কিছু বিষাদ হলো পাখি। সম্ভবত প্রতিটি বাঙালি কিশোরের প্রথম ঈশ্বর দর্শন হয় জীবনানন্দের কবিতা পড়ে।
বছর কুড়ি বা তারও বেশি আগে, কোন এক মেঘলা মফস্বলের চুপচাপ দুপুরে, প্রায় হঠাতই হাতে আসা নিউজপ্রিন্টের দুর্বল কাগজে ছাপা একটা বইয়ের ভেতর আমি প্রথম চোখ মেলে দেখি, সেখানে অলস গেঁয়োর মত এক টুকরো ভোরের রোদ মাথা পেতে শুয়ে আছে ধানের উপরে। একটা ইগনরেন্ট দানবের মত অবহেলাভরে সেই যে জীবনানন্দ আমাকে ছুঁয়ে দিলেন, সেই ঘোর আমার আজও কাটেনি, মনে প্রাণে চাই, কখনও যেন না কাটে।
এই ডাঙা ছেড়ে হায় রূপ কে খুঁজিতে যায় পৃথিবীর পথে।
বটের শুকনো পাতা যেন এক যুগান্তের গল্প ডেকে আনে:
ছড়ায়ে রয়েছে তারা প্রান্তরের পথে পথে নির্জন অঘ্রানে;-
আসলেই তাই! আজকের পর্বের সব ছবি তাই বাংলার পথে প্রান্তরে তোলা, যা দেখে কবি এঁকেছিলেন সেই সব অসাধারণ শব্দমালা।
ভোর থেকেই প্রচণ্ড দৌড়ের উপরে আছি, ঘটনার তরঙ্গ এসে একের পর এক আসছে পড়ছে জীবনের সৈকতে। মনে হচ্ছিল আজ আর নেটের ধারে কাছে ঘেঁষা হবে না, কিন্তু ঘোষিত হল আজ সচলায়তনের সবচেয়ে কুখ্যাত কবিতাখোর রিফাত সানজিদা ওরফে তিথীডোরের জন্মদিন! এই দিনে তাকে কবিতাময় একটা উপহার না দিলে কেমন হয়! বাসায় ফেরা হয়নি এখনো, কিন্তু মধ্যরাত পেরোয়নি হেলসিংকিতে, তাই পথে থেকেই ১০ ছবির এই পোষ্ট।
অন্যান্য আরো অনেকেরই মতো জীবনানন্দকে ঠিকমত বুঝে উঠবার আগেই ‘বনলতা সেন’-এর সাথে আমার পরিচয়। সেই পরিচয়ে তারুণ্যের মুগ্ধতাই ছিল বেশী। সে বয়সের মুগ্ধতার একটা আলাদা চরিত্র আছে। সেই চরিত্রগুণে সহজেই ‘বনলতা সেন’ ‘জীবনানন্দ’কে ছাপিয়ে যান। আমার প্রথম সেই পাঠ ছিল নিতান্তই অর্বাচীন পাঠকের পাঠ। তাই কবিতাটির প্রথম চরণেই খটকা লেগেছিল। ‘হাঁটিতেছি’, একি বিশ্রী গুরুচণ্ডালী। পাড়াগাঁর কবি, হয়তো
তাঁকে দেখি আমি কুয়াশার পথ হেঁটে হেঁটে
আবার এলেন ফিরে এই বাংলায়।
নিপুণ আতশি কাঁচ তাঁর বারবার
আদিগন্ত খুঁজে ফিরে সবুজ ফড়িং,
নির্মোহ তাঁর দুটি চোখে অজস্র নক্ষত্রের ঝাঁক
নির্জন রাতের কোলে রূপোলী ইলিশের মতো জেগে উঠে।
এই বাংলার মিহি ঘাসে, জলসিড়ি নদীটির পাড়ে শুয়ে
অশ্বত্থের সাথে কথা হয় তাঁর
ঘুমের শান্তির সাথে কখনো বা হয় অভিসার।
মাঝরাতে দেখি অদ্ভুত আঁধার ঠেলে
প্রথম পর্বঃ ঘরোয়া কথন
আমরা মিলেছিলাম এক ঘরোয়া আড্ডায়। বহু আগে থেকেই মনের টান আমাদের তাগাদা দিচ্ছিল, কিন্তু ব্যস্ততা ক্রুর জাল আমাদের করে রেখেছিল পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন। নিত্যদিনের জীবনযাপনের আটপৌরে চাহিদাগুলো আমাদের জীবনের অনেকটুকু মূল্যবান সময় নিপুন চুরি করে নিয়েছে। আমরা ব্যস্ত থেকেছি, অথচ কি করুণভাবে হয়ে পড়েছি জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন। সহস্র মানুষের ভীড়ে হেঁটেও হয়ে পড়েছি ভী ...
HE REPROVES THE CURLEW
O CURLEW, cry no more in the air,
Or only to the water in the West;
Because your crying brings to my mind
passion-dimmed eyes and long heavy hair
That was shaken out over my breast:
There is enough evil in the crying of wind.
[The Wind Among the Reeds, W.B. Yeats, 1899]
হায় চিল
হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে
১৯৩৩
তোমার শরীর —
তাই নিয়ে এসেছিলে একবার — তারপর — মানুষের ভিড়
রাত্রি আর দিন
তোমারে নিয়েছে ডেকে কোন্ দিকে জানি নি তা — মানুষের ভিড়
রাত্রি আর দিন
তোমারে নিয়েছে ডেকে কোনদিকে জানি নি তা — হয়েছে মলিন
চক্ষু এই — ছিঁড়ে গেছি — ফেঁড়ে গেছি — পৃথিবীর পথে হেঁটে হেঁটে
কত দিন — রাত্রি গেছে কেটে!
কত দেহ এল, গেল, হাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে
দিয়েছি ফি...
"বিফোর সানসেট" কিছু গতকাল রিলিস করে নি। তবে ঘনঘন দুখানা পোস্ট কেন? এর দায় ফারুক হাসানের। এমন চমৎকার একটা রিভিউ লিখেছেন তিনি যে পড়া মাত্রই দেখে ফেললাম (এটাও নেটফ্লিক্স অনলাইনে পাওয়া যায়)। এবং দেখা মাত্রই লিখে ফেললাম আরেকপ্রস্ত রিভিউ। তবে এটা বোধ হয় ঠিক রিভিউ নয়, বরং ছবি দেখার পর যে অনুভূতি তার প্রকাশ।
আগের পর্ব
মাল্যবান চরিত্রটির সাথে জীবনানন্দ প্রায় মিলে যান। উৎপলাকে দূর্মূখ , স্বার্থপর ঝগড়াটে দুশ্চরিত্র এইসব হিসেবে একেবারে কৃ...