বাঘ নিয়ে বাঙ্গালীর জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। একটা সময় ছিল যখন বাংলার বিশাল অংশই ঘন জংলায় ভর্তি ছিল। সে সময় সন্ধ্যাবেলাতেই বাঘের ডাক শোনা যেত। বাঘের হানাও রীতিমত দৈনন্দিন বাস্তবতা ছিল সে সময়। আর সে জন্যই ছোটরা ছড়া কাটতো আগে গেলে সোনা পায়, পিছে গেলে বাঘে খায়, আর বড়রা বলতো যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়। প্রবাদ-প্রবচন আর বাগধারায় বাঘের পায়ের ছাপ কম নেই। কিন্তু সে সব দিন গেছে। ক্রমাগত শহুরে আগ্রাসনে
খ্রিস্টের জন্মের খোঁজ বাদার বাঘ রাখে না। খ্রিস্টের জন্মের আগেও সে গরানের শ্বাসমূলকে সচকিত করে নিঃসাড়ে নদীর জলে নেমে ওপারে কোনো হতভাগ্যের মাংসে দাঁত বসিয়েছে। বালথাজার, মেলকিওর আর গাসপার যখন বেতলেহেমের রাস্তা ভুলে হাঁ করে আকাশের তারা দেখছিলো, তখনও বাঘ শেষ রাতের অন্ধকারে নদীর ওপর ঝুঁকে পড়া গাছের ছায়া ঠেলে অনায়াসে চড়াও হয়েছে এক তরুণ চিত্রলের ওপর। ক্যালেণ্ডার বাঘের কাছে বাহুল্য। বংশ পরম্পরায় বাদার বুক
হালুম হুলুম হালুম হুলুম
ঐ এলো রে মামা
পরেছে সে কালোর সাথে
হলদে ডোরার জামা।
নজমুল আলবাব শুকনো মুখে বেরিয়ে আসে জঙ্গল ছেড়ে। তারপর হাঁটু পর্যন্ত কাদা ঠেলে এসে নৌকায় ওঠে হাঁচড়ে পাঁচড়ে।
বলি, "ছবি তুলতে পাল্লেন কিছু?"
নজমুল আলবাব বিড়বিড় করে কী যেন বলে। সম্ভবত গালি দেয় আমাকে।
বনরক্ষী ফজলু শেখ চুপচাপ বসে ছিলো নৌকার পাটাতনে, আলবাব তাকে বলে, "ভাই পা ধুইতে হবে।"
ফজলু শেখ সংক্ষেপে বলে, "ধুয়ে ফেলেন।"
India'র দুই পাশে দুইটা দ্যাশ। একটা আমাগো বাংলাদেশ আর আরেকটা ফাকিস্তান। একসময় অবশ্য একলগেই ছিল।
বাংলাদেশের জাতীয় প্রাণী রয়েল বেঙ্গল টাইগার। বিশ্বের সেরা বাঘ। আর ফাকিগো জাতীয় প্রানী মার্খোর। এইডা এক প্রকারের হিমালয়ান বন্য রাম ছাগল। যে কেউ চোখ বন্ধ করে বইলা দিতে পারবো যে ক্যাডায় বেশি powerful। কিন্তু একদিন এই রামছাগুরাই বাঘের পিঠে ছড়ি ঘুড়াইতে চাইলো। বাঘের ছোট বাচ্চা দেইখা তারা ভাবলো ...
--------- দেবাশিস মুখার্জি ---------
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
আমাদের দেশের খুব কম মানুষই আছেন যারা ছোটবেলায় বাঘমামার গল্প শুনেন নি।শুধু আমাদের দেশ কিংবা এই ভারতীয় উপমহাদেশ না, মায়ানমার, মালয়েশিয়া থেকে ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম, চীন, রাশিয়া এমন কি পারস্যের শিশুরাও বাঘের নানারকম গল্প শুনে বড় হয়েছে।কারণ বাঘের বিচরণ ছিল এই বিশাল সীমানা নিয়েই।গল্পগুলোতে বাঘকে সাধারণত বাঘমামা বলেই অভিহিত ক ...
[উর্ধ্বটীকা: প্রথমে ভেবেছিলাম হিমু ভাইয়ের পোষ্টে মন্তব্য করি। বন বিভাগের হোমপেজ থেকে 'টাইগার একশন প্লান ' নামিয়ে প্রিন্ট করে পড়তে পড়তে ভাবলাম আলাদা একটা পোষ্ট দিইনা কেন? এই সুযোগে সচলায়তনে আমার অভিষেকও হয়ে যাক! হিমু ভাইয়ের বদৌলতে তাই এটা আমার প্রথম লেখা]
০১
বাঘ সংরক্ষনে বন বিভাগ "বাংলাদেশ বাঘ কর্মপরিকল্পনা (২০০৯-২০১৭)" প্রনয়ন করেছে। উপক্রমনিকায় এ ক...
একদম কাছে না এলে তার উপস্থিতি টেরই পাওয়া যাবে না।
এখন রাত একটা-দুটো হবে নিশ্চয়ই। এমদাদ আলী লঞ্চের একদম পিছন দিকে বসে আছে। নীচু রেলিংএ পিঠ ঠেকিয়ে দু'পা ছড়িয়ে। সর্বক্ষণের সাথী দোনলা বন্দুকটি পাশে শুইয়ে রাখা। তারপাশে একটা প্লাস্টিকের মগে কিছুটা সস্তা মদ। রাত জাগতে গেলে এর চেয়ে ভালো রসদ আর নেই।
এমদাদ আলী বনবিভাগের নাইটগার্ড। সুন্দরবন এলাকাতেই তার চাকরী। প্রায় সতেরো বছর হয়ে গেল।...
[justify]
খসরু চৌধুরীর সাথে আলাপের কোন সুযোগ আমার কখনও ঘটেনি। চোখেও দেখিনি তাঁকে। তাঁকে প্রত্যহ ভক্তিভরে স্মরণ করবো, পরিস্থিতিও সেরকম কখনও হয়ে ওঠেনি। ব্যাখ্যা করি।
খসরু চৌধুরীর নামাঙ্কিত একটি পেপারব্যাক, সেবা প্রকাশনীর "সুন্দরবনের মানুষখেকো"তে পড়েছিলাম শিকারী পচাব্দী গাজীর কথা। আমার বয়স তখন কম, ক্লাস ফাইভ বা সিক্সে পড়ি, সেবা থেকে প্রকাশিত শিকারের সব বইয়ের ঘাড় মটকে চিবিয়ে খাই বা...