বৈশাখের ঘুঘু ডাকা দুপুর। নানা বাড়িতেই কাটত গরমের দিনগুলো। কাটত, মানে কাটাতাম। আমাদের গ্রামের জনসংখ্যা একটু বেশি। ঝোপ-জঙ্গলও কম। তাছাড়া মা-বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে গণগণে দুপুরে মাঠে বেরিয়ে পড়ার সুযোগ কম ছিল। নানা বাড়িতে ধরা বাঁধার বালাই নেই। তাছাড়া গ্রামটা একেবারে মাঠের ভেতরে। লম্বা একটা রাস্তা। দু’ধারে সার দিয়ে বসতি। বাড়ির পেছনে বাড়ি নেই। মাঠ আর মাঠ। কোথাও বুনো ঝোপে আচ্ছাদিত বাঁশবন, মাঠকে মাঠ খেজুর বাগান। বাঁশ আর উলুঘাসে একাকার হয়ে যাওয়া অবারিত প্রান্তর।
তারপর সে ভয়ে ভয়ে বনের মধ্যকার সুঁড়িপথ দিয়ে বিছুটি লতার কর্কশ স্পর্শ গায়ে মেখে, সেঁয়াকুল কাঁটায় শাড়ির প্রান্ত ছিঁড়ে অতিকষ্টে এসে গ্রাম-প্রান্তের কাওয়ার পাড়ায় পা দিলে।
—ইছামতী, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ কী মায়া গো—
কী আঁচল বিছায়েছ, বটের মূলে নদীর কূলে।
‘একদিন সকালে একমনে খবরের কাগজ পড়ছি, বলাই আমাকে ব্যস্ত করে ধরে নিয়ে গেল বাগানে। এক জায়গায় একটা চারা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করল, “কাকা এ গাছটা কী।”
দেখলুম একটা শিমুল চারা বাগানের খোওয়া দেয়া রাস্তার মাঝখানে উঠেছে।’
যে বিষয়টা্তে চমৎকৃত হয়ে ছবিগুলো তুলেছিলাম সেটা ছিল প্রকৃতির রূপ বদলের খেলা। পরে এই রূপবদলের খেলাড়ি মেহগনি গাছটা বোধয় আমার গুরুই হয়ে গেল। প্রথম ছবিটা তোলার সময় ছিল ঝরা পাতার বসন্ত। ছবির বাম দিকে কাছাকাছি দেখতে পাওয়া মেহগনি গাছটার সমস্ত পাতা ঝরে গিয়ে একেবারে মরার মত হয়েগিয়েছিল। দৃশ্যটা আমার ঠিক বারান্দা থেকে দেখতে পাওয়া। তিন তলা বরাবর গাছটাকে খুব কাছ থেকে প্রতিদিন একটু একটু ক...
একবার মুহূর্তের জন্য গিলে ফেলেছিলাম বৃক্ষসমেত বন আশ্চর্যমত পেটে গেড়ে গিয়েছিল বৃক্ষেরা
ফলত দানাদার খাদ্য অসহ্য হয়ে উঠেছিল আমার ।
বৃক্ষেরা তরলমত খাদ্...