স্বনামধন্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সাদি মহম্মদ আত্মহত্যা করেছেন। একাত্তরে অবাঙালিদের হাতে নিজের পিতাসহ আরো অনেকের নির্মম হত্যাকাণ্ড তিনি চাক্ষুষ দেখেছিলেন। সে বর্ণনা পড়ে যে কেউ শিউরে উঠতে বাধ্য। আত্মহত্যার পরে জানলাম সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না পাওয়ায় তার মনে অভিমান ছিলো। শহীদজায়া হিসেবে তাঁর মাকে কোনো সম্মান দেয়া হয়নি তা নিয়েও ক্ষোভ ছিলো। এই রাজাকার ও পাকবান্ধব সমাজ
“...which does not kill us makes us stronger.”
দার্শনিক ফ্রেডরিক নীৎশের এই বিখ্যাত উদ্ধৃতিটি আমি মাঝে মাঝেই নানা জায়গায় পড়ি আর ভাবি, কথাটা কি আসলেই সত্যি? সত্যিই কি আঘাত আমাদের এতোটা শক্ত করে তোলে? অনেক ভেবে উত্তর পেয়েছি- হয়তো তোলে। তবে কিছু আঘাত আছে, যা আমাদের শক্ত করে তোলে না- বরং এতোটাই বিধ্বস্ত করে দেয় যে, মরে যাওয়াটাকে অনেক কাঙ্ক্ষিত মনে হয়। ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা এমনই এক আঘাত।
আমার ধারনা ছিল আমার পক্ষে ভয় পাওয়া সম্ভব না। এমনকি কোন খারাপ পরিস্থিতিতেই ভয় না পেয়ে নিজেকে মাঝে মাঝে অনেক কুল মনে হত। ভুল ভাঙল কালকে টিভিতে বাসে পোড়া মানুষদেরকে দেখে। আমি নিয়মিত লোকাল বাসে চলাচল করা পাবলিক। টিভিতে যখন দেখছিলাম বিহঙ্গ পরিবহনের যাত্রীদের পেট্রল বোমাতে ঝলসানো শরীর, তখন ভাবলাম আপাতত কিছুদিন আর বাসে চলাফেরা করবনা। সম্ভবত এটাই ভয়ের সবচাইতে কাছাকাছি অনুভূতি যা আমি পেতে পারি।
আমি রোবট টাইপের মানুষ। না পড়ে পরীক্ষা দিতে যেতে ভয় করে না কিংবা পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হলে মন খারাপ লাগেনা। বয়ফ্রেন্ডের রোড একসিডেন্ট হলে উতলা লাগেনা। ক্রিকেট খেলায় আমার কোন প্রিয় দল নেই। রাজাকারদের ফাঁসি না হলে আমার কিছুই যায় আসে না।
আমার বিশ বছর বয়সী ভাইপো পরশু সন্ধ্যারাতে সিলিং থেকে ফাঁসীতে ঝুলে হন্তারক হয়েছে নিজের। বছর খানেক আগে কলেজ থেকে ঘরে ফিরেছিল সে ছোট একটা মেয়েকে লাল শাড়ি, কপালে টকটকে লাল সিঁদুর আর হাতে সফেদ শাঁখা পরিয়ে। সেদিন এতটুকু ছেলের সাহস দেখে হতবাক হয়ে গেলেও আমি মনে মনে তার বেশ প্রশংসা করেছিলাম। আমি কোনদিন ওরকম সাহস করতে পারি নি। আমার ভাইপোটির বাবা মানে আমার ভাইটি তার পুত্রবধূর মুখ দেখার মাস দুয়েক পর একরাতে ছট
আজকে গ্র্যাজুয়েশন এর শেষ পরীক্ষা ছিলো। স্বাভাবিক ভাবেই আজকের দিনটা অন্যরকম। আমার নরক থেকে মুক্তি পাওয়ার আনন্দবার্তা। বিকেলে একটা পার্টিতে যাওয়া হলো, রাতে ফিরলাম হোস্টেলে প্রায় ১২টা বাজে তখন। সবকিছু ঠিক ছিলো, রাত ১টার দিকে জল ভরতে এক তলায় গিয়েছি, হঠাৎ দেখি দৌড়ে আসছে এক ব্যাচমেট। কি হয়েছে জিজ্ঞেস করতেই বললো, একজন জুনিয়র আত্মহত্যা করার জন্য ছাদে দাড়িয়ে আছে। শোনার সাথে সাথে আমার প্রথম বছরের প্রথম দি
প্রতি রাতে একটি করে কবিতা আত্মহত্যা করে আমার বারান্দায় ।
আমার ভাবনা গুলোকে যখন আমি
কবিতার খাতায় বন্দী করতে পারিনা,
তখন ভাবনাগুলো আমার অজান্তে
সুসজ্জিত হয়ে কবিতায় রুপ নেয় ।
তারপর আমার বারান্দায় ফুলগাছটির ডালে ঝুলে আত্মহত্যা করে ।
আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি,
কবিতার মৃতদেহ পড়ে আছে আমার বারান্দায় ।
বিকৃত অবস্থায় ।
সে কবিতার চেহারা আমি মনে করতে পারিনা
বেঁচে থাকার জন্য মানুষকে জীবনের পুরো সময় জুড়েই অনেক যুদ্ধ করে যেতে হয়। যুদ্ধে জয়ী কেউ বনে যায় বিশাল সাম্রাজ্যের মালিক আবার পরাজিত কেউ পথের ভিখিরি একবেলা ভাতের জন্য প্রখর রোদে দিনের পর দিন কাজ করে যায় কেউ, আবার কারো ঘরে নষ্ট হয় অনেক মানুষের খাবার।
কৃষকের মুখে হাসি ফুটে গোলা ভরা ধানে, আবার বন্যার পানিতে ফসল ডুবে গেলে কৃষকের হাসি মুখ তখন ধানের ...
- কীরে, শরীর কেমন আছে?
- ভালো না, পুলিসের লাঠির গুঁতো খেয়ে কাঁধটা অসাড়।
- হারিকেনটা ডিম্ করে ধরিয়ে একটু শেঁক দিস্। আরাম পাবি।
- না, পাবো না।
- কেন?
- পুরো গ...