[justify] I urge you to travel, as far and as much as possible. Work ridiculous shifts to save your money. Go without the latest iPhone. Throw yourself out of your comfort zone. Find out how other people live and realize that the world is a much bigger place than the town you live in. And when you come home, home may still be the same, and yes, you may go back to the same old job, but something in your mind will have shifted.
And trust me that change everything.
আঁকাআঁকি জিনিসটা ছোটবেলা থেকেই ভাল লাগতো । চেষ্টাও করেছিলাম কিছুদিন। কিন্তু সুবিধা করে উঠতে পারি নি । কিন্তু, ইচ্ছাটা এখনো রয়ে গেছে । পরবর্তীতে শুরু করলাম ছবি তোলা । একটা সময়ে এসে মনে হল, ছবি যখন তুলছিই আর ফটোশপ আর এর জাতীয় সফটওয়্যার এর উপরেও যখন কিছুটা ধারণা আছে তাহলে দেখি চেষ্টা করে ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলোকে কিছুটা অন্যভাবে প্রকাশ করা যায় কিনা ।
দুবাই – মরুর বুকে এক স্বর্ণ নগরী। কারো স্বপ্নের শহর – আবার কারো স্বপ্ন ভাঙ্গার বেদনার শহর।
আলো ঝলমলে এই শহরের আনন্দ বেদনার গল্প বলা শুরু করলে আরব্য রজনীর দশ ভলিউম এও কুলাবে না। আর আমার মত আদার বেপারীর জাহাজের খবর দিয়ে কোনো লাভ নেই। বরং চলুন আপনাদের এই শহর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আরব কিছু জায়গায় ঘুরিয়ে আনি।
সারা দিনের কাঠফাঁটা রোদ, ধূলো, ধোঁয়া এর পরে যখন আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামে তখন নিজের ভেতরে সত্যিই এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়। যেন, প্রকৃতির সাথে সাথে নিজের ভেতরটাও ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়। রবি ঠাকুরের ভাষায়-
বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি ।
শুষ্ক হৃদয় লয়ে আছে দাঁড়াইয়ে
ঊর্ধমুখে নরনারী ।।
না থাকে অন্ধকার, না থাকে মোহপাপ,
না থাকে শোকপরিতাপ ।
বেশ কিছুদিন ধরেই ক্যামেরাটা বেকার ঘরে পড়ে ছিলো । না না কারনেই আর বের হওয়া হচ্ছিলো না । ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম, আমার দলে এমন আমি একাই না.... অনেক ভাই বেরাদারও আছে । কি আর করা..... সুদীপ্ত দা'র কাছে আর্জি পেশ করলাম, একটা ফটোওয়াকের কল করেন । দাদাও রাজি হয়ে গেলেন..... বলেই দিলেন গ্রুপের পক্ষ থেকে একটা ফটোওয়াকের ব্যবস্থা করাই যেতে পারে ।
৬-১২-১২ তারিখে কিঞ্চিৎ ছবি তুলিবার বাসনা লইয়া শাহবাগ এলাকায় গিয়াছিলুম। কিন্তু গিয়া পুরাই টাসকি…. হায় হায় ইহা আমি কোথায় আসিলুম !! এক বৎসর পূর্বেও তো এইখানকার অবস্থা এইরূপ ছিলো না। আমি কাহাদের ছবি তুলিব ?
বাতাসে শীতের গন্ধ । প্রকৃতিতে রংয়ের উৎসব শেষ করে পাতাদের ঝরে পড়াও শেষ । বাদামী রংয়ের শুকনো পাতা মাড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে কোথা থেকে ভেসে এল অনেক দিন আগের এই রকম শীতের কোন ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতার গন্ধ...নজরুলের সমাধির পাশে লাইব্রেরীর গেইটে লাল রঙ্গা বাস থেকে নেমে কলা ভবন পর্যন্ত হেঁটে আসতে আসতে মাটি থেকে কুড়িয়ে নিতাম ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতা । একটু ছিড়লেই সেই পাতা থেকে বের হ’ত অদ্ভুত এক সৌরভ...কোথা হতে ভেসে এলো ফেলে আসা দিনের গায়ে লেগে থাকা সেই সৌরভ...আর তার হাত ধরে চলে এল বন্ধুর মত বন্ধুদের স্মৃতিরা...
ক্যামেরা হাতে এসেছে খুব বেশীদিন হয় নি। মাত্র কয়েক মাস। তাও যদি ধুমছে ছবি তুলতে পারতাম, তাহলেও দুঃখ থাকতো না। (উন্নত প্রজাতীর অলস হলে যা হয় আর কি :D ) । তারপরেও মাঝে মাঝে ক্যামেরা হাতে নিয়ে বের হই। যেহেতু ছবি তোলার জন্য তেমন সময় পাই না ..... তাই ছবি তোলার প্রধান বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছি 'দৈনন্দিন জীবন'-কেই। চলতে ফিরতে চোখের সামনে যা পাই সেটাই তোলার চেষ্টা করি।
[আগেই বলে নেই, ছবিগুলো সবার জন্য নয়। দূর্বল চিত্তের যে কারোর না দেখাই ভালো]