নানাভাইকে দেখতে যাচ্ছি...
২০১৬র শেষাংশে কর্মসুত্রে রাজধানীতে সেট হবার পর থেকে আবাল্যের শহর চিটাগঙে গমনের হার ছিল অতি নিয়মিত। কাজের চাপ ও পরবর্তীতে সাক্ষী হতচ্ছাড়ার সাথে গাঁটছড়া বাঁধার পর থেকে ক্রমে ক্রমে চট্টগ্রাম হয়ে উঠলো কদাচিৎ ছুটিছাটায় যাবার জায়গা। ছ'মাসে, ন'মাসে একবার, দুই রাত কি একবেলার জন্য।
সময় কই!
[justify]
ঘুম তাড়ানোর টোটকা হিসেবে ১৫ মিনিটের মধ্যে ঝড়ের বেগে লেখা। গালমন্দ বেশি খেলে হয়তো আবার ঝড়ের বেগে মুছেও দিতে পারি।
কী আছে জীবনে, কন?
___________________________________
[right]'Death really did not matter to him but life did,
and therefore the sensation he felt when they gave their decision
was not a feeling of fear but of nostalgia...'
কতকাল ধরিয়া মনের গুপ্ত কুঠুরিতে চিন্তাগুলা ফুটিতেছিল! দিনে দিনে ইহারা ফুটিয়া চাউলের মতন নরম হইয়াছে, দুঃখতাপে এবং চাপে আশা ভরসাকে মাড় বানাইয়া মনের আগুন নিভাইয়াছে। শাপে বর হইয়াছে , বিদ্রোহকে দানা বাঁধিয়া উঠিবার সুযোগ দেয় নাই । না হইলে কি আর লঙ্কা অক্ষত থাকিত!
[justify]
(১)
'যৌবন পেরিয়ে গেলে কোন এক বাদামী সন্ধেবেলা মানুষের মনে হয় এই জীবন অন্যরকম হবার কথা ছিলো।
কৈশোরের যে মহিমা- উজ্জ্বল জীবনের ছবি ভেসে উঠতো চোখে, কোথায় গেল সেই মহিমা?
মেঘলা আকাশের জোত্স্নার মতন চতুর্দিকে ছড়িয়ে থাকে স্বপ্নের শব…
মনে হয় যদি আর একবার নুতন করে জীবনটাকে শুরু করা যেত, শৈশব থেকে আবার ফিরে আসা...'
[justify]
[justify]
'শেষ রোদ এখন মাঠের পরে খেলা করে, নেভে।
ঝাউফল ঝরে ঘাসে...
সেইসব বাসনার দিনগুলো, ঘাস রোদ শিশিরের কণা..
নক্ষত্ররা চুরি করে নিয়ে গেছে, ফিরিয়ে দেবে না তাকে আর।'
#জীবনানন্দ দাশ
______________________________________________
[justify]
‘প্রশ্নগুলো সহজ, আর উত্তরও তো জানা..’
প্রশ্নের উত্তর দিতে আমার ভাল্লাগে না.. একেবারেই না। তবু প্রতিদিন অসংখ্যবার অনেক ক’টা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। ক্যাম্পাসের চৌকাঠ মাড়িয়ে ঢুকতে কিংবা বেরুতে গিয়ে সম অথবা অসমবয়সী কারো ঠোঁটে ‘কেমন আছো’ নামের সরল জিজ্ঞাসাটি আমাকে আপাদমস্তক বিব্রত করে।
কেমন আছি আসলে? বেঁচেই তো আছি.. বেঁচেবর্তেই তো থাকি আমরা, কোনোমতে।
আমি আমার কথা বলতে এসেছি
মুক্তির মিছিলে বঞ্চিত আত্মা; কিংবা
ব্যাশ্যার পায়ে স্বর্গ খুঁজে দেখা পুরুষ নয়,
আমি আমার কথাই বলতে এসেছি।
একজন নারীর মুখ চেয়ে পৃথিবীর রক্তে স্নান
অথবা শ্বাশত ঝর্ণার জংঘায়
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা মানুষ নই;
অতি বর্ষণেও যার চোখে উত্তাপ
আমি সেই পুরুষ-ভালোবাসার পতিত অংশ।
আমি কবিতার স্তনে হাত রেখে শপথ করে বলছি
সে রাতে আমি কাঁদিনি-যদিও ভেবেছিলে
বর্ষণের বেনোজলে ভ ...
যখন নিরর্থক নিঃসঙ্গতায় আপ্লুত এই হৃদয়
শুন্যতাকে করে বিষজ্ঞান
জীবন খোজে পূর্ণ প্রেমের আধার
কিংবা আধারটাই করে আকর্ষণ
আর অন্বিষ্ট হয় নিজের পরিশ্রুতিসাধন।
তখন হঠাৎই আনন্দে দেখি
প্রচলিত মূদ্রায় আমি মূল্যহীন
বিনিময় অযোগ্য কিংবা অসাধ্য
যেনো পদ্মায় ভেসে চলা পানা
কিংবা কৃষ্ণপক্ষের প্রথমা তিথির জ্যোৎস্না।
ব্রুনো
আমি অবশ্য অশ্রুত ছিলাম না কোনদিন। কেউ থাকেও কি তা, বিশেষত ‘হিয়ারিং’ আর ‘লিসেনিং’ এর বাংলা যদি হয় একই। আশ্চর্যজনকভাবে আমার পক্ষপাত ছিলো প্রথমটার প্রতি। তীক্ষন দৃষ্টি সবার হজম হয় না, আমার হতো না। আমার স্বর মৃদু থেকে মৃদুতর হয়ে আড়াল দিতে থাকে আমাকে আর আমি, আরো অনেকের মতো, আস্তে আস্তে নির্বিঘ্ন হয়ে উঠতে থাকি। আমার কন্ঠস্বর একসময় উড়ে যায় কিন্তু তার সূতা রেখে যায় আমার বাম হাতের কনিষ্ঠ ...