দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় মেলবোর্ন নগরী থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে ফিলিপ আইল্যান্ড নামের এক অপূর্ব নৈসর্গিক জায়গায় আমরা এসেছি পেঙ্গুইনদের খোঁজে! জি হ্যাঁ, পেঙ্গুইন!
পূর্বজন্মে আমি ছিলাম শুঁয়োপোকা । বেগুন গাছের পাতার নিচে ছিল আমার বাস । ঢেঁড়সে কামড় বসিয়ে আমার রসনা তৃপ্ত হতো। অতঃপর দুর-গাছ পরিক্রমায় শ্রান্ত আমি, ঢেঁড়সেরই পাতার নিচে একটু গড়িয়ে নিতাম। দুর কোন শিমের পাতায় খুঁজে পেতাম আমার প্রাণেশ্বরী। জনান্তিকে বেজে উঠত মহা-মিলনের সুর; পাতারই বাঁশী দিয়ে - "আমি পরাণের সাথে খেলিব আজিকে মরণ-খেলা; নিশীথ-বেলা"। বোধ করি রিপু-চক্রের বাধ্য আমি লোভ করেছিলাম অন্য কোন ফলে। ধ
অস্ট্রেলিয়ার টিকিট কাটা ছিল কুয়ালাম্পুর-এডেলেড, পার্থ-কুয়ালাম্পুর অর্থাৎ নামব এডেলেড আর ফিরব পার্থ হয়ে। দু সপ্তাহের ভ্রমণ। পুরো মহাদেশ তো আর এই স্বল্প সময়ে দেখা সম্ভব না, আপাতত দুটো স্টেট দেখে যাই, এরকমটাই ছিল প্ল্যান। টিকিট কেটেছিলাম প্রায় পাঁচ মাস আগে, বাজেট এয়ারলাইন “এয়ার এশিয়া”র মূল্যছাড় অফার থেকে। যাত্রা তারিখের প্রায় দু’মাস বাকী থাকতে এয়ারলাইন এর কাছ থেকে ই-মেল পেলাম যে ওরা এডেলেড এর সব ফ্লা
কাল রাত্তিরে ওয়ারনামবুল শহরের আকাশে কালপুরুষ দেখে বেশ আয়েশ করে ঘাড় বেঁকিয়ে দেখতে যেয়ে চমকে উঠলাম, পুরা তারামণ্ডলটাই উল্টে আছে! কাঁধের আদ্রা চলে এসেছে নিচে, হাঁটুর বাণরাজ ডিগবাজি মেরে উপরে এবং উল্টো দিকে! বিশাল কালপুরুষের বেল্ট আর তার নিচের নীহারিকা চলে গেছে কাঁধের কাছাকাছি! কী কেলেংকারি! এমন অদ্ভুতুড়ে ঘটনা কেন হবে? আমি তো আর উল্টো হয়ে ঝুলে নেই !
মাস ছয়েক হয় সিডনী এসেছি, মোটামুটি খুঁটি গেড়ে বসার পরিকল্পনা নিয়ে। একটা স্থায়ী ঠিকানা দরকার, ভাসমান জীবন আর কতদিন? নিজের দেশে স্থায়ী ঠিকানা বানানোর চেয়ে চাঁদে যাওয়া আমার কাছে সোজা, কাজেই সে চেষ্টা থেকে অব্যাহতি নিয়েছি বহু আগেই। ছাপোষা মানুষের বিদেশ বিভুঁইয়েই ভরসা, যদি দু’দণ্ড সুখ মেলে!
বাংলাদেশে পানীয় জলের প্রধান উৎস মাটির নিচে। বেশী তোলার জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামে আবার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর বেশ নীচে নেমে গেছে, তাই চাহিদা মেটাতে নদীর পান...