কথা কিন্তু কথার নিচে মুখোশ পরা,
মিথ্যা হয়ে লুকিয়ে আছে ট্রয়ের ঘোড়া।
দরজা খুলে আনছো তাকে ভেতর বাড়ি,
মিষ্টি হেসে রাখছো যেন বন্ধু ভারি।
কথার পেটে লুকিয়ে যারা ছদ্মবেশে,
খেলনা হয়ে আত্মহারা তোমায় ঘেঁষে।
একটু পরে রাজপ্রাসাদে কথার সুরে,
চাঁদের মতো যখন তুমি আকাশ জুড়ে-
গুপ্ত খুনি ওই কথারা হঠাৎ এসে,
তোমার জিভে আলতো করে পড়বে বসে।
তখন তুমি নিজের কথা হারিয়ে তাতে,
মন খারাপ হতে ঠিক কোন কারণ লাগেনা। কখনো কখনো এমনিই মন খারাপ হয়ে যায়। কোন দৃশ্য যখন ভ্রমান্ধ দৃশ্য হয়ে বায়স্কোপে ফুটে উঠে ঠিক সুপান্থ দার গল্পগুলির মতো তখন একটা উদ্ভ্রান্ত সম্ভাষণ সৃষ্টি হয়। বেশ কিছুদিন ধরে ডুবে আছি সেই গল্পগুলিকে নিয়েই। একটু একটু করে জমা করা বিশ্বাস কিংবা বোধ যখন হঠাত ছাই হয়ে যায় তখন কষ্ট হয়না, কারণ কষ্ট শব্দটা সেই অনুভূতির কাছে ফিকে পড়ে যায়। কেমন জানি একটা হতাশা; এই হতাশা জিনিষটা
“......আমার আর কোথাও যাবার নেই। কিচ্ছু করার নেই।"
সকাল।
- রাইত পোয়াইতে না পোয়াইতেই আইয়া পড়ছে ছাগলের চাক। যা, বাড়িত যা, যা কইতাছি
দুপুর।
- মাজ্ঞো মা মাজ্ঞো মা। পোলাপাইনডি কিতা গো? দুফর নাই আফর নাই, তোরার বাড়ি ঘর নাই? যা, বাড়িত যা, যা কইতাছি
সন্ধ্যা।
এই যে সকালবেলা আইয়ে হকুনের চাক, সইন্দা মইজ্যা গেলেও বাড়িত যাওনের নাম নাই। মাগো গো মা, এইডির মা বাবাও কি ডাক দোয়াই দেয় না। যা, বাড়িত যা, যা কইতাছি
পোষ মানা কিছু কথা আছে
যাদের ডানা নেই
যারা ঘরেই থাকে সারাদিন
আর হাততালি দেয়
যখন যেভাবে মন চায়
পিছু ছাড়ে না কিছুতেই
যখন বাইরে যাই
কথারা কীভাবে যেন
কানের কাছে কারো
শেখানো বুলি আউড়ায়-
নামীদামি কথানাশক দিয়ে বহুবার চেষ্টা করে দেখেছি
কাজ হয়নি, নিরুদ্দেশে গেলেও
দুঁদে গোয়েন্দার মতো মুহূর্তেই
তারা হাজির হয়েছে অজ্ঞাতবাসে-
অতঃপর ঘরের তালাও বদলেছি ইচ্ছামতো
তবু তারা ঘরে ঢোকে, ধূলো ...
তোমার কাছে মনের কথা বলি
কিছুটা তার শুনতে পাও
কিছুটা যায় স্রেফ জলাঞ্জলি।
তোমার আছে নানান কাজে হাজার মতামত
কিছুটা তার বলতে পারো
কিছুটা তার হারিয়ে ফেলে পথ।
পথের খোঁজে আমরা হাঁটি পথের চারিপাশ
যে যার পথে যোজন দূরে হাঁটছি বারো মাস
...