গোটা দেয়াল জুড়ে একটাই ছবি, তাতে একটাই মুখ- সমুদ্রের অতল গভীর থেকে উঠে আসা তরঙ্গের বেলাভূমিতে আছড়ে পড়ার আগমুহূর্তের তুঙ্গস্পর্শী ঢেউয়ের বিষণ্ণ সবুজ বর্ণ থৈ থৈ করছে চোখের তারায়, ছিন্ন বিবর্ণ লাল ওড়নায় ঘেরা মুখখানা যেন ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি- ভাবলেশহীন, কিন্তু যে কোন সময় ফুসে উঠতে পারে অন্তদহনের তীব্র ক্রোধে। এ এক যুদ্ধবিধবস্ত দেশের মর্মস্পর্শী পারিপার্শ্বিকতার শিকার এক কিশোরীর মুখ, ১৯৮৪ সালে পা
…
ঢাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ল্যান্ডমার্ক হিসেবে আহসান মঞ্জিলের (Ahsan Manzil) নাম শোনেন নি এমন শিক্ষিত বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার। বুড়িগঙ্গার তীর ঘেষে দক্ষিণমুখী হয়ে দাঁড়ানো আগুনে লালরঙা এই অসাধারণ কারুকার্যময় অট্টালিকা কেবল অমূল্য স্থাপত্য হিসেবেই নয়, ঢাকা নগরের অতীত ইতিহাস ও তৎকালীন জীবনযাত্রায়ও রেখেছে ব্যাপক প্রভাব। উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের দ্বিতীয় দশক পর্যন্ত ঢাকায় তো বটেই, গোটা পূর্ববঙ্গেও প্রভাব বিস্তার করেছিলো আহসান মঞ্জিল। স্থানীয়ভাবে ঢাকাবাসীদের কাছে এর পরিচয় নবাববাড়ি নামে। অর্থাৎ এটা শুধু মঞ্জিল নয়, নবাব পরিবারের আভিজাত্য, বৈভব ও প্রভাবের প্রতীক এই অট্টালিকা। পাশাপাশি দুটো বিশাল দ্বিতল ভবনের পূর্ব পাশের ভবনে ছিলো নবাব পরিবারের বাস এবং পশ্চিম পাশেরটি ছিলো দরবার হল।
ধন নয় মান নয় এতটুকু বাসা, করেছিনু আশা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
[justify]বসতবাড়ির প্রতি এই আশা সার্বজনীন। তা মানুষ-ই হোক আর পশুপাখি। বাড়ি তো কেবল আশ্রয় নয়, জীবনযাপনের অনুষঙ্গও বটে। বাড়ির সৌকর্যে রুচির প্রকাশ, নির্মাণে প্রতিভার। বাবুই পাখির মত ওস্তাদ কারিগর, মৌমছির মত স্থপতি বিস্ময়ের উদ্রেক করে। কিন্তু নির্মাণশৈলীতে যারা অপটু? আলোকচিত্রে আজকে তাদের কথাই বলবো।
ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ামাত্র টের পেলাম হাত খরচের টাকায় আর কুলাচ্ছে না। আম্মার কাছে চাইতেও লজ্জা লাগে। এ্যাত্ত বড় ধামড়া ছেলে মায়ের কাছে বিড়ি ফোঁকার টাকা চাই ক্যাম্নে!
[justify]আলোকচিত্রে প্রকৃতি ও জীবজগতের বৈচিত্র তুলে ধরার অপটু প্রয়াস বহুদিনের। শুরুতে যা ছিল শখ - এখন তা নেশা। মুশকিল হল একটা ভালো ছবি পেতে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হয় বহুক্ষণ। নির্বান্ধব পরিবেশে (স্থান বিশেষে নির্বিদ্যুৎ ও নির্টয়লেটও বটে) বিশাল ওজনের মাল-সামালা নিয়ে মশার কামড় খাওয়া এবং দিন শেষে ষোল গিগা মেমোরি কার্ডের অন্তত বিশ মেগা ভর্তি করতে পারাটা যেন আরেটা পুলসিরাত। তবু এই কষ্ট গায়ে লাগে না যখন
"ফটোগ্রাফাররা হইল গিয়া কড মাছের মতন। ডিম পাড়ে লাখ লাখ, টিকে মোটে একখান।" *
সন্ধি
মাস পাঁচেক আগে একটা কনফারেন্সে সুইডেনের দক্ষিণের শহর লুন্ড এ যাওয়া পরেছিল। যাওয়াটা অবশ্য চরম রকম অ্যাডভেঞ্চারের ক্যাটাগরিতে পরে। কারণ স্ক্যান্ডিনেভিয়াতে সাধারণত মানুষ দূরের পথ বিমানে না উড়তে পারলে রেলে যাতায়াত করে। আমি আবার আরেক কাঠি সরেশ । ভাবলাম একবার বাসে চড়ে গেলে কেমন হয়? দেশে থাকতে তো বাসে চড়তে খুব একটা মন্দ লাগতো না। যাই হোক জাহাজের খবর প্রচুর দেয়া হয়েছে। একদিন ...
"আলাদীনের এ্যাকটা যাদুর পাটি আছিলো। হেই পাটিতে 'চইড়া আলাদীন দ্যাশ-বিদ্যাশ ঘুইরা বেড়াইতো!" কথাটা যখন বলছিলেন মীনার দাদী, তখন মীনা আর রাজুর কল্পনায় কী ভাসছিলো আমরা তা জানি না। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই যখন তারা ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখতে পেলো, তখন তাদের সামনে পুরো বিষয়টার একটা পূর্ণাঙ্গ ছবি ভেসে উঠলো। আমরাও দুই চোখ ভরে দেখতে পারলাম আলাদীনের জাদুর পাটি, প্রদীপ আর দৈত্য। সব পরিষ্কার।
কিন ...
এ বছরের ফেব্রুয়ারীর শেষ দিকে পুরোনো বন্ধুরা মিলে সেন্ট মার্টিন গেলাম হুট করে। সবারই অফিসের ঝামেলা থাকে। ছুটি পাওয়াটাই মুশকিল। আড্ডায় বসে চা খেতে খেতে আমরা দুনিয়ার অনেক যায়গায় চলে যাই। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় সকালে উঠে ঘুম ঘুম চোখে অফিসে দৌড়াই আর বাসায় ফিরি। কিছুই করা হয়না।
যাইহক, কিভাবে কিভাবে যেন সব কাজ-কর্মকে কাঁচকলা দেখিয়ে আমরা কয়েক বন্ধু মিলে এক রাতে নিজেদের আবিষ্কার কর ...
ভোর চারটা। আমি ঘুমানোর চেষ্টা করছি। মাথাটা কেমন ঝিম ঝিম করছে। মনে হচ্ছে এখনও দৌড়ের উপর, গাড়ি চালাচ্ছি, একবার ডানে আরেকবার বামে ঘুরছি আমি। বালিশে মাথা রেখে মনে হলো বিছানা দুলছে। উঠে যেয়ে এসি ছেড়ে দিলাম, একটা ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে গেলো ঘরটা জুড়ে। উলটো দিক থেকে গুনতে শুরু করলাম এবার একশো, নিরানব্বই, আটানব্বই, সাতানব্বই...
বেলা এগারোটা। চর আলেকজান্ডার। একটু আগে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা...