আমি তোমার কাছের মানুষ হবো।
এত্তো কাছে, মনে হবে বাড়ির পিছে
সরিষা ক্ষেত, মৃদু নদী- জলের সারস
অতীতে তার কোল ঘেঁষা পথ-
মনে হবে লতানো লাউ, জানলা খুলে
হাত বাড়ালেই পাখি পাখি গাছের ছায়া,
ঘাসের ঘাড়ে হেলেঞ্চাতে শুকনো পাতায়
মুখ ডোবানো রোদের আরাম-
উঠোন ভরা শাকসব্জি, পুঁইয়ের মাচা
পাটির ওপর ছড়িয়ে দেয়া চালতা আচার
মনে হবে, নিজেরই সব- বুনো ফুলের
ছোট্ট বাগান- কপাল থেকে চুল সরানোর
এমন নয় যে,
সকালে একদিন
ঘুম থেকে উঠে দেখলে
তোমার ভেতর
ফুল ফল সমেত একটি গাছ !
বহুদিন ধরেই কিছু একটা হচ্ছিল,
ভেতর থেকে হাত পা ছড়িয়ে উঠে আসছিল কেউ,
আর তুমি ভেবেছিলে দুটো প্যারাসিট্যামল
বা অ্যান্টাসিড খেলেই
সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে!
কিন্তু হয়নি,
দিনের পর দিন ধরে
গাছটি বেড়ে উঠেছে- তোমার
নখ থেকে চুল, নিঃশ্বাস থেকে
কল্পনা পর্যন্ত তার আঁকাবাকা গভির শেকড়
তুমি এখন পরিপূর্ণ টের পাও-
আমাদের পাশের পাড়ার নাম সাগরপাড়া, সেই পাড়ার নামে রাজশাহীর মানুষ যত না চিনত, তার চেয়ে ঢের বেশি চিনত সাগরপাড়ার বটতলার কথা বললে। বিশাল ঝাঁকড়া এক বটগাছ ছিল রাস্তার মোড়ে, ছোট থেকেই দেখেছি তাঁর নিচে চায়ের স্টল, রিকশার স্ট্যান্ড, মানুষের ভিড়। সরু সরু রাস্তা তখন জালের মত বিছিয়ে ছিলে শহরময়, সাথে খোলা কুৎসিত ড্রেন। রিকশার টুংটাং-এ মুখরিত থাকত রাজশাহী, অটো রিকশার গো গো হর্ন তখনো আসে নি। একদিন সেইসব অলিগলির
ছায়া-প্রিয় গাছটার নাম ভুলে গেছি
সেই বেনামী গাছটা ছায়া-সর্বস্বই বটে
না-আছে পাতার ছিরি
না-ভালো গায়ের ডাল-পালা, শাখা-কাণ্ড;
ওই এক ছায়া -
ওটুকুই আছে তার -
ডালে-আবডালে।
গাছটা এখন বিশ;
কাহারোল গ্রামে ছায়া-খোঁজা মানুষের হাত ধরে হাঁটে
মাঠ-মাঠান্তরে,,,
১
(গত সপ্তাহে লেখা)
এই সপ্তাহের মত হুটাপুটি শেষ। আজকে ক্লাস শেষে বাসায় এসে ঘর পরিষ্কার করে, বাথরুম ধুঁয়ে, আগামী সপ্তাহের রান্না-বান্না শেষ করে এই এসে বসলাম। গত সপ্তাহে রান্না করা হয় নাই, সারা সপ্তাহ বাইরে বাইরে খেলাম। ঘর গুছাতে গিয়ে দেখলাম যে আমার গাছটা মারা যাচ্ছে। ছোট একটা গাছ রাখা ছিল সাইড টেবিলে। পানি-টানি ঠিক মতই দেই, কিন্তু সব পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে, ঝরে পড়ছে। আবার গাদা খানিক ...
শামসুদ্দিনদের গ্রামের বাড়িতে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ ছিল। বাইরের বারান্দায়, যেখানে গ্রাম্য শালিস ডাকা হতো, ধান মাড়াই হতো আর পানের বিড়া বানানো হতো সন্ধ্যার পর, সেই পুরো এলাকা দখলে ছিল ওই বিশাল কৃষ্ণচূড়া গাছের। ডালপালা চতুর্দিকে ছড়িয়ে দিয়ে মহারাণীর মত ওখানে সে তার ক্ষুদ্র রাজত্ব করে যাচ্ছিল কয়েক দশক ধরে। সারাবছর তার চিরল সবুজ পাতারা মায়া ছড়িয়ে রাখত উঠানের কোণ জুড়ে, আর বসন্ত এলে তার ...
এই লেখাটা একটা গাছকে নিয়ে লেখা , প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের একটা গাছ যেটাকে বছর চারেক ধরে দেখছি এবং হঠাৎকরে মাত্র ঘন্টা চারেক আগে কেটে ফেলা হবে এমনটা কখনো চিন্তাও করিনি।
অনেকদিন ধরে সচলে লিখিনা , টার্ম ফাই...