১.
ফোনের রিং বেজে উঠার সাথে সাথেই রিসিভ করলো আবির । কিন্তু ওইপাশ থেকে অভিমানের সুরে ভেসে আসলো প্রশ্ন ?
তুমি ফোন ধরতে দেরি করলে কেন ?
প্রশ্ন শুনে আবির একটুও বিচলিত না হয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর দেয় । কোথায় দেরি করলাম , সাথে সাথেই তো ধরলাম ।
কে শোনে কার কথা , সপ্তর্ষি এবার মনে হয় আরও রেগে গেল ।
রাতে ঘুম আসছিলো না। এপাশ-ওপাশ করছিলাম। দূরে কয়েকটি কুকুর ডাকছিল। এ ডাক শেয়াল তাড়ানোর হৈল্লা নয়। কেমন করুণ, বিষাদ মাখানো।
রাতে কুকুরের এমন ডাক অশুভের ইঙ্গিতবাহী। অজানা আশংকায় মন কেঁপে উঠলো।
উল্টো দিক থেকে বেশ কয়েকবার গুনলাম। তবুও ঘুম এলো না।
দীপাকে ফোন করা যায়। ওর না ঘুমানোর রোগ আছে। হয়তো আমার মতোই এখন জেগে। কিন্তু আজ যদি ঘুমিয়ে থাকে!
থাক। কাউকে ফোন করার দরকার নেই। তারচেয়ে...
লম্বামতোন একটা প্যাসেজ। প্যাসেজ জুড়ে পাতলা অন্ধকার ছেয়ে আছে। মেয়েটা সেই পাতলা অন্ধকারে প্যাসেজ ধরে সামনে যাচ্ছে। হালকা পায়ে। যেন গুনে গুনে প্রতিটা পা ফেলছে। একটু নড়চড় হবার জো নেই। আর প্রতি পদক্ষেপে তুমুল আত্মবিশ্বাস। মেয়েটা ছিপছিপে লম্বা। গায়ে-গতরে এক টুকরো বাড়তি মাংসের বালাই নেই। যেন ছেনি ছেঁটে বানিয়েছে কোনো কুমার। আর বানানোর সময় তার সমস্ত মনোযোগ ছিল একটু-আধটু বাড়তি মাংস ...
আপনারদের রবি ভাইয়ের গল্প এর আগে বলেছিলাম। ওই যে ছবির হাটে, প্রেমিক- প্রেমিকার ঝগড়ার যে গল্পটি আপনাদের বলেছিলেন। তবে এই গল্প রবি ভাইয়ের নয়, তার বন্ধু আলী নেওয়াজকে নিয়ে। সেও রবি ভাইয়ের মতো ডিজিটাল চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবছে, স্বপ্ন দেখছে একটা ডিজিটাল সিনেমা বানানোর। ছবির হাটে একদিন আড্ডা দিচ্ছি। রবি ভাইয়েরাও যে পাশে গপসপ করছেন, তা খেয়াল করিনি। রবি ভাই ডাক দেন। কাছে গেলে আলী নেওয়াজের সা...
বাচ্চা ভূতটা হাড্ডিসার। মাথার খাপরি বের হয়ে এসেছে। চোখ দুটো গর্তে লুকানো। টর্চ লাইটের মতো তা ঠিকরে বের হচ্ছে। যেনো জয়নুলের দুর্ভিক্ষের সচল কোনো চিত্র। ‘আমরা এহান থেকে যাইগা মা’ বাচ্চা ভূত মা ভূতকে বলে।
‘যাবি’ বলে মা ভূতটা বিষন্ন দৃষ্টি মেলে।
মা ভূতটাও হাড়জিরজিরে। পাঁজরের সবগুলো হাড় গোনা যায়। পাটকাঠির মতো তা বের হয়ে আছে।
‘হ, যাইগ্যা। এহানে আর থাকা যাইবো না। সব গাছ কাইট্যা ফ...
আসলে এই গল্পের কোনো শেষ নাই!
আসুন যারা যারা শেষ নাই জেনেও গল্পটি পড়তে শুরু করেছেন তাদের সম্মানে এক চুমুক পান করি। কিন্তু আপনারা যাই বলেন, এইসব পানটান আম...