একযুগের বেশি হয়ে গেল, বাংলাদেশ টেস্ট খেলে, জয় আসে কালেভাদ্রে। তাও জিম্বাবুয়ে বা খর্বশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে। তবে দেশের ক্রিকেট যে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে সন্দেহ নেই। একটি টেস্ট জয়, একটি বড় অর্জন, সেটি যা সাথেই হোক, আর যেভাবে, যে অবস্থাতেই আসুক। পাঁচ দিন টানা শুধু শারীরিক সামর্থ্য নয়, সাথে মনোসংযোগ ও মনোবলের পরীক্ষাও দিতে হয়।
টেস্টে জয়ের মূল শর্ত হচ্ছে প্রতিপক্ষকে দু'বার অলআউট করতে হবে, যেটি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ করতে পারে না। আমরা অনেক সময়ই শুনে থাকি, আমাদের মূল শক্তি নাকি ব্যাটিং আর স্পিনাররা। কিন্তু শুধু ব্যাটিং দিয়ে আর যাই হোক, টেস্ট জেতা সম্ভব না, তার ওপরে আমাদের ব্যাটিং মোটেই আহামরি কিছু না। বরং বোলাররাই অনেকক্ষেত্রে আমাদের জয় এনে দিয়েছে, জয়ের সুবাস দিয়েছে, ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় জয় আসেনি। বোলাররাও যে ম্যাচ হারায়নি, তা না, তাদেরও দোষ রয়েছে, কিন্তু ব্যাটিং আমাদের যেভাবে লজ্জা দিয়েছে মাঝে মাঝে, বোলিং-এ মনে হয় তেমন দিন অত আসেনি।
আগের পর্বে শুধু কেনিয়ার সাথে বাংলাদেশের দুঃখজনক পারফর্মেন্স বর্ণনা করেই ক্ষান্ত দিয়েছিলাম। আজ বাকি দলগুলোর সাথে বাংলাদেশের বাজে পারফর্মেন্সের উদাহরণ দিতে যাচ্ছি।
জিম্বাবুয়েঃ
এক যুগের বেশি হয়ে গেছে বাংলাদেশ টেস্ট খেলা শুরু করেছে। তারও অনেক আগে থেকে খেলে ওয়ানডে। কিন্তু বহু জ্ঞানীগুণীজন এবং পণ্ডিত ব্যক্তিবর্গ এখনো মনে করেন বাংলাদেশের উপযুক্ত খেলার ময়দান হলো আই সি সি সহযোগী সদস্যদের সাথে, একদিনের ক্রিকেটও নয়। আর এটাকে সঠিক প্রমাণ করতেই বাংলাদেশও যেন উঠেপড়ে লেগেছে, সেই শুরু থেকেই। হতাশাজনক ও জঘন্য পারফর্মেন্স প্রদর্শন শুধু আফগানিস্তান নয়, বরং সব সহযোগী সদস্য ও সমমানের দলের
[justify]বাংলাদেশের কোন দায় নেই পাকিস্তানকে সতী-সাধ্বী প্রমান করার। বাংলাদেশের আসন্ন পাকিস্তান সফর কোন পূর্বনির্ধারিত সফর নয়, আইসিসির সম্ভাব্য সফর-সূচীতে এই সফরের কোন অস্তিত্ব নেই, অস্তিত্ব নেই পিসিবির সূচীতেও। আইসিসির তরফ থেকে এই সফরের জন্য কোন চাপ নেই, যা আছে তা একমাত্র লোটা-পাপনের চাপ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সম্ভাব্য পাকিস্তান সফর নিয়ে দেশে-বিদেশে, বিশেষত বাঙালী ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে, সবিশেষ আগ্রহ গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই লক্ষ্যণীয়। এখানে স্পষ্ট করে বলা ভালো যে, ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যেই এ-নিয়ে প্রবল বিতর্ক; সচেতন ক্রিকেটপ্রেমীরা (অর্থাৎ যাঁরা একইসঙ্গে দেশপ্রেমীও) নিষ্ঠার সঙ্গে এ-সফর বাতিল করার পক্ষপাতী, বিপরীতে ছাগু ক্রিকেটপ্রেমী (এরাও একইসঙ্গে দেশপ্রেমী; ফাঁরাক হচ্ছে, এদের দেশ পা
একটা ঘটনার বিশ্লেষণ বিভিন্নভাবে করা সম্ভব। একবার স্বাস্থ্যগবেষণার খুঁটিনাটি বিষয়ক একটা সেমিনার শেষে আমাদের এক সহপাঠিনীর মন্তব্য: “কী অসাধারণ রমণী! কী সুন্দর তাঁর উপস্থাপনা!
১.
মোহাম্মদ আলী স্যারকে আমরা সার্কিটপাগল মানুষ হিসেবেই জানি। দীর্ঘদিন ধরে জটিল এবং ভয়ঙ্করদর্শন সব সার্কিটের নাড়িনক্ষত্র বের করা শেখানো এই আপাতগম্ভীর মানুষটিও যে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে ভাবেন এবং ভাবতে ভালোবাসেন- তার পরিচয় আমরা পাই, বাংলাদেশ যেদিন ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৫৮ রানে অলআউট হয়, তার পরদিন। পাওয়ার ইলেক্ট্রনিক্স ক্লাসের স্বাভাবিক প্রথা ভেঙে স্যার নিজেই সেদিন আমাদের সাথে ক্রিকেট নিয়ে জম্পেশ আড্ডা দিতে শুরু করেন। স্যার সেদিন মজা করে বলছিলেন, বাংলাদেশের ছেলেদের ক্রিকেট খেলাই ঠিক নয়। ক্রিকেটের জন্য দরকার জার্মানদের মত ফিটনেস আর অসিদের মত কুলনেস, যার কোনোটাই বাংলাদেশি ছেলেদের নেই। বড় দুঃখ থেকে স্যার এই কথাগুলো বলেছিলেন-সন্দেহ নেই। আমরা অবাক হয়েছিলাম এই দেখে যে সারাজীবন সিংগেল থাকা এই মানুষটাও সাকিব, তামিম আর মুশফিকদের নিয়ে আমাদের চেয়ে এতোটুকু কম ভাবেন না।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১ তে অংশগ্রহনকারী বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের দল ঘোষিত হয়েছে।খুব স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ দলে জায়গা পেয়েছেন পরপর দুটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন উৎপল শুভ্র কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশের একমাত্র "বিগ ম্যাচের প্লেয়ার" মোহাম্মদ আশরাফুল।ব্যাপারটি এখানেই শেষ হতে পারতো।কিন্তু হয়নি কিছু সন্দেহপ্রবন অর্বাচীন বাঙ্গালীর জন্য, সব কিছু নিয়ে খুঁতখুঁত করা ছাড়া যাদের সকালে বিছানা থেকে গাত্রোত্থানের পর থেকে রাতে একই বিছানায় গা এলিয়ে দেয়ার মধ্যবর্তী সময়টুকুতে যাদের অন্য কোন কাজ নেই।এসব অর্বাচীনদের থোতা মুখ ভোঁতা করে দেয়ার জন্য কিছু যুক্তি খুঁজে বের করতেই হলো, যার মাধ্যমে অক
বেশ অনেকদিন আগের কথা, তখনো বাংলাদেশ ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ততোটা পরিচিত মুখ নয়। সদ্য ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেয়েছে, কালে ভাদ্রে কুলীনদের সাথে খেলার সুযোগ পায়। সে সময় প্রায়ই পত্রিকায় দেখতাম ভারত এবং পাকিস্তানে ( বিশেষত ভারতে ) ...