শোনার, বোঝার ও রসাস্বাদনের প্রস্ততি
বইটা বহুদিন আগে বাংলাদেশের এক নামজাদা রবীন্দ্রগেঁড়ের বাসায় দেখেছিলাম। পাতা উলটে বুঝেছিলাম যে, রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়নরীতির প্রায়োগিক দিকটি নিয়ে বইটা লেখা। কিন্তু সেই বিশিষ্ট রবীন্দ্রগেঁড়েটি বই ইত্যাদি ধার করলেও ধার দিতে চান না, দিলে যদি তাঁর চে’ বেশি শিখে ফেলে?
বইটা যে ঠিক কীভাবে হাতে এসেছিল, আজ আর মনে নেই। বন্ধুর বড় বোনের বিয়েতে উপহার দেবার জন্য বোধহয় ‘তক্ষশিলা’ থেকে কিনেছিলাম বইটা, থার্ড ইয়ারে থাকতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী থেকে লেখকের “দিশি গান-বিলিতি খেলা” পড়ে বিষয়গুণে ও বিদগ্ধ বিটলেমিতে মুগ্ধ হয়েছিলাম। এবার বইয়ের নামটা আমার খামখেয়ালী মনে বেশ ভালো লাগায় কিনে ফেললাম। রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম বাসে কৌতুহলের বশে আর সময় কাটানোর জন্য বইটা খুল
১.
প্রথম কবে কোনদিন বোহেমিয়ান র্যাপসডি শুনেছি মনে নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার কিছুদিন পরে সম্ভবত। প্রথম শোনার পরের অনুভূতিটা মনে নেই। সেটা ছিল অনেকগুলো অনুভূতির মিশ্রণ। বিস্ময়, অবিশ্বাস, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, আরো নানারকম আবেগ মাথার ভেতর পেটের ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছিলো। তারপর আবার শুনলাম, তারপর আবার। শুনতেই থাকি। দিনের পর দিন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ। বাসায় বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন যেই আসে তাকেই বলি, একটা গান শুনবে। শুনতে না চাইলেও শোনাই। গান শুরু হওয়ার পর ব্যাপক কৌতূহল নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকি। যেই অনুভূতিগুলোর ছাপ দেখতে চাই, তা পাই না। হতাশ হই। অনেকে গানটা শুনে হাসে, অনেকে বলে ভালো। আমি আর শোনাই না। সেটা ছিল উপরের পাটিতে উচু হয়ে থাকা দাতের ফ্রেডি মারকারীর সাথে আমার প্রথম পরিচয়।
এক আলো ঝলমলে গ্রীষ্মে গাড়ী নিয়ে ফিনল্যান্ড থেকে রওনা দিলাম জার্মানির উদ্দেশ্যে। ইচ্ছা ছিল যতখানি সম্ভব ঘুরে দেখব বিশাল জার্মানির যতটা সম্ভব- বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেত, গাঢ় সবুজ উপত্যকা, অট্টালিকাময় শহর, দুর-দূরান্তে ছড়িয়ে থাকা কোলাহল মুখর জনপদ, নদী বিধৌত অববাহিকা, গহীন বন, তুষার ঢাকা পর্বত, বন্দর নগরী, পথ চলতে হঠাৎ পেয়ে যাওয়া নির্জন নিরিবিলি গ্রামগুলি- যাই আসুক না আমাদের যাত্রাপথে। সঙ্গী অপু,
স্টেফিন মেরিটের লেখা আর পিটার গ্যাব্রিয়েলের গাওয়া এই গানটা আচমকা শুনেছিলাম। এত চমৎকার একটা গান, আগে কেন শুনিনি ভেবে আফসোস হচ্ছিল!
10 - peter gabriel...
[গানটি প্রথম গেয়েছিলেন এর গীতিকার স্টেফিন মেরিট। আমার অবশ্য পিটার গ্যাব্রিয়েলের কণ্ঠে বেশি ভালো লেগেছে। সেটিই এখানে দিলাম। নিশ্চিত হতে পারিনি গানটির সুরকার কে! 'ম্যাগনেটিক ফিল্ডস' ব্যান্ডের কেউ হবে বলেই ধারণা করি!]
কী ভেবে একটা 'অনুবাদ চে ...
আয়োজনটি শহরের উত্তর প্রান্তের ক্লাবঘরটিতে। সারবেঁধে ড্রাইভওয়ে দিয়ে ঢুকছে ক্লাব সদস্যদের গাড়ি। বিশাল পার্কিং-এ গোটা ষাটেক গাড়ী আঁটে, তারপরও জায়গা হয় না। সামনের আর পাশের রাস্তায় পার্ক করা আরো শ'খানেক। ঝকমকে শাড়ীর চমক আর সুগন্ধী সৌরভ ছড়িয়ে লাস্যময়ী সদস্য-সদস্যারা আরো মোহময় করে তুলছেন সান্ধ্য আয়োজনটি। গাড়ী থেকে নেমে কুশলাদি সেরে ভীড় ঠেলে পথ করে নিচ্ছেন। দরজার ফাঁক গলে প্রায়ই প ...
শিকেইন হচ্ছে বিলেতি সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার, এবং প্রযোজক নিকোলাস ব্রেস গার্ডলের ইলেকট্রনিক ড্যান্স মিউজিকের লেবেল। তার সঙ্গীত সঙ্গতে সাধারণত: বিভিন্ন অতিথি শিল্পীরা কণ্ঠ দিয়ে থাকেন।
২০০৮ সালে তার লকিং ডাউন গানে মেলিসা বাতেনের কণ্ঠে বাংলা লিরিকস যুক্ত করা হয়। এ প্রসঙ্গে ব্যান্ডটি বলছে:
"We had all but finished the track which was originally sung in English, and just on a whim, decided to see ho...
কেউ কি মনে করতে পারেন জীবনের প্রথম কোন গানটা শুনেছিলেন? একটা গান যে একটা গান, সেটা শুনে আনন্দ-দু:খ-হতাশা-উৎসাহ-প্রেম-বিরহ এসব হতে পারে, এটা যে একটা নেশায় পরিণত হয়ে যেতে পারে, এটার ভেতরে যে ঢুকে যাওয়া যেতে পারে, এই বোধটা কবে প্রথম এসেছিলো? আমি হাজার চেষ্টা করেও মনে করতে পারি না। আমার মা রবীন্দ্রসংগীত আর তখনকার আধুনিক গান, মানে হেমন্ত-মান্না দে এঁদের ভক্ত ছিলেন। যখন ছোট ছিলাম, আমাদে...
[justify]জুল মাসেনে-র লেখা অপেরা "তাই"-এর একটি গান মেদিতাসিয়োঁ। মাসেনে ঊনবিংশ শতকে ফরাসী সুরস্রষ্টাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। সারা চ্যাং দক্ষিণ-কোরীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান বেহালাবাদিকা।
সঙ্গীতের বোধহয় এ-ই এক অনন্য গুণ, দেশ-কাল ছাড়িয়ে একজনের সৃষ্টি আরেকজনের পরিবেশনে অনন্য হয়ে ওঠে। নানা উৎকণ্ঠা আর বিষণ্নতার মধ্যে দিন কাটছে, রেডিওতে শুনতে শুনতে অনুভব করলাম, কী অপূর্ব সব সুর শোনা বাকি রয়ে ...