"বলো আমাকে রহস্যময় মানুষ, কাকে তুমি
সবচেয়ে ভালবাসো?
তোমার পিতা, মাতা, ভ্রাতা অথবা ভগ্নীকে?
পিতা, মাতা, ভ্রাতা অথবা ভগ্নী-কিছুই নেই আমার।
তোমার বন্ধুরা?
ঐ শব্দের অর্থ আমি কখনোই জানিনি।
তোমার দেশ?
জানি না কোন দ্রাঘিমায় তার অবস্থান।
সৌন্দর্য?
পারতাম বটে তাকে ভালবাসতে- দেবী তিনি অমরা।
কাঞ্চন?
ঘৃণা করি কাঞ্চন, যেমন তোমরা ঘৃণা করো ঈশ্বরকে।
আবার বাড়ী বদলাতে হচ্ছে । দু’দিন আগেও ঘরের যেখানে যেটা থাকার কথা, তাই ছিল...এখন সব অগোছালো । বইয়ের শেলফগুলো হা হা শুন্যতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । কিচেনের কাউন্টারে স্তূপ করে রাখা জিনিস বাক্সবন্দী হওয়ার অপেক্ষায় । লিভিংরুমের মেঝেতে এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে নির্ঝরের পাজলের টুকরো...ছোট্ট রাবারের শার্ক...কবেকার কোন জন্মদিনের পার্টিতে পাওয়া না-খোলা লুটব্যাগ (সেখান থেকে উকি দিচ্ছে মোড়কসহ ললিপপ)...হলুদ
আমি একটি কাঁচপোকা ভালোবেসেছিলাম
__________________________________
রঙিন শিকলে আমার শৈশব বাঁধা পড়ে আছে
দামাল উড়ন্ত ঘুড়িতে বাঁধা পড়ে আছে স্নিগ্ধ সুসময়
একদিন আমি খুব আয়োজন করে প্রেমে পড়েছিলাম
একটি কাঁচপোকার;
স্বচ্ছ জলছাপের মতো অথবা চিবুকে জমা আর্দ্র
ঘামের মতো; এই কবিতার প্রতিটি বিচ্ছিন্ন শব্দের মতো
একটি কাঁচপোকা ঢুকে গিয়েছিল আমার ভালোবাসার ঘরে -
তখনো জানতামনা নারী বা নারী-দেহ ভালোবাসায়
আরো সুখ। আমাকে নির্দ্বিধায় বোকা বলতে পারো
সত্যিই আমি ব্যপক ফলনের মতো
ভালোবেসেছিলাম একটি ছোট্ট কাঁচপোকা।
এক মুঠো সোনালি জরি
_____________________
মেঘের কাছে চিঠি দিও
অম্লভাব চোখের জমিনের কোমল ছোঁয়ায়
লবন শুষে নাও অমল রুমাল
হাওয়ায় উড়িয়ে দাও মলিন মখমল। মল বাজাও । মল জড়ানো
ভেজা পায়ে গোলাপের ঘ্রান জড়িয়ে নাও
যে চুড়ি বাজে না, শুধু কাঁচ হোক
ছড়িয়ে দাও শস্য ক্ষেতে
কিছু দানা হোক, কিছু দেনা হোক
অসময়ের খামে।
মেঘের কাছে চিঠি দিও
আজ সারাদিন পাখিদের স্নান -
আমরা দুজন শুধু বারান্দা!
লেখক: ক্রেসিডা
বৃষ্টিসংক্রান্ত যাবতীয় স্বপ্নগুলো আমি ঘুমের ঘোরেই দেখি এবং জেগে ওঠার পর তার আর কিছুই মনে আসে না। তাই কোনো-কোনো রাত্রে ঘুম ভাঙার পর বিছানায় পা ঝুলিয়ে বসে থাকি, আর ভাবি--
দেখি এই বৃষ্টিভারাক্রান্ত রাত--রাতের দ্রোহ ভোরের সমীপবর্তী হতে গিয়ে অকারণে খোলে ফেলছে পোশাক--
আর তার নগ্ন পরিহাসে ভেসে যাচ্ছে আমার বিছানা বালিশ
আগের সামান্য অংশ
[আকাশটা একটু আগেও রৌদ্রোজ্জ্বল ছিলো। ঝুপ করে আলোটা সাতসকালেই মিইয়ে গেলো,নীল আকাশটা এখন দেখাচ্ছে ঠিক
সাদাটে মোমের মতো............
যন্ত্রণাটা বাড়ছে আবার টের পাচ্ছি। তির তির করে ছড়িয়ে পড়ছে পায়ের গোড়ালী অব্দি। আজকাল হাঁটতে বড় কষ্ট হয়। আমি কি ফুরিয়ে যাচ্ছি দিন দিন! ভাবলেই কষ্টরা কুন্ডলী পাকিয়ে মেঘের আকার নেয়। ভাবলেই ঝাপসা হয়ে ওঠে চারপাশ। সচলায়তন, তারিখ: শুক্র, ২০০৯-০৩-২০]
...
আকাশটা একটু আগেও রৌদ্রোজ্জ্বল ছিলো। ঝুপ করে আলোটা সাতসকালেই মিইয়ে গেলো,নীল আকাশটা এখন দেখাচ্ছে ঠিক সাদাটে মোমের মতো। একটা পাইপের উপর একটা কাক এসে বসছে কিছুক্ষণ, আবার উড়ে উড়ে যাচ্ছে। জানলা থেকে দেখতে পাচ্ছি, সামনের আট তলা বাড়ির ছ'তলার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে তেড়েফুঁড়ে মাথা বের করেছে টবে রাখা তিনটে গাছ যেন গলা বাড়িয়ে ওরা আকাশ দেখছে। খুব সামান্য একটু হাওয়া দিলো আর তাতে দুলে গেলো তারে মে...