অপরিচয়ের দূরত্ব খুঁজে ফেরার গাঢ়তা স্পর্শ করতে চেয়েছি
ঠিকানার শেষ শব্দে থমকে গেলে গৃহস্থ মানুষ ঠিক কোন্ শূন্যতার
খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকে ?
কখন সে বুঝতে পারে তারও আছে অখণ্ড বাতাস, নির্বিরোধ আলো
এমনকি নিজস্ব অন্ধকারের উপর জন্মগত অধিকার ?
এমন এক নিসর্গ যা সে গর্ভস্থ ভ্রূণের জন্য রেখে যেতে পারে,
এমন এক কৃতার্থ-ঋণ, স্বপ্নাহত মানুষের হাসির দামে যা স্পন্দিত হয়
[ /জাতীয় পতাকাকে অসম্মানিত করার ছবিটি মুছে দিয়েছি/]
কবি বলেছিলেন -
তোমার পতাকা যারে দাও
তারে বহিবার দাও শক্তি।
গতকাল রাতে উত্তেজনায় ছটফট করছিলাম। উত্তেজনার বিষয় 'বিজয় দিবস।' মহান বিজয় দিবস এসে গিয়েছে অথচ এখনও আমার ফেইসবুকের প্রোফাইল পিক্ অথবা কভার পিক্ এ জাতীয় পতাকা লাগানো হয়নি। আহা!
সোনালী ঝর্ণা থেকে রবিন যখন আলোর সংকেত দিচ্ছে ঠিক তক্ষুণি কলিং বেল বেজে উঠলো। বই বন্ধ করে চাবি হাতে নিচে গিয়ে দেখি আব্বু এসেছেন। ঘরে ঢুকে আব্বু হাতে নীল পলিথিন এর ব্যাগটা হাতে দিয়ে বললেন গামছাটা নিয়ে আসো তো বাপ। ব্যাগের বাইরে থেকেই বেশ বোঝা যাচ্ছে ভেতরে কমলা। আব্বুর হাতেও আর কিছু নাই। আব্বু কি ভুলে গেছেন?
অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। দেশের সৃজনশীল লেখক পাঠকদের মিলনস্থল এই মেলা। এটা তথাকথিত এবং সকলের জানা একটা কথা। এর সাথে ভিন্নমত পোষণ করবেন এমন কেউ কি আছে এই দেশে, থাকতে পারে?
অক্ষমের শেষ হাতিয়ার নাকি গালি। কোন শালা এই কথা বলছে আমার জানা নাই কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ নিজেকে অক্ষম রূপে আবিস্কার করি। তখন গালি দিলে মনটা শান্ত হয়। ঠান্ডা মাথায় কিছু যুক্তির অবতারনা করা বরাবরই কঠিন বলে মনে হয়। নিজেকে প্রবোধ দেয়ার জন্য, অবস্থান সম্পর্কে পরিচ্ছন্ন ধারনার জন্য, ঘটনা পরম্পরা বিশ্লেষনের জন্য, সর্বোপরি নিজের সংকীর্ণতা যাচাইয়ের জন্য কিছু পুরনো কাসুন্দি ঘাটতে চাই। আপনার ইতিহাস ভীতি বা গন্ধভীত
[justify]সবকিছুর শুরু হয় নাকি ছোট্ট একটা স্বপ্নে। আমার সমস্যা হচ্ছে- শুরুর সঙ্গে সঙ্গে তা শেষও হয়ে যায় ওই স্বপ্নেই। তো, এইভাবে অনেক কিছুই করতে চেয়েছি এবং করা হয় নি। এই তো কিছুদিন আগে জাফর ইকবাল স্যারের লেখাটা পড়তে পড়তে মনে করে দেখার চেষ্টা করছিলাম জাতীয় সঙ্গীত পুরোটা মনে করতে পারি কি না। লজ্জার সঙ্গে আবিষ্কার করলাম ভুলে গ
উপরের যে ছবিটি দেখছেন- তা ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের সময় তোলা ব্রাজিল- আর্জেন্টিনার পতাকায় ছেয়ে যাওয়া রাজধানী ঢাকার একটি ছবি। চাইলে এমন ছবি বিশ্বকাপের সময় সারা বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তেই বসে তোলা যাবে। আমাদের দেশ ফুটবল বিশ্বকাপ খেলে না। তাই বিশ্বকাপের সময় আমরা পরের পতাকা উড়াই। আর মনে মনে স্বপ্ন দেখি...একদিন আমরাও!
১৬ই ডিসেম্বর ১১টার সময় আমি তখন যাচ্ছি অফিসের দিকে, সকালের রাশ আওয়ার এড়িয়ে। বিজয় দিবসে ফেসবুকের প্রোফাইল ছবিতে লাল সবুজ পতাকা দিয়েছি বের হবার ঠিক আগেই। দুইশবার গিয়েছি এই রাস্তা দিয়ে, একশবার দেখেছি ছোট্ট স্প্যানিশ স্থাপত্যের বাড়িটা। বাইরে ঝুলানো পতাকা, একটা মেইল বক্স, সিটি কর্পোরেশনের ময়লা ফেলার বিন আর কিছু শুকনো পাতা। পতাকা দেখে মুখ দিয়ে বের হল অস্ফুট স্বরে অজান্তেই “War Veteran”।
...