পিঠের রুকস্যাক ব্যাগের ওজন বেশী না, তবু খাড়া রাস্তা বেয়ে উপরে উঠে আমার হাঁপ ধরে গেল। পাহাড়ের খাঁজে তৈরি হওয়া এই শহরের রাস্তাগুলো সবই এমন উঁচুনিচু, আর ভীষণ কনফিউজিং। এখানে আমি আগেও এসেছি একবার, তবু এবার এসে কিছুই যেন চিনতে পারছি না। অবশ্য সেবার এসে পৌঁছেছিলাম সন্ধ্যার ঠিক আগে আগে। আবার বেরও হয়ে গেছিলাম সূর্য ওঠার বেশ আগেই খানিকটা দূরের অন্য পাহাড়ে সূর্যোদয় দেখতে। সেবার সূর্যোদয় বা শহর কোনটাই দেখা হ
একটুখানি সময় আমায় কেউ কি দেবেন ধার?
বেশি কিছু না--দু'তিন দিনের ছুটির দরকার
দু'তিন দিনের ছুটি পেলে যাব মেঘের বাড়ি
দু'তিন দিনের ছুটি পেলে ফেবুর সঙ্গে আড়ি
আসব না আর এই পাড়াতে
দেব সবার হাড় জুড়াতে
কোন নেটওয়ার্ক পারবে না আর আমায় ছুঁতে ভাই
এমন কোন জায়গায় আমি ছুটি নিতে চাই।
যেদিক পানে তাকাই দেখি ক্লান্ত শ্রান্ত মুখ
আলো ঝলমল এই নগরের কোথাও নেইকো সুখ
হাত বাড়ালেই মানুষ কেবল
তোর চোখেতে পড়লে এ চোখ
বিদ্ধ করে কোন্ শরে?
অচেনা এক শিহরণ, কেন
শরীর জুড়ে ভর করে?
নাকের ডগায় জমাট বাঁধা
বিন্দু বিন্দু শিশির-ঘামে,
ঘুম-ভাঙ্গা সব মেঘের মতো
পাখির ডানায় স্বপ্ন নামে।
তোর পায়ের ওই পায়েলখানি
বাজে যখন নম্র লাজে,
কেমন জানি একলা লাগে,
মন বসে না আর কাজে।
ডাগর দুটো আঁখির তারায়
সাত সাগরের ঢেউ খেলে,
তার বানেতে যাচ্ছি ভেসে
কেউ কি তা জানতে পেলে?
তোর ছোঁয়াতে গোলাপ ফোটে
(এ লেখার খসড়া বেশ কিছুদিন আগেই করেছিলাম। কিন্তু পোস্টাবো কি না বুঝতে পারছিলাম না। সম্প্রতি ইশতিয়াক রউফের সিরিজ ‘নিজস্ব ধাঁচের গণতন্ত্র’ পড়ে এ মাল ঝাড়ার উৎসাহ পেলাম। আহ, কী শান্তি! )
বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকাশের অন্তরা...