সবার শৈশবের ইনিংসটা দুধেভাতের সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয় না। আমরা অনেকেই দূরে চলে যাওয়া শৈশবকে আহ্লাদে ভেসে গিয়ে কাছে ডাকতে চাই। অনেকেই হয়ত তাদের শৈশবের বুকে বেশ করে ইরেজার ঘষে লোপাট করে দেয়া যেতো যদি, এমন আক্ষেপ নিয়ে দীর্ঘশ্বাস চাপেন। আমাদের ভাবনায় যে শৈশব আছে মলিনতাহীন, নিটোল এক সুন্দরের সরোবর হয়ে; অনেকের কাছে সেটা কেবলি সীমাহীন দুঃখের। সৌভাগ্যবশত আমরা যারা দারুণ শৈশবকে মুঠোবন্দী করতে সক্ষম হয়েছি, তারা ফেলে আসা চিররঙিন দিনগুলোর প্রতি সবটুকু ভালোবাসা মেখে বলতে চাই 'ভালো থেকো মেলা, লাল ছেলেবেলা, ভালো থেকো।' অন্যদিকে কষ্টময় শৈশবের মানুষটি তখন বয়ান করেন তার তিক্ত জন্ম ইতিহাস, 'একহাতে ফুলের গন্ধ, আরেক হাতে নরকের দুর্গন্ধ মেখে আমার জন্ম।'
পড়ব পড়ব করে কয়েক বছর পার করে দিয়ে অবশেষে এই বই পড়ার সুযোগ হলো এই মাসকয়েক আগে। তাও আবার বন্ধু পড়ছিল, আমি আফসোসমুখে জানিয়েছিলাম যে বইটা আমারও পড়তেই হবে বটে, তাই শুনে এক্কেবারে জন্মদিনের সন্ধ্যায় বই হাতে করে হাজির। একে জন্মদিন, তায় আবার একেবারে অপ্রত্যাশিত উপহার, ধন্যবাদেরও ভাষা যোগায়নি মুখে। আচ্ছা, ধান ভানতে নেমে এমন শিবের গীত না গাওয়াই সমীচীন, সুতরাং পেছনের এইসব হাবিজাবি গল্প তোলা থাক এখনকার মতো, ব
কলেজে পড়ার সময় একটা কৌতুক শুনেছিলাম। কৌতুকটি এরকম:
স্কুলে কয়েক ছেলে এসে তাদের ক্লাসের এক মেয়েকে বলছে, “বল তো বুকে গোল ও দুইটা কী?”
ছেলেদের এ ধরনের জিজ্ঞাসায় মেয়েটিতো প্রচন্ড বিব্রত। মেয়েটির এমন বিব্রতভঙ্গি দেখে ছেলেরা হেসে কুটি কুটি।
“আরে গাধা, বুক বানান হলো বি ডাবল ও কে। BOOK - এ গোল দুইটা হলো “O”।
সামরান হুদা’র গল্পগ্রন্থ ‘তিতাস কোনো নদীর নাম নয়’ পড়তে পড়তে ম্যালাদিন আগে শোনা এই ক...
মাহবুব লীলেন’র ‘তৃণতুচ্ছ উনকল্প’: গল্পদের ঊর্ধ্বে যে অগল্প
১।
বেশ কয়েক মাস পরে একটি বই পড়লাম আমি - ব্যস্ততার অজুহাতে কুঁড়ে পাঠক - পড়লাম মানে কি, প’ড়ে একেবারে শেষও ক’রে ফেললাম! এই কারণেও, এবং বইটির ধরনের কারণেও সে বইটি নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি, মানে লিখতে যাচ্ছি। যদিও কিছুদিন আগে ক্যামেলিয়া আপুও এ বইটি এবং আরো কিছু পূর্বাপর অনুরণন নিয়ে লিখেছিলেন, তবু আমি আবার সাহস করছি বড়মুখ ক’রে। ল...
আমার সচলায়তন পাঠ খুব বেশিদিনের না। দিন তারিখের হিসেবে এক বছরও হয়নি। এই অল্পদিনে আমি যে কয়জনের গল্প পাঠের জন্য তীর্থের কাকের মতো বসে থাকি, তিনি আনোয়ার সাদাত শিমুল। তার গল্পের গুনমুগ্ধ পাঠক আমি। তাই আনোয়ার সাদাত শিমুল যেদিন মলাটবন্দী হয়ে বইমেলায় এলেন, সেদিনই তার বইটি বগলদাবা করে বাসায় ফিরি। শুরুতে বলে রাখতে চাই, এটা কোনো বইয়ের সমালোচনা নয়। আমার শিমুল পাঠের একান্ত অনুভূতিমালার প...
আনোয়ার সাদাত শিমুলের উপন্যাস 'ছাদের কার্ণিশে কাক'। উপন্যাসখানা ই-বুক ফোল্ডারে বেশ কিছু দিন ধরেই পড়ে ছিল। কম্পিউটারে একটানা পড়ে যেতে আমার সমস্যা হয় বলে একটু একটু করে পড়েই আগাচ্ছিলাম। এতোদিনে শেষ হলো তা। কোনো উপন্যাস কিংবা কবিতা অথবা গল্পগ্রন্থ পড়ে শেষ করলাম- এভাবে হয়তো বলা যায় না। কারণ অন্য একদিন, বিশেষ কোনো মুহূর্তে আবার তা পড়বার তাগিদ চাগিয়ে উঠতে পারে। আবার উল্টাতে বাধ্য করত...