গত পরশু সকালে কলেজে গিয়েই শুনলাম সেকন্ড ইয়ারের একটা ছেলে কলেজের ১৫ তলার ছাত থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। একজন শিক্ষক দেখে ফেলায় ছেলেটি প্রাণে বেঁচে যায়। ছেলেটির আত্মহননের চেষ্টার কারণ পড়াশোনার তীব্র চাপ, বায়োকেমিস্ট্রির একগাদা পেন্ডিং আইটেম(মেডিকেল কলেজের ক্লাস-টেস্ট তথা টিউটোরিয়াল)। মনটা ভারী হয়ে গেল। আইটেম নেয়ার ফাঁকে এ নিয়ে ছাত্রদের সাথে দু-একটা কথা বললাম। স্কুল থেকেই চলছে এই অসুস্থ মধ্
ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল চিকিৎসাবিজ্ঞানের একজন ছাত্র হবার। আমার মামা ডাক্তার। আমার খালা ডাক্তার। তাদেরকে মানুষ যেভাবে সম্মান করত একটা জিনিসই ভাবতাম সমাজে আর্থিক এবং সামাজিকভাবে সচ্ছল হতে গেলে চিকিৎসক হতে হবে। একজন চিকিৎসক সৎ ভাবে জীবন যাপন করেও সচ্ছল জীবনযাপন করতে পারেন। অবশ্য সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি যেভাবে প্রবেশ করেছে সে ক্ষেত্রে এই পেশার ভিতরেও প্রভাব পড়েছে। অস্বীকার করে উপায় নাই অনেকে
নেই সকালে রুটিন ধরা এলার্ম-ভাঙ্গা ঘুম,
নেই অযথা বাস-ধরাতে টেনশনেরই ধুম;
নেই খামাখা চিন্তাভারে মলিন মুখে হাসা,
নেই উপদেশ মুঠোফোনের ওপার থেকে আসা;
নেই অবুঝের বাক্যবান আর তীব্র কথার ঝড়,
নেই ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ আর বিশদ জ্ঞানের ভর;
নেই অপবাদ, আলোচন আর নিন্দাবাদের খেলা,
নেই কারো কোন 'সই'-এর খোঁজে দিন হারানোর বেলা;
নেই অনুযোগ গঞ্জনা আর দুঃখ ভোলার ভান,
নেই অবাধে দোষ খোঁজা আর মিথ্যে অভিমান;
দু’দিনের ছুটি, হাতে গোনা ক'টি টাকা
যেতে হবে বাড়ি বিকেলের ট্রেন ধরে
হাতে চিঠি ধরা বুকের ভেতর ফাঁকা
মা যে লিখেছেন কাঁপা কাঁপা অক্ষরে
বাবা তোকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে
রেলের বগিতে ভিড় বেশি এবেলায়
কাজ সেরে সব ধরেছে ফিরতি গাড়ি
বসে ঝুলে আর লেগে থেকে গায়ে গায়
চলার ছন্দে ঘামের গন্ধ মিশে
কু ঝিক ঝিক হারিয়ে ফেলেছে দিশে
চিলাহাটি নেমে ছয় কিলো যাবো হেঁটে
যেতে যেতে হবে নিজমনে কতো কথা
আমার . . . সাদাকালো বেকার দুপুর মেঝেয় গড়াগড়ি-
এমন . . . . অলস ক্ষণেই মনের ভেতর বাড়ে বাড়াবাড়ি!
আমার . . . সস্তা সহজ ইচ্ছেরা সব করছে হুড়োহুড়ি,
তোমার . .. ব্যস্ত দিনের দরজায় আমি ক্যাম্নে কড়া নাড়ি!!
[১০ মে ২০০৭, অন্যপুর]
উৎপল যেই বললেন, সব থেমে গেলে উৎকীর্ণ খরচাপাতির কথা, মেঝে ভিজে, আমি অভ্যাসদোষে কোন বই নিয়ে টয়লেটে, শরীরটা ভাল নেই কেবল, তবু এই কিছু ছোটবেলার মার্বেল কাঁচের জারের বাইরে ঘুরেই যাচ্ছিল।
মৃত্যুর কথা ভাবি না যে তা নয়, ক্রমশ ঠান্ডা হয়ে ...