আমার পিতা -
একজন মৃত্যুপ্রিয় মানুষ ছিলেন।
তিনি তাঁর মৃত্যুকে আকাঙ্খা করতেন -
হারিয়ে যাওয়া, কোন এক প্রেমিকার মতো।
কিন্তু যেদিন,
তিনি তাঁর প্রেয়সীর সাথে মিলিত হলেন -
আমার বুকের ভেতরটা কেমন যেন ফাঁকা হয়ে গেলো।
আমার পিতা -
একজন স্বতঃস্ফূর্ত মানুষ ছিলেন।
তিনি সমবেত মানুষ পছন্দ করতেন,
কোলাহলে নিজেকে মুখর রাখতে সক্ষম ছিলেন।
অথচ যেদিন আমাদের আঙিনায়
একদা একজন ক্যাকটাসকে ভালোবেসে -
ভালোবাসায় সে হয়েছিল ডুবন্ত।
তারপর থেকে তার একচক্ষু মাতালের,
আর একচক্ষু অন্ধের।
এইরকম দু’চোখে দেখে
পরম মমতায় সে জড়িয়ে ধরেছিল -
ক্যাকটাসকে
সেই থেকে তার হৃদয় হয়েছে রক্তাক্ত বারবার।
রক্তাক্ত হতে হতে
জীবনের সব উত্তপ্ত লোহিত ভালোবাসা, আবেগ
গেছে ঝরে দেহ থেকে।
ভালোবাসায় ডুবন্ত সেই মানুষ
প্রেম হারিয়ে লাশ হয়ে ওঠে ভেসে।
আহা! আজ সে যতটুকু মৃত, নি ...
ঐ দিন তোমার সাথে হঠাৎ দেখা হবার পর;
ঈশ্বরকে জিজ্ঞেস করলাম,
এতদিন পরে দেখা করিয়ে কী লাভ হল তোমার?
আমার ভুলটা কি আঙ্গুল তুলে দেখালে?
নাকি তোমারও যে মাঝে মাঝে ভুল হয় -
সেটার জন্য ক্ষমা চাইলে?
যথাবিধি ঈশ্বর নিরব।
হে ঈশ্বর, অত্যন্ত বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি যে
তোমার উদ্দেশ্য সফল হয়নি।
আমি তাকে দেখেছি, আর
সেও দেখেছে আমায়।
আমরা আগের মতই আছি,
আগের মতই ভালো - এবং
আগের মতই ভালোবাসাবাসির সীমারে...
দৃশ্যমান সাজানো সংসারে অদৃশ্য বাসনাগুলো
প্রতিনিয়ত রক্তাক্ত করে-
হৃদয় ক্রমশঃ হয়ে ওঠে নিটোল তরমুজের মত।
ভালোবাসা ও পরিতৃপ্ত আদর ধীরে ধীরে সরে যায় দূরে-
অচিরেই ভালোবাসা বাসা বাঁধে বোঝাপড়ার সাথে।
সামর্থ্য ও স্বপ্নের বিশাল দূরত্ব সাপের মত আষ্টে-পৃষ্ঠে পেঁচিয়ে ধরে
মহান মানবজন্ম আর আত্মার বিশালতাকে -
নিজেকে উভচর ব্যাঙ বা ততোধিক কুৎসিৎ ক্ষুদ্র কিছু বলে মনে হয়।
আমি ক্রমশঃ ব্যাঙ...