা এগিয়ে দেন- “নে বাবা, দু’ফোঁটা খেয়ে নে চট করে। মাথাটা ঠান্ডা হবে। বেশি খাসনে যেন, এটুকুই দেয় জালিমগুলো।” হতাশ দৃষ্টিতে জনকের দিকে তাকায় গোলামকুমার। সেই দৃষ্টি দেখে নরম হন গোলাম, মিন মিন করে বলেন- “কি হয়েছে? চাঁদ ঊঠলে উঠবে, তাতে এত ভয়ের কি আছে? আশ শামসু ওয়াল কামারু বি হুসবান, ওয়ান নাজমু ওয়াশ শাজারু ইয়াস জুদান”। এইবার রাগে ফেটেই পড়ল গোলামকুমার- “আমাকে কি ভারতের শান্তিটিভির দর্শক পাইছেন? পান্তাভাতের মধ্যেও নায়কের মত একখান আয়াত আওড়াবেন আর গলে যাব? আপনার দৌড় কদ্দুর সে তো আমি ভালই জানি।” আবার মিন মিন করেন গোলাম- “আরে, কি হয়েছে ভেঙ্গে বল।” একটু ঠান্ডা হয় গোলাম কুমার, বলে- “কি ভাবেন নিজেকে? দাদাজানকে নাহয় সৌদী রাজ্যের রাজা নিজে উদ্ধার করে নিয়ে গেছিল, আপনাকে তো তাও করবে না।”
১।
হাকিমের রায় শুনে গোলাম মনে মনে হাসলেন, আরে অসুর বলে কথা। এত তাড়াতাড়ি মরার জন্য জন্মেছি নাকি? কি প্রজারা, কি রাজার হাকিম চাইলেই হল? আরে বাবা আমার হল গিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু। গুরুবাবা মউদুদি'র ও তাই ছিল। বাদশা আইউবের হাকিম তো তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েইছিল- কি লাভটা হল? মরল তো সেই সৌদি রাজ্যের শাহী হারেমের হুরদের কোলে। শরাবে অরুচি আর কাকে বলে! কে বলেছে- বেহেশত পরকালে?
[এটি একটি রূপকথা। বাস্তব কোনও ঘটনা বা পারম্পর্যের সাথে এর কোনও মিল নাই।]
ঠিক আর দশটা দুপুরের মত, সেই দুপুরেও ছোট্ট অরণ্য বসে ছিল পুকুর পাড়ে, বাঁশের ধাপে বসে, জলের মাঝে পা চুবিয়ে, মনের আনন্দে জলকেলিতে মেতেছিল তার ছোট্ট দুখানি পা। শৈশবের কমনীয়তা তুলেছিল ঢেউ জলের মুকুরে। তার তুষার ধবল রাজহাঁসের বাচ্চাটা খেলে বেড়াচ্ছিল পুকুরের এ মাথা থেকে ও মাথা, তুলে জলতরঙ্গের মূর্ছনা...
সবাই চলে গেছে শুধু একটি মাধবী তুমি......................................."
ফুরিয়ে গেছে চরকার সুতো---------
বোনা হয়নি রূপকথার সেই নকশীচাঁদর।
মাঝরাতে আচমকা আকাশের জানালা খুলে গেলে
একটি নক্ষত্র খসে সোজা আমার স্বপ্নের ভেতরে ঢুকে পড়ে
'খসে পড়া তারার কাছে কিছু চাইলে ইচ্ছা -পূরণ হয়'
----------------তুই বলেছিলি।
তারা খসা-------------
তুই।
কিছুতেই মনে পড়েনা কিযে চাই।
গুলমোহরের লতানো ঝোপে চাঁদ নেমে এলে
এক বুক চাঁদনীতে গলে গলে যা ...