আমি ভাবতাম মেয়েরা বড় হলে এমনিতেই তাদের বাচ্চা হয়। কিন্তু আমাদের এলাকায় দুই অপু ছিল। তাদের বড় বোনের বিয়ে হয়নি। ছোট বোনের হয়েছে। যদিও বড় বোন বেশি বড় তার পরেও তার বাচ্চা হয়নি। ছোট বোনের হয়েছে। বাচ্চা বড় করতে তো বাবার সাহায্যও লাগবে। তাই বোধ হয় বিয়ে না হলে বাচ্চা হয় না। টিভিতে হিন্দু আর মুসলিম বিয়ে দেখেছি তত দিনে। হিন্দু বিয়ের সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট অংশ হলো মালাবদল, আর মুসলিম বিয়ের 'কবুল কবুল কবুল' বলা। এইটাই জানতাম। এই ঘটনা ঘটলেই মেয়েটার শরীরে এমন পরিবর্তন এসে যাবে ভেবে দারুণ ভয় হতো। কারণ ততদিনে 'জামাই-বউ' খেলতে গিয়ে কয়েকবার এধরনের ঘটনা ঘটিয়েছি। আমার দোষ না। অন্যদের দোষ। এই খেলায় জামাই হলে চুপ করে বসে থাকা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। শশুর-শাশুড়ি শালা-শালী হওয়া বেশি মজা। মাঝখান থেকে আমার পাওনা হলো বাবা হয়ে যাবার বাড়তি টেনশন! যদিও বাবা হইনি শেষ-মেশ। কিন্তু তাতে টেনশনে নতুন মাত্র যোগ হয়েছে। কারণ আটকুরে রাজার গল্পও শুনে ফেলেছি ততো দিনে।
স্টারবাক্স-এ কফি খেতে গিয়ে আগে একবার খুবই বেকুব হয়েছিলাম। অনার্য সঙ্গীতের ভাষায় বললে 'কুত্তামারা' কফি। ওদিকে অনেকগুলো টাকা বেরিয়ে গেছে সেই কফি কিনতে। এত বড় এক মগে দিয়েছে যে খাবো না গোসল করব সেটাই বুঝতে পারছি না। অর্ডারের সময় সাইজের অপশন ছিলো তিনটা। সবচেয়ে বাম দিকে লেখা 'tall' মানে লম্বা। তাই সেদিকে না গিয়ে, আমি সবচেয়ে ডান দিকের অপশনটা অর্ডার দিলাম। ভাবলাম ওদিকে নিশ্চই 'শর্ট' বা ছোটোখাটো টাইপ কিছু
না এই দর্শন মানে ফিলসফি না। দেখা। দুদিন আগের ঘটনা। ল্যাব থেকে বেরুতে একটু দেরী হয়ে গেছে। ৯৬ নাম্বার বাসে করে এসেছি ক্লেমেন্তি স্টেশনে। উপরে উঠলেই এম আর টির (নগর-রেল) প্লাটফর্ম। তবে সম্ভাবনা আছে লাস্ট ট্রেন মিস করার। তাই হেঁটে পাশেই বাস টার্মিনালে চলে গেলাম। ৯৯ নাম্বার বাসটা আমার বাসার ওদিক দিয়ে যায়। চলেও অনেক রাত অবধি। দেখি পাই কিনা। সামুয়েল বাটলারের প্রায়আত্মজীবনীমুলক উপন্য ...
আমি যখন প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে ঢাকায় আসি তখন এক বাসায় উঠেছিলাম। সাবলেট। তো সেই বাসায় ঢুকতেই যে জিনিশটা প্রথমে খেয়াল করেছি সেটা হলো, আন্টি খুবই সুন্দর। মানে অতিবরূপবতী টাইপ আরকি। তো আন্টির বাসায় আন্টির বোনেরা বেড়াতে আসে। তারাও অতিবরূপবতী। তাদের যে আত্মীয়স্বজন, গ্রাম সম্পর্কের পরিচিত লোকজন সে বাসায় বেড়াতে আসে; তাদের মধ্যে যারা নারী তারাও দেখি সুন্দর ...
ছোটোবেলায় আমরা নুডলসকে বলতাম নুডুস। প্রথম নুডুস খাওয়ার কথা মনে আছে। একবার বাসায় এই বস্তু কিনে এনেছে। কিন্তু কেউ জানে না এটা কেমনে রান্না করে। থাকতাম তখন মনিরামপুর অথবা ঝিকরগাছা ঠিক মনে নেই। উপজেলা কোয়ার্টার। যশোরে। উপোজেলা কোয়ার্টারে সরকারী অফিসাররা থাকতো। কেউ হয়তো ফিসারিজ অফিসার। কেউ হয়তো টিএন্ডটি কেউ ফুড ডিপার্টমেন্ট। ওখানে একটা মজার রীতি চালু ছিলো। মাকে দেখতাম অন্য আন ...
গুণিতক
[justify]মৃত্যু সম্পর্কে ভাবতে গেলে কিছুটা নস্টালজিক হয়ে ঠাকুমার মৃত্যুদিনের কথা ভাবতে শুরু করি বাবা সেদিন সারারাত ঠাকুমার পাশে বসে আমার কঠিন চরিত্রের বাবা যাকে কখনো কিছুতেই ভেঙ্গে পড়তে দেখিনি তাঁর কান্নার তোড় দেখে কিছুটা কেঁদেছিলাম সারারাত জাগার পর সকালের দিকে বাবা পাশের বিছানায় ঘুমিয়ে আর আমি ঠাকুমার দিকে তাকিয়ে ছিলাম তাঁর চোখের দিকে তাঁর একটু একটু শ্বাসে ফুলে ওঠা কন্...
না শিরোনাম দেখে যেটা ভাবছেন এই লেখাটা আসলে সেরকম কিছু না। মানে আমি তসলিমা নাসরিনের মত করে আমার কীর্তিকলাপের দ্বিতীয় খন্ড ছাপাতে বসিনি এখানে। তাহলে এই নাম কেন? উমম, ভেবে দেখলাম। ‘খ’ই হলো আমাদের জীবনের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিশ। ঐ যে মিশরীয়দের আত্মার ভালো অংশটা যেমন ‘কা’ তেমনি আমাদেরও আছে ‘খ’ তাইতো আমরা যখন ভালো থাকি তখন বলি ‘সু-খ’ আর যখন খারাপ থাকি তখন বলি ‘দু-খ’। অবশ্য ‘কু-খ’ও হ...
নীলক্ষেত এর মোড় দিয়ে হেটে যাচ্ছেন। যেই বলাকা সিনেমা হলের সামনের ওভারব্রীজ এর নিচে পৌছেছেন ওমনি দুই তিন জন আপনাকে বলে উঠবে, “সিডি লাগবে বস? ডিভিডিও আছে”। কেউ হয়তো বলবে, “নিয়া যান বস। সেইরকম ভাল জিনিস!” কেউ কেউ হয়তো আপনার শার্টের হাতাও টেনে ধরবে। আপনি যদি যুবক বয়সী কোনো ছেলে হন তাহলে এই ঘটনা প্রায় নিশ্চিত! পুরা নিশ্চিত না বলে ‘প্রায়’ নিশ্চিত বলছি এই কারণে যে আজকের দুঃখজনক(আসলে লজ্জ...
আমাকে একবার কেউ একজন প্রশ্ন করেছিলো, ‘খুব সুন্দর কিছু দেখলে কী ইচ্ছা হয়?’ সেদিন লোকলজ্জায় উত্তরটা দিতে পারিনি। কিন্তু কিছু একটা তো হয়ই। যেমন আমার আসলে মনে হয় ‘খেয়ে ফেলি’! সুন্দর একটা কবিতা পড়লাম, মনে হল ‘খেয়ে ফেলি’! যে কারনে আমার প্রিয় ফুল শাপলা! কারণ এইটা খেয়ে ফেলা যায়। ফুলকপিও প্রিয় হতে পারত। কিন্তু ফুলকপির চেয়ে শাপলা খেতে বেশি মজা। তো হয়েছে কি, সব সুন্দর জিনিশ তো আর খেয়ে ফেলা যা...
কবিতা আমি এমনিতেও তেমন বুঝি না। তার উপর আমি জানি আমার কাব্যরুচি নিম্ন। তাই কখনো কোনো কবিতা পছন্দ হয়ে গেলে নিশ্চিত হয়ে যাই যে, এইটা আর যাই হোক উন্নতমানের কিছু না। বন্ধু কবিরাও আমার কবিতার এই নিম্নরুচির কথাটা জানে। তাই তাদের লেখা কবিতা ভালো লেগে গেলে চুপ মেরে বসে থাকি। ওরাই অনেক সাধাসাধি করে-‘পড়েছিস? এখনো পড়িসনি? কবিতা পোস্ট করে দিয়েছিতো। শিগ্গিরি পড় গিয়ে’। তারপরই জিজ্ঞেস করবে ক...