তুমি নাকী আগুন পোষো
কাছে গেলেই পুড়িয়ে দেবে!
মিষ্টি ফুঁয়ে কে তবে আজ
চায়ের গরম জুড়িয়ে দেবে?
পোড়ার ঠোঁটে নরোম রেখে
যন্ত্রণা কে উড়িয়ে দেবে-
মনের ভুলে ফেলে আসা
চাবিটা কে কুড়িয়ে দেবে?
কপাল বেয়ে অগোছালো
চুলগুলো কে ঘুরিয়ে দেবে-
শার্টের বোতাম না লাগানোর
ভুলগুলি কে ধরিয়ে দেবে?
বুকের কাছে একটু আসার
শাসনে কে চড়িয়ে দেবে-
কষ্ট পাওয়ার নষ্ট পাথর
আয় বলে কে সরিয়ে দেবে?
সকাল এবং বিকালগুলো
সাভারের আশুলিয়ায় আগুনের ঘটনা শুনেছেন?
-কী বলেন আপনি! শুনবোনা কেন? আমি ভাই সচেতন মানুষ। দেশ দুনিয়ার খবরাখবর রাখার চেষ্টা করি সবসময় । আহ! কী হৃদয় বিদারক ঘটনা। আমি কিছুতেই মানতে পারিনা এটা নিছ্ক দুর্ঘটনা । এটা শ্রেফ হত্যাকন্ড। কোনো সভ্য মানুষের পক্ষে এটা সহ্যকরা সম্ভবনা।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনি কী কী করেছেন?
(এই গল্পের প্রতিটি চরিত্র কাল্পনিক, জীবিত বা মৃত কারো সাথে চরিত্রগুলোর মিল খুঁজে পেলে তা নেহাতই কাকতালীয় ব্যাপার)
মাঝরাতে ফোনটা এলো। থাই সুন্দরীর মোম গলে পড়া স্তনের মাখন থেকে মাথা তুলে কলটা রিসিভ করলেন মাহমুদ হাসান। মুখের একটা পেশিও না নড়িয়ে ওপাশের বক্তব্য নিরবে মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। তারপর ঠিক আছে, আমি দেখছি বলে ফোনটা রেখে একটা সিগারেট ধরালেন।
আমাদের দেশের অনেক অ্যাপার্টমেন্ট বা অফিস দপ্তরে দেখা যায় ফায়ার এক্সটিংগুইশার। তবে কত জন এর সঠিক ব্যবহার জানে তা প্রশ্নের বিষয়। ফায়ার ড্রিলের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেবার উদ্যোগও অধিকাংশ জায়গাতে নেই। কোথাও কোথাও আবার দেখেছি ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকলেও তা মেয়াদোত্তীর্ন। এইসব হাবি জাবি চিন্তা ভাবনা নিয়ে একপাতা কার্টুন আঁকা আঁকি।
শীতার্ত হৃদয়
(কাপুরুষ)
শীতের কাঁপনে ঝড়ছে পাতা, নেই তো ফুলের তাজ,
রুগ্ন বলে করছ হেলা, চাওনা ফিরে আজ।
বসন্ত যখন আসবে ফিরে, ভরবে পাতায় ডাল,
আসবে নিতে ফুলের সুবাস, ভুলতে মনের কাল ।
(বন্ধু আরেফ রিওনেনকে উৎসর্গ করে)
নগরতলী এক পাপ চক্রের ইকো সিস্টেম,
কর্পোরেট বাঘগুলো খেয়ে নিচ্ছে স্বপ্নের পোনাগুলো; পুষছে ক্ষুধার্ত কুকুর;
এ বড় আজব শহর তুষার। ভোগবাদীরা ঘুমায় কার্পাস তুলার বালিকা বালিশে,
আর ফ্যাসিবাদীরা সংসদে, টিভি খুললেই হাসাহাসি;
আমি দাঁতে দাঁত চেপে জমিয়ে রাখি সব হাসি। দেখিস-
একদিন আমিও পাখি ও আকাশের জান কাঁপিয়ে তুমুল হাসব,
হাসতে হাসতে মাথা ধরে যাবে, চোখে গল...
আগুনের শিল্পী দিয়েছে এক আংশিক নকশা,
জানা নেই বাকি আগুন
বাড়ায় কোথায় নিশা।
নকশার কোল জুড়ে আগুন জ্বলে,
জ্বলে যায় কবিতার ক্ষেত,
নীলিমার শ্বাস,
বাকি অংশের অভিসারে
আগুন ছড়াবে সুবাস!
সেই পোড়া আধেক খুঁজে যাই,
বেড়ে চলে আগুনের বেলা,
চোখ হয়ে গেল ছাই।
চারিধারে মেলানো আগুন জ্বলে,
উৎসবের আলোকসজ্জার মত,
পোড়া চোখ আধার নিয়ে খুঁজে
যায় আংশিক ক্ষত।
এখন আমি জানি বুকের ভেতর কিভাবে কখন দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। কিভাবে সব ভয়, দ্বিধা, দ্বন্দ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কিভাবে সর্বগ্রাসি ক্রোধ হয়ে ওঠে ভয়াল অস্ত্র।
মাঝরাতে বরিশালগামি বড় লঞ্চে যখন ডাকাত পড়লো তখন লঞ্চটা মেঘনা নদীর বাঁকে। ...