[justify]১.
এইমাত্র পড়ে শেষ করলাম এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস "মাতাল হাওয়া"। কিছু মজার ব্যাপার লক্ষ করলাম এই বইতে। হুমায়ূনীয় স্টাইল। যেমন পেছনের ফ্ল্যাপে লেখকের ছবির নীচের লেখাটা- আমি হুমায়ূন আহমেদ, ১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ সালে নানাবাড়ি মোহনগঞ্জে (নেত্রকোনা জেলা) জন্মগ্রহন করেছি। পাসপোর্ট এবং সার্টিফিকেটে লেখা ১০ এপ্রিল ১৯৫০, কেন এই ভুল হয়েছে জানি না।
উপন্যাসের পটভূ...
সকালে বের হয়েই ভ্যাপসা গরমে মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। বাসস্টপে ১৫১ বাসের জন্য অপেক্ষা। বাতাসের দেবতার ঘুম ভাঙ্গেনি, সাথে যোগ হয়েছে চিটচিটে আর্দ্রতা। সমুদ্রঘেরা গোবেচারা দ্বীপদেশের এই এক প্রব্লিমিটি- ভেজা, বিরক্তিকর আর সূচের ফলার মত গরম বাতাস।
বাসা থেকে বের হয়ে দুটো ব্লক পরে ক্লেমেন্টি রোড, ওভারব্রীজ পেরোলেই লাগোয়া বাসস্টপ, পাশে বেমানান একটা পার্ক, একটা পায়ে চলা রাস্তা, একজন ঝা...
[justify]১.
পড়ছি মুহম্মদ জাফর ইকবালের ভূত সমগ্র।
জাফর ইকবাল বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখায় যতটা পারঙ্গম, প্রতিষ্ঠিত এবং জনপ্রিয়, ভূতের গল্পে হয়ত ততটা নন। ভূতের গল্প বলে লিখেছেন পিশাচের। পার্থক্য? হয়তো ভূত কেবল ভয় দেখিয়েই খালাস, কিন্তু জাফর ইকবালের পিশাচ খালি রক্ত চায়। অনেক ভূতের গল্পই পড়েছি যাতে ভয়ের চেয়ে মজা ছিল ঢের বেশি। এই বইটাতে খালি পিশাচ, এবং এই নিম্ন প্রজাতির অপদেবতাদের নিয়ে সে...
বহুদিন হয় এই সিরিজের কোন পোস্ট দেই না। আসাশিমুলের কথায় মনে পড়লো আবার, মনে হলো আবার জাগিয়ে তোলা যায় সিরিজটাকে।
[justify]
মাঝে বেশ অনেকটা সময় কেটে গেছে, ঘটে গেছে অনেক কিছু। বাবা হওয়া, ছেলের মুখটা প্রথমবার দেখে বুকটা আনন্দে ভরে যাওয়ার মুহূর্ত, শেষ ডিগ্রিটাও কেমন কেমন করে যেন কনফার্ম হয়ে গেল একদিন, বাড়ি বদলালাম, চাকরি, দেশে ঘুরে আসা। কেন জানি আনন্দের ব্যাপারগুলো আমাদের মস্তিষ্ক খুঁটিয়ে খ...
১. সকাল
দিনগুলো কেটে যাচ্ছে হাসপাতালবাসের মত, সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা কোনো নিজস্ব ব্যক্তিত্ব নিয়ে হাজির হয় না, কোনোকিছুতেই কোনো অনুভূতি নেই, রুটিনে নেই কোনো সাম্যাবস্থ্যা, পুরোটা সকাল আর দুপুর পড়ে পড়ে ঘুমাই, নিশাচর চোখেরা পলক ফেলতে চায় না রাত্রির গভীরে, নাস্তা হয়ে যায় শেষবিকেলের লাঞ্চ, ডিনারের সময় অহেতুক ডেকে উঠে দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে উঠা কয়েকটা বালিহাস। সবাই যখন ঘুম থেকে উঠে জগতের ক...
১.
ইদানিং টিভিসংবাদের একটা বড় অংশে থাকছে জব ফেয়ার বা চাকরিমেলার খবর। কোথায়ো গোটাপাঁচেক কোম্পানি হয়তো ২/৩ জন কর্মচারি নিয়োগ দেবে, তো আয়োজন কর চাকরি মেলার। এইসব মেলায় চাকরি মেলে কিনা সে সম্পর্কে অবশ্য ঢের সংশয় আছে। তবে এলাকার এমপিরা হাসিমুখে টিভিসাক্ষাতকার দিতে থাকেন, কোম্পানিগুলোর বিনাপয়সায় বিজ্ঞাপণ হয়ে যায়, আমজনতা ভাবতে থাকে- ইশ আগে থেকে খবর পেলে নিশ্চই একটা চাকরি বাগানো যেত, ...
সেদিন বাসে ফিরছিলাম হারবারফ্রন্ট থেকে, ১০ নম্বর রুটের ভলভোতে চড়ে নীচতলার একটা সিটে বসতেই নজরে পড়লো লেখাটা, 'অন্য যে কোনো পেশার মতই এই বাসের ক্যাপ্টেন আপনার কাছ থেকে যথাযোগ্য সম্মান আশা করে, তাকে তার সম্মান দিন, অন্যথা দেখলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান'। বাসচালককেও যে ক্যাপ্টেন বলা যায়, সেটা আমার মত বঙ্গসন্তানের কাছে 'আররে, ইন্টারেস্টিং তো'। আমরা ড্রাইভার বলে গালি দিতে অভ্যস্ত, কিংবা...
প্রথমত ব্যস্ত থাকি ইদানিং, দ্বিতীয়ত ব্লগাব্লগির ব্যাডপ্যাচ চলছে, তৃতীয়ত মন খারাপ, ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে এইসব-দিন-রাত্রি। মাথার মধ্যে মৌমাছির মত ভনভন কর...
মেতেছি অলিম্পিকে।
কম্পিউটেশনাল কাজ করতে হয় বলে ল্যাবে সারাক্ষণ কম্পিউটারের সামনেই থাকি। ওয়েবকাস্টে ইউনিভার্সিটির ওয়েবপেজ থেকেই টিভি দেখার ব্যবস্...
নতুন টার্ম শুরু হয়ে গেছে।
একটু হলেও নতুন শুরু হওয়া টার্মের উত্তাপ গায়ে এসে লাগে। ফ্রেশার, পুরোনো মুখচেনা আন্ডারগ্রেড পোলাপানের ভীড়ে ক্যাম্পাস আবার ভর...