নিজের একটা কুকুর থাকবে
কোলে বসে চাটবে টাটবে
লেজ নাড়বে-
লাথি দিলেও ছুটে আসবে
হাসবে টাসবে, কৃতজ্ঞতায় সারাটাদিন
চোখে রাখবে-
যা বলবো তাই শুনবে
সহস্রবার বল ছুড়লে লুফে আনবে
মাংস ছাড়া হাড্ডি দিলেও
প্রভূ মানবে-
গন্ধ চিনবে, অনেক দূরে গেলেও
কাছে খুঁজে আনবে, মান ভাঙবে;
মোদ্দা কথা আমি ছাড়া আর সব সে
বৃথা জানবে-
মিনু, টিনু কিংবা তুমি
একটা নামে আয় বললেই ঝাঁপিয়ে ডাকবে,
একজন পুরুষ কেন তার মস্তিষ্কের এক বিরাট জায়গা নারীর বুকে ঝুলে থাকা ঐ দুইটি পৃথুল, সুডৌল, স্নেহভরা থলীর প্রতি ব্যয় করে?
০০০০
আমার ছোট মেয়েটার নাম মুনিয়া; ঠিক একটা পাখির মতোই কটকটি হইছে বেটি; সারাদিন তুরতুর তুরতুর করে! বয়স এখনো তিন পুরে নাই, কিন্তু পাকনা বুড়ির ঠাস ঠাস আধো-আধো কথাই আমার নিরানন্দ সংসারে আলো জ্বালায় রাখে!
সরকারী দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীর বেতন শুনলে রিকশাওয়ালাও মুখ ভেঙচিয়ে গর্বে বুক ফুলায়!
এক।।
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সূত্র থেকে জানা যায়, বহু বছর আগে পৃথিবীর মানব সভ্যতা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এই পৃথিবীতে এক সময় মানুষ শিল্প ও বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছিল। এর পর বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে যুদ্ধের কারণে সেই সভ্যতা বিলুপ্ত হয়- প্রাচীন পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা (যাকে তারা ঈশ্বর-আল্লাহ-ভগবান-গড ইত্যাদি নামে ডাকতো) নিহত হন।
তার বহু বছর পর পরম করুণাময়ী সর্বশক্তিময়ী ঈশ্বরী ঠিক করেন আবার মানবী সভ্যতার জন্ম দেবেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি প্রথম নারী এডা-কে তৈরি করেন এবং তাকে স্বর্গে বড় করে তুলতে থাকেন। এডা বড় হওয়ার পর তার খুব একা একা লাগতে থাকায় এডার ডান পাঁজরের হাড় থেকে ঈশ্বরী তৈরি করেন নতুন পৃথিবীর প্রথম পুরুষ ইভোকে। নতুন পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে জানা যায়, ইভো ঈশ্বরীর বিরুদ্ধাচারণকারী "শয়তানী"র প্ররোচণায় এডাকে জ্ঞান বৃক্ষের ফল খেতে উৎসাহ দেন। এতে ঈশ্বরী তাদের শাস্তি দিতে পৃথিবীতে নিক্ষেপ করেন এবং তা থেকেই পৃথিবীতে নতুন মানবীসভ্যতা গড়ে ওঠে।
(০১)
হঠাৎ করিয়া একখান গায়েবী আওয়াজ হইলো- ‘ হে প্রাণীগণ, সৃষ্টির পুনর্বিন্যাসকাল আসন্ন। এবার প্রস্তুত হও। অনতিবিলম্বে তোমাদের মধ্যে পরস্পর লিঙ্গ পরিবর্তন করিয়া দেওয়া হইবে।’
চিরিং করিয়া উঠিয়া বসিলো আক্কাছ। অজান্তেই বাম হাতখানা অভ্যাসবশত তলপেট বাহিয়া নিচে নামিতে লাগিলো। এইটা কী শুনিলো ! বৈচিত্র্যহীন ছুটির দিনের মধ্যাহ্ণভোজ সারিয়া ক্রমে ক্রমে গরম হইয়া ওঠা মাথাটাকে নতুন কভার...
পুরুষ রচিত ধর্মে বিকলাঙ্গ নারী
নন্দিনী
ধর্মের স্রষ্টা পুরুষ। তাই দেখি ‘ঈশ্বর’ ভাবনাতেও পুরুষালী ছায়া। পুরুষের জন্য সব আরাম-আয়েশ স্ত্রী, দাসী, বাদী কতো কী। নারীর জন্য কিছুই নেই। জীবনে-মরণে একই পুরুষ । মরেও তার শান্তি নেই-বে...