পর্ব ১: আম্রিকা সমাচার
আম্রিকার ছোট শহরগুলোতে বসবাস করার অনেক অসুবিধার মাঝে একটি—যাতায়াতের সমস্যা। বিশেষত নিজস্ব গাড়ি ছাড়া এখানে চলাচল একেবারেই অসম্ভব। প্রথম ছ'মাসে তা বোঝা হয়ে গেছে।
শহরে আসার আগে তেমন একটা খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি। এবং সে ভুলের মাসুল পরের ক'মাস দিতে হয়েছে। ভাগ্য ভাল যে বাসা বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব কাছে।
আমার জাগরণগুলি স্বপ্নের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে কমজোরি তথা অনির্ভরযোগ্য হয়ে উঠছে।
-সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়
[justify]
১
ঠিক ঠিক ঘরে ফিরি- ফেরা হয়। কবুতরের চুম্বক থাকে- দিক চিনে ঠিকই খোঁপে আসে সন্ধ্যায়। আমি শহুরে জীবন্ত মনুমেন্ট, আমার ভিতরে তড়িৎচুম্বকীয় ব্যাপারস্যাপার। তাই ফিরি। নিজের চুলের ভাঁজে, আঙুলে, চোখের বয়ামে অসংখ্য গল্পের পাণ্ডুলিপি নিয়ে যেগুলো আমি যত্ন করে লিখতে চেয়েছিলাম, হয়ত আমার আগে কোন পূর্বপুরুষ- আমাদের লুকানো দুঃখ-সুখ-স্বপ্ন-বন্ধনের শব্দাবলি- নাগরিক জীবনের বৃত্তজীবিতাকে স...
রোজ সকালে আড়মোড়া ভেঙে ওই একটা সবুজ তোয়ালেতেই মুখ মুছি প্রতিদিন।
রোজ একই জুতা জামা গায়ে, সেই একই রাস্তা ধরে-
একই গন্তব্যে পৌঁছে যাই বারবার।
দুয়েকটা রঙীন ফানুস এসে মাঝে মাঝে,
খানিকটা রঙধনু ধার দিয়ে যায় হয়তো-
আমাদের দুজনের চোখের জল আজ,
মিলেমিশে মুখ লুকিয়ে হাসে।
এরকম অভ্যস্ততায় কতগুলো দিন কেটে গেলো!
একটাই জানলা দিয়ে রোজ, দুয়েকটা চড়ুই এসে পড়ে-
কী আশ্চর্য, আমরা দুজন একটি ঘরে থাকি!
অথ...
১. আহ সামার
কোন এক কালে, সুদূর কোন এক কালে বলা হত বাংলাদেশে গ্রীষ্মে আম কাঠাল ফলে। সেই কালে স্কুলে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বলেও একটা বিষয় ছিল। স্কুলের পরীক্ষা...