রাঙামাটি ভ্রমণের এই সময়টাতে অজানা অনেক কিছু দেখবার যেমন আনন্দ ছিল তেমনি ছিল কোন এক বিকেলের কিছু সময়ের দুঃখ মাখা স্মৃতি। সুখের মুহূর্ত মানুষ ভুলে যাই কিন্ত দুঃখবহ স্মৃতি কেবলই তাড়া করে ফেরে। সেবারের এই স্মৃতি কটু যাত্রায় আমার সাথে ছিল আমার সাড়ে তিন বছরের ছেলে, স্ত্রী আর দু একজন নিকটজন। আমাদের গন্তব্য শুভলং ঝর্ণার সাথে কিছুক্ষণ দেখা করা তারপর তার বুক চিরে বের হওয়া পানি গায়ে ছিটিয়ে ফিরে আসা।
প্রথম তরঙ্গ
তিনটে দিন টানা বন্ধেও দেখা যায় অনেকসময় কিছুই করার থাকে না। একগাদা ছবি নিয়ে এসেছি প্রায় মাস দুয়েক আগে। দু'চারটা ছাড়া সেগুলোর বেশিরভাগই দেখা হয় নি। এমনিতেই বিদ্যুৎবিভ্রাট। আর, ওটা থাকলেও প্রায়ই চোখ চলে যায় মুভি চ্যানেলগুলো কী দেখাচ্ছে তার দিকে। তারপর, অদ্যভক্ষ ধনুর্গুণ করে দেখা যায় ডিভিডি প্লেয়ারটা ছাড়ার সুযোগ বা ইচ্ছে কোনটাই আর থাকে না।
তবে, এবারে ব্যতিক্রম ঘটলো...
নিকষ ঘন আঁধার মাঝে
কোথায় অচিন ঘুঙুর বাজে,
স্বপ্নপুরীর কোন রমণী
ত্রস্ত লুকায় কপট লাজে!
প্রাণের মাঝে জাগলো কী ঢেউ,
কেউ জানে না, গোপন থাকে,
আঁধার শুধু কষ্ট ...